শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যোগ্য মানুষ চাই

বর্তমানে শিক্ষার মান বিবেচনা হচ্ছে সার্টিফিকেটের জিপিএ দ্বারা। একজন শিক্ষার্থীর জীবন এক টুকরো কাগজ দিয়ে বিশ্লেষণ করা যায় না। এখন বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থীই বলতে পারবে না বাংলা বর্ণমালা কয়টি ও কি কি? অথচ তারা সব মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিকের সার্টিফিকেট পেয়েছেন। এই অপারগতার জন্য প্রত্যক্ষভাবে শিক্ষার্থীরা দায়ী নয়। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকেও এর দায় নিতে হবে।

দেশের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষার মান উন্নত করা একান্ত জরুরি। কারণ একজন ছাত্রের পুরো শিক্ষা জীবনের মধ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়টা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। দুঃখজনক হলেও সত্য, গ্রামের বেশিরভাগ স্কুলকলেজ পরিচালিত হচ্ছে অদক্ষ এবং অক্ষম পরিচালকদের মাধ্যমে। গ্রামের একজন ব্যক্তি হয়ত ঠিকাদারি কাজ করতেন। এভাবেই তিনি বিত্তশালী হয়ে ওঠেন।

স্কুলে কিছু অনুদান দিয়ে স্কুলের দাতা সদস্যের তালিকায় নিজের নাম সবার উপরে লিখিয়ে ফেলেন। ধীরে ধীরে স্কুলের ম্যানেজিং কমিটিতেও স্থান করে নেন। অথচ তার শিক্ষাগত যোগ্যতা বিচার করলে দেখা যাবে তিনি সর্বোচ্চ মাধ্যমিক পাস। কিন্তু একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সর্বোচ্চ দায়িত্ব তিনিই পালন করছেন! এমন একজন ব্যক্তির তত্ত্বাবধানে থাকা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভবিষ্যৎ কি হতে পারে তা সহজেই অনুমেয়।

কাজেই শিক্ষার মান বাড়াতে হলে প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক পর্যায় থেকেই কাজ করতে হবে। সঠিক তদারকির মাধ্যমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যোগ্য প্রশাসক নিয়োগ করতে হবে। নিয়মমাফিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনা করতে হবে। তা না হলে শিক্ষার মান কখনই বাড়বে না।

শাকিবুল হাসান

বুধবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২১ , ২৭ মাঘ ১৪২৭, ২৭ জমাদিউস সানি ১৪৪২

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যোগ্য মানুষ চাই

বর্তমানে শিক্ষার মান বিবেচনা হচ্ছে সার্টিফিকেটের জিপিএ দ্বারা। একজন শিক্ষার্থীর জীবন এক টুকরো কাগজ দিয়ে বিশ্লেষণ করা যায় না। এখন বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থীই বলতে পারবে না বাংলা বর্ণমালা কয়টি ও কি কি? অথচ তারা সব মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিকের সার্টিফিকেট পেয়েছেন। এই অপারগতার জন্য প্রত্যক্ষভাবে শিক্ষার্থীরা দায়ী নয়। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকেও এর দায় নিতে হবে।

দেশের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষার মান উন্নত করা একান্ত জরুরি। কারণ একজন ছাত্রের পুরো শিক্ষা জীবনের মধ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়টা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। দুঃখজনক হলেও সত্য, গ্রামের বেশিরভাগ স্কুলকলেজ পরিচালিত হচ্ছে অদক্ষ এবং অক্ষম পরিচালকদের মাধ্যমে। গ্রামের একজন ব্যক্তি হয়ত ঠিকাদারি কাজ করতেন। এভাবেই তিনি বিত্তশালী হয়ে ওঠেন।

স্কুলে কিছু অনুদান দিয়ে স্কুলের দাতা সদস্যের তালিকায় নিজের নাম সবার উপরে লিখিয়ে ফেলেন। ধীরে ধীরে স্কুলের ম্যানেজিং কমিটিতেও স্থান করে নেন। অথচ তার শিক্ষাগত যোগ্যতা বিচার করলে দেখা যাবে তিনি সর্বোচ্চ মাধ্যমিক পাস। কিন্তু একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সর্বোচ্চ দায়িত্ব তিনিই পালন করছেন! এমন একজন ব্যক্তির তত্ত্বাবধানে থাকা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভবিষ্যৎ কি হতে পারে তা সহজেই অনুমেয়।

কাজেই শিক্ষার মান বাড়াতে হলে প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক পর্যায় থেকেই কাজ করতে হবে। সঠিক তদারকির মাধ্যমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যোগ্য প্রশাসক নিয়োগ করতে হবে। নিয়মমাফিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনা করতে হবে। তা না হলে শিক্ষার মান কখনই বাড়বে না।

শাকিবুল হাসান