দেশের বীমা খাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠার তাগিদে ২০১১ সালে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) গঠন করে সরকার। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই সংস্থাটি বিতর্কিত হয়েছে বারবার। কোন কোন ক্ষেত্রে আইডিআরএর চেয়ারম্যানরাই ছিলেন এসব বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে। বর্তমান চেয়ারম্যানসহ এখন পর্যন্ত সংস্থাটিতে চেয়ারম্যান হিসেবে পূর্ণকালীন দায়িত্ব পালন করেছেন তিনজন। আইডিআরএকেন্দ্রিক বিভিন্ন অভিযোগে বিতর্কে জড়িয়েছেন তিনজনই। বর্তমান চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কাছে সরাসরি ঘুষ চাওয়ার অভিযোগ করেছে ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড।
বীমা খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও তার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগটি গুরুতর। এ অভিযোগ যদি সত্য হয়ে থাকে তাহলে সেটা বীমা খাতের জন্য কোন ভালো বার্তা দিচ্ছে না। অবশ্য এ খাতে অব্যবস্থাপনার অভিযোগ নতুন নয়। বীমা কোম্পানির এমডি-চেয়ারম্যানদের অনিয়ম ও দুর্নীতির খবর বিভিন্ন সময় গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। গ্রাহক হয়রানি ও প্রতারণার একাধিক ঘটনা আলোচনায় এসেছে। এবার অভিযোগ এসেছে খোদ নিয়ন্ত্রক সংস্থার বিরুদ্ধেই। গণমাধ্যমের তথ্য থেকে জানা গেছে, এসব অভিযোগের পক্ষে যথেষ্ট তথ্য-প্রমাণ আছে। কাজেই অভিযোগের যথার্থতা যাচাই করা কোন কঠিন কাজ হবে না।
আমরা আশা করব, এসব অভিযোগ গুরুত্ব সহকারে নেয়া হবে। আইডিআরএ চেয়ারম্যানকে সরকার নিয়োগ দিয়েছে। তিনি যদি কোন ধরনের অনিয়ম-দুর্নীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থাকেন তাহলে এ বিষয়ে সরকারকেই তদন্ত করতে হবে। অভিযোগ যদি সত্য প্রমাণিত হয় তবে অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে। একইভাবে অভিযোগে সত্যতা না থাকলে অভিযোগকারীকেও ছাড় দেয়া যাবে না।
বীমা খাতের বিকাশের স্বার্থে সুশাসন ফিরিয়ে আনা ও অনিয়মকারীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক সাজার ব্যবস্থা করা জরুরি।
বুধবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২১ , ২৭ মাঘ ১৪২৭, ২৭ জমাদিউস সানি ১৪৪২
দেশের বীমা খাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠার তাগিদে ২০১১ সালে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) গঠন করে সরকার। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই সংস্থাটি বিতর্কিত হয়েছে বারবার। কোন কোন ক্ষেত্রে আইডিআরএর চেয়ারম্যানরাই ছিলেন এসব বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে। বর্তমান চেয়ারম্যানসহ এখন পর্যন্ত সংস্থাটিতে চেয়ারম্যান হিসেবে পূর্ণকালীন দায়িত্ব পালন করেছেন তিনজন। আইডিআরএকেন্দ্রিক বিভিন্ন অভিযোগে বিতর্কে জড়িয়েছেন তিনজনই। বর্তমান চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কাছে সরাসরি ঘুষ চাওয়ার অভিযোগ করেছে ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড।
বীমা খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও তার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগটি গুরুতর। এ অভিযোগ যদি সত্য হয়ে থাকে তাহলে সেটা বীমা খাতের জন্য কোন ভালো বার্তা দিচ্ছে না। অবশ্য এ খাতে অব্যবস্থাপনার অভিযোগ নতুন নয়। বীমা কোম্পানির এমডি-চেয়ারম্যানদের অনিয়ম ও দুর্নীতির খবর বিভিন্ন সময় গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। গ্রাহক হয়রানি ও প্রতারণার একাধিক ঘটনা আলোচনায় এসেছে। এবার অভিযোগ এসেছে খোদ নিয়ন্ত্রক সংস্থার বিরুদ্ধেই। গণমাধ্যমের তথ্য থেকে জানা গেছে, এসব অভিযোগের পক্ষে যথেষ্ট তথ্য-প্রমাণ আছে। কাজেই অভিযোগের যথার্থতা যাচাই করা কোন কঠিন কাজ হবে না।
আমরা আশা করব, এসব অভিযোগ গুরুত্ব সহকারে নেয়া হবে। আইডিআরএ চেয়ারম্যানকে সরকার নিয়োগ দিয়েছে। তিনি যদি কোন ধরনের অনিয়ম-দুর্নীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থাকেন তাহলে এ বিষয়ে সরকারকেই তদন্ত করতে হবে। অভিযোগ যদি সত্য প্রমাণিত হয় তবে অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে। একইভাবে অভিযোগে সত্যতা না থাকলে অভিযোগকারীকেও ছাড় দেয়া যাবে না।
বীমা খাতের বিকাশের স্বার্থে সুশাসন ফিরিয়ে আনা ও অনিয়মকারীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক সাজার ব্যবস্থা করা জরুরি।