শব্দ দূষণ থেকে মুক্তি চাই

ঢাকা শহরের প্রায় সব এলাকাতেই গ্রহণযোগ্য মাত্রার চেয়ে বেশি শব্দ হচ্ছে। সরকার সচিবালয়ের চারপাশের এলাকাকে নীরব এলাকা ঘোষণা করার পরেও সেখানে শব্দ দূষণ বন্ধ হয়নি। সচিবালয়ের চারপাশ ছাড়াও ঢাকার অন্য এলাকাগুলোতেও নির্ধারিত মাত্রার চেয়ে বেশি শব্দ হচ্ছে। ইদানীং বিভিন্ন আবাসিক এলাকায় সামাজিক অনুষ্ঠানের নামে অযাচিত মাইক ও সাউন্ডবক্স বাজানো হয়। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক যে, জনপ্রতিনিধিরাও কোন কোন সময় প্রচারণার কাজে শব্দ দূষণের মাত্রা অতিক্রম করছেন। সরকারি দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের মধ্যে অনেকেই গাড়িতে ৩টি হর্ন ব্যবহার করেন, যার মধ্যে একটি হাইড্রোলিক হর্ন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কিংবা হাসপাতালের সামনে দিয়ে বিকট শব্দে হর্ন বাজিয়ে গাড়ি চলাচল করলেও তা দেখার কেউ নেই। শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণ আইন ও বিধি-বিধান থাকলেও সেগুলোর কোনো প্রয়োগ নেই।

শব্দ দূষণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শিশু ও বয়স্করা। যে কোন সুস্থ মানুষের হতে পারে স্নায়ুর চাপ, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, বুকে ব্যথা, মাইগ্রেন, বদহজম, পেপটিক আলসার, অনিদ্রা ও বধিরতা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে একশ’ ডেসিবল মাত্রার শব্দ দূষণ চিরতরে বধিরতা সৃষ্টি করতে পারে।

সচেতনতা তৈরি করা ছাড়া শুধু আইন করে শব্দ দূষণ বন্ধ করা সম্ভব নয়। শব্দ দূষণের কারণে স্বাস্থ্যগত এবং সামাজিক ক্ষতির পরিমাণ অনেক বৃহৎ উন্নয়ন প্রকল্পের চেয়েও বেশি। তাই একে বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা প্রয়োজন। আসুন সবাই সচেতন হই এবং শব্দ দূষণ রোধ করি।

সিনথিয়া সুমি

বুধবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২১ , ২৭ মাঘ ১৪২৭, ২৭ জমাদিউস সানি ১৪৪২

শব্দ দূষণ থেকে মুক্তি চাই

ঢাকা শহরের প্রায় সব এলাকাতেই গ্রহণযোগ্য মাত্রার চেয়ে বেশি শব্দ হচ্ছে। সরকার সচিবালয়ের চারপাশের এলাকাকে নীরব এলাকা ঘোষণা করার পরেও সেখানে শব্দ দূষণ বন্ধ হয়নি। সচিবালয়ের চারপাশ ছাড়াও ঢাকার অন্য এলাকাগুলোতেও নির্ধারিত মাত্রার চেয়ে বেশি শব্দ হচ্ছে। ইদানীং বিভিন্ন আবাসিক এলাকায় সামাজিক অনুষ্ঠানের নামে অযাচিত মাইক ও সাউন্ডবক্স বাজানো হয়। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক যে, জনপ্রতিনিধিরাও কোন কোন সময় প্রচারণার কাজে শব্দ দূষণের মাত্রা অতিক্রম করছেন। সরকারি দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের মধ্যে অনেকেই গাড়িতে ৩টি হর্ন ব্যবহার করেন, যার মধ্যে একটি হাইড্রোলিক হর্ন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কিংবা হাসপাতালের সামনে দিয়ে বিকট শব্দে হর্ন বাজিয়ে গাড়ি চলাচল করলেও তা দেখার কেউ নেই। শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণ আইন ও বিধি-বিধান থাকলেও সেগুলোর কোনো প্রয়োগ নেই।

শব্দ দূষণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শিশু ও বয়স্করা। যে কোন সুস্থ মানুষের হতে পারে স্নায়ুর চাপ, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, বুকে ব্যথা, মাইগ্রেন, বদহজম, পেপটিক আলসার, অনিদ্রা ও বধিরতা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে একশ’ ডেসিবল মাত্রার শব্দ দূষণ চিরতরে বধিরতা সৃষ্টি করতে পারে।

সচেতনতা তৈরি করা ছাড়া শুধু আইন করে শব্দ দূষণ বন্ধ করা সম্ভব নয়। শব্দ দূষণের কারণে স্বাস্থ্যগত এবং সামাজিক ক্ষতির পরিমাণ অনেক বৃহৎ উন্নয়ন প্রকল্পের চেয়েও বেশি। তাই একে বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা প্রয়োজন। আসুন সবাই সচেতন হই এবং শব্দ দূষণ রোধ করি।

সিনথিয়া সুমি