খোলা জায়গায় বর্জ্য ব্যবস্থাপনা

পার্বত্য জেলা বান্দরবানের দুটি পৌরসভার একটি বান্দরবান পৌরসভা। ৯টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত পৌরসভাটি প্রথম শ্রেণীর বলে স্বীকৃত। কিন্তু এর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ঠিক কোন শ্রেণীর তা প্রশ্নসাপেক্ষ। স্থায়ী ও পরিবেশবান্ধব কোনো ডাম্পিং স্টেশন না থাকায় পুরো পৌর এলাকার সব ডাস্টবিন থেকে সংগৃহীত ময়লা-আবর্জনা, পরিত্যক্ত পলিথিন-প্লাস্টিকসহ বিভিন্ন জিনিস ফেলা হচ্ছে একাধিক উন্মুক্ত স্থানে। সবচেয়ে বেশি বর্জ্য জমা করা হয় সদর ও রোয়াংছড়ি উপজেলার প্রধান সংযোগ সড়কের পাশে! যার অনতিদূরেই রয়েছে শহরের একমাত্র নদী সাঙ্গু।

প্রতিদিন যানবাহনের পাশাপাশি উক্ত পথে বিভিন্ন বয়সের স্বাস্থ্য সচেতন অনেক মানুষ সকালে বা বিকালে হাটেন। মারাত্মক দুর্গন্ধ এবং পরিত্যক্ত পলিথিন ও প্লাস্টিক পোড়ানোর ফলে সৃষ্ট ধোঁয়ায় দূষিত হচ্ছে বিশুদ্ধ বাতাস। এছাড়াও গরু ও ছাগলের মাধ্যমে ময়লায় সয়লাব হচ্ছে সড়ক। দুই পাশে সবুজ গাছে ভরা পাহাড়ের খাদে ফেলা বিপুল পরিমাণ পলিথিন ও প্লাস্টিক অতিবৃষ্টিতে পাহাড়ের পাদদেশের সাঙ্গু নদীতে গিয়ে পড়ছে। ফলে নদী দূষণের পাশাপাশি দিন দিন কমে আসছে এর নাব্যতাও।

সম্প্রতি বায়ু দূষণের ক্ষতিকর প্রভাবে জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক হুমকি মোকাবিলায় পৃথিবীর অন্যান্য দেশগুলোর মতো বাংলাদেশও নানা উদ্যোগ নিয়েছে। সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোগেও বিভিন্ন প্রকল্প চলমান। পরিবেশবাদী সংগঠনগুলোও এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বেশ সোচ্চার। এমতাবস্থায়, পরিত্যক্ত বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় বছরের পর বছর ধরে বান্দরবান পৌরসভার এমন পরিবেশঘাতী কার্যক্রম সত্যিই দুঃখজনক। শহরের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য যে কোন মূল্যে পরিবেশবান্ধব ও উন্নত ডাম্পিং স্টেশন স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করতে পৌর কর্তৃপক্ষের আশু সুদৃষ্টি কাম্য।

আবু ফারুক

বুধবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২১ , ২৭ মাঘ ১৪২৭, ২৭ জমাদিউস সানি ১৪৪২

খোলা জায়গায় বর্জ্য ব্যবস্থাপনা

পার্বত্য জেলা বান্দরবানের দুটি পৌরসভার একটি বান্দরবান পৌরসভা। ৯টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত পৌরসভাটি প্রথম শ্রেণীর বলে স্বীকৃত। কিন্তু এর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ঠিক কোন শ্রেণীর তা প্রশ্নসাপেক্ষ। স্থায়ী ও পরিবেশবান্ধব কোনো ডাম্পিং স্টেশন না থাকায় পুরো পৌর এলাকার সব ডাস্টবিন থেকে সংগৃহীত ময়লা-আবর্জনা, পরিত্যক্ত পলিথিন-প্লাস্টিকসহ বিভিন্ন জিনিস ফেলা হচ্ছে একাধিক উন্মুক্ত স্থানে। সবচেয়ে বেশি বর্জ্য জমা করা হয় সদর ও রোয়াংছড়ি উপজেলার প্রধান সংযোগ সড়কের পাশে! যার অনতিদূরেই রয়েছে শহরের একমাত্র নদী সাঙ্গু।

প্রতিদিন যানবাহনের পাশাপাশি উক্ত পথে বিভিন্ন বয়সের স্বাস্থ্য সচেতন অনেক মানুষ সকালে বা বিকালে হাটেন। মারাত্মক দুর্গন্ধ এবং পরিত্যক্ত পলিথিন ও প্লাস্টিক পোড়ানোর ফলে সৃষ্ট ধোঁয়ায় দূষিত হচ্ছে বিশুদ্ধ বাতাস। এছাড়াও গরু ও ছাগলের মাধ্যমে ময়লায় সয়লাব হচ্ছে সড়ক। দুই পাশে সবুজ গাছে ভরা পাহাড়ের খাদে ফেলা বিপুল পরিমাণ পলিথিন ও প্লাস্টিক অতিবৃষ্টিতে পাহাড়ের পাদদেশের সাঙ্গু নদীতে গিয়ে পড়ছে। ফলে নদী দূষণের পাশাপাশি দিন দিন কমে আসছে এর নাব্যতাও।

সম্প্রতি বায়ু দূষণের ক্ষতিকর প্রভাবে জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক হুমকি মোকাবিলায় পৃথিবীর অন্যান্য দেশগুলোর মতো বাংলাদেশও নানা উদ্যোগ নিয়েছে। সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোগেও বিভিন্ন প্রকল্প চলমান। পরিবেশবাদী সংগঠনগুলোও এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বেশ সোচ্চার। এমতাবস্থায়, পরিত্যক্ত বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় বছরের পর বছর ধরে বান্দরবান পৌরসভার এমন পরিবেশঘাতী কার্যক্রম সত্যিই দুঃখজনক। শহরের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য যে কোন মূল্যে পরিবেশবান্ধব ও উন্নত ডাম্পিং স্টেশন স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করতে পৌর কর্তৃপক্ষের আশু সুদৃষ্টি কাম্য।

আবু ফারুক