হ্যাকিংয়ে চুরি করা অর্থে পারমাণবিক কর্মসূচি চালিয়েছে উ. কোরিয়া

গত বছরজুড়ে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে পারমাণবিক ও ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি চালিয়ে গেছে উত্তর কোরিয়া। জাতিসংঘের গোপন এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এসব কর্মসূচি চালিয়ে যেতে তাদের সহায়তা করেছে সাইবার হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে চুরি করা প্রায় ৩০ কোটি ডলার। রয়টার্স

২০১৮ ও ২০১৯ সালে তিনবার সাক্ষাৎ করেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন। তবে তারা সমঝোতায় পৌঁছতে ব্যর্থ হন। যুক্তরাষ্ট্রের দাবি ছিল পিয়ংইয়ং তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি বাদ দেবে আর উত্তর কোরিয়ার দাবি ছিল নিষেধাজ্ঞার অবসান। জাতিসংঘের গোপন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছর উত্তর কোরিয়ার সামরিক প্রদর্শনীতে স্বল্প ও মধ্য পাল্লার সাবমেরিন থেকে নিক্ষেপযোগ্য এবং আন্তঃমহাদেশীয় নতুন ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দেখানো হয়েছে।

নিষেধাজ্ঞা পর্যবেক্ষণকারী স্বাধীন বিশেষজ্ঞদের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পিয়ংইয়ং ফিউশনকারী বস্তু উৎপাদন করেছে, পারমাণবিক কর্মসূচি চালিয়ে গেছে আর ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের অবকাঠামোর উন্নয়ন ঘটিয়েছে।

এছাড়া এসব কর্মসূচি চালিয়ে যেতে বিদেশ থেকে প্রযুক্তি ও সরঞ্জাম আমদানির চেষ্টা চালিয়ে গেছে উত্তর কোরিয়া। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উত্তর কোরিয়ার দীর্ঘ পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রে পারমাণবিক অস্ত্র বহন করা সম্ভব বলে ধারনা করা হচ্ছে। মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র জানিয়েছেন, গত মাসে দায়িত্ব নেওয়া নতুন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন উত্তর কোরিয়ার প্রতি নতুন মনোভাব নিয়ে এগোনোর পরিকল্পনা করছেন। চলমান চাপ প্রয়োগের কৌশল এবং ভবিষ্যতে কূটনেতিক সম্পর্ক স্থাপনের সম্ভাব্যতা সম্পূর্ণভাবে খতিয়ে দেখা হবে বলে জানান তিনি।

বুধবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২১ , ২৭ মাঘ ১৪২৭, ২৭ জমাদিউস সানি ১৪৪২

হ্যাকিংয়ে চুরি করা অর্থে পারমাণবিক কর্মসূচি চালিয়েছে উ. কোরিয়া

image

উত্তর কোরিয়ায় ক্ষেপণাস্ত্র প্রদর্শন

গত বছরজুড়ে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে পারমাণবিক ও ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি চালিয়ে গেছে উত্তর কোরিয়া। জাতিসংঘের গোপন এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এসব কর্মসূচি চালিয়ে যেতে তাদের সহায়তা করেছে সাইবার হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে চুরি করা প্রায় ৩০ কোটি ডলার। রয়টার্স

২০১৮ ও ২০১৯ সালে তিনবার সাক্ষাৎ করেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন। তবে তারা সমঝোতায় পৌঁছতে ব্যর্থ হন। যুক্তরাষ্ট্রের দাবি ছিল পিয়ংইয়ং তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি বাদ দেবে আর উত্তর কোরিয়ার দাবি ছিল নিষেধাজ্ঞার অবসান। জাতিসংঘের গোপন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছর উত্তর কোরিয়ার সামরিক প্রদর্শনীতে স্বল্প ও মধ্য পাল্লার সাবমেরিন থেকে নিক্ষেপযোগ্য এবং আন্তঃমহাদেশীয় নতুন ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দেখানো হয়েছে।

নিষেধাজ্ঞা পর্যবেক্ষণকারী স্বাধীন বিশেষজ্ঞদের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পিয়ংইয়ং ফিউশনকারী বস্তু উৎপাদন করেছে, পারমাণবিক কর্মসূচি চালিয়ে গেছে আর ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের অবকাঠামোর উন্নয়ন ঘটিয়েছে।

এছাড়া এসব কর্মসূচি চালিয়ে যেতে বিদেশ থেকে প্রযুক্তি ও সরঞ্জাম আমদানির চেষ্টা চালিয়ে গেছে উত্তর কোরিয়া। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উত্তর কোরিয়ার দীর্ঘ পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রে পারমাণবিক অস্ত্র বহন করা সম্ভব বলে ধারনা করা হচ্ছে। মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র জানিয়েছেন, গত মাসে দায়িত্ব নেওয়া নতুন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন উত্তর কোরিয়ার প্রতি নতুন মনোভাব নিয়ে এগোনোর পরিকল্পনা করছেন। চলমান চাপ প্রয়োগের কৌশল এবং ভবিষ্যতে কূটনেতিক সম্পর্ক স্থাপনের সম্ভাব্যতা সম্পূর্ণভাবে খতিয়ে দেখা হবে বলে জানান তিনি।