তারাগঞ্জে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘরে হাস্যোজ্জ্বল উপকারভোগীরা

রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলায় মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেয়ে আনন্দিত গৃহহীন পরিবারগুলো। হতদারিদ্র পরিবারগুলো পেয়েছে তাদের স্বপ্নের ঠিকানা। যাদের বাবা-মা ও সন্তানদের নিয়ে মাথা গোঁজার ঠাই ছিল ঝুঁপড়ি ঘর তারা এখন পাক ঘরে রাত্রিযাপন করছেন। এ জন্য প্রধানমন্ত্রীরর পরিবারের সকল সদস্যের জন্য দোয়া করেন তারা। যাদের নামে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ওই নির্বাচিত পরিবারগুলো কেউ এর আগে থাকতেন অন্যের জমিতে, কেউবা খাসজমিতে, কেউবা খোলা আকাশের নিচে, কেউ-কেউ বাসস্ট্যান্ডের রাস্তায়। এ রকম সহজসরল নীরহ অসহায় মানুষদেরকেই করা হয়েছে এসব ঘরের মালিক। এ নতুন বছরের প্রথম মাসেই এ উপজেলায় প্রধানমন্ত্রীর ১৩০টি ঘর উপহার পেয়েছে গৃহহীনরা। সরেজমিনে গিয়ে জানাগেছে, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় সরকারি খাস জমিতে এসব ও ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। এর প্রতিটি ঘরে দুটি করে শয়নকক্ষ বাথরুম ছাড়াও রান্নাঘর প্রতিটি ঘরের ব্যয় ধরা হয়েছে। ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা। এছাড়াও প্রতিঘরের পরিবহন বাবদ অতিরিক্ত খরচ ধরা হয়েছে ৪০০০ করে টাকা। গত ২৩ জানুয়ারি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘জমি নেই, ঘর নেই’ এসব দারিদ্র পরিবারগুলোর হাতে ঘরের চাবি হস্তান্তর করেন। সঙ্গে বড়ির মালিকদের জমির দলিল, নামজারি, জমির মালিকানা কবুলিয়ত নামা। প্রতিটি ঘরে পানির জন্য অগভীর নলকূপ বসানো হয়েছে। দেয়া হয়েছে প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ সংযোগ। উপজেলার সয়ার ইউনিয়নের ফরিদাবাদ এলাকায় ২০টি ঘর। সুবিধাভোগীদের ঘর নির্মাণ কাজের শরু থেকে কড়া নজর রেখেছিলেন তারাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আমিনুল ইসলাম। সয়ার ইউনিয়নের উত্তর সয়ার পশ্চিমপাড়া গ্রামের আশরাফননেছা প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর সুবিধাভোগী জানান, কিছুদিন আগে আমি অন্যের জমিতে ঝুঁপড়ি ঘরে রাত্রিযাপন করতাম এখন আমি মহাসুখে জীবনযাপন করছি। সয়ার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস.এম মহিউদ্দিন আযম কিরণ বলেন, আমার ইউনিয়নের গরিব অসহায়দের প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর দিতে পারায় আনন্দ লাগছে। তারাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আমিনুল ইসলাম বলেন, গৃহহীনরা প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘরে এখন সুখে আছেন।

বৃহস্পতিবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২১ , ২৮ মাঘ ১৪২৭, ২৮ জমাদিউস সানি ১৪৪২

তারাগঞ্জে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘরে হাস্যোজ্জ্বল উপকারভোগীরা

প্রতিনিধি, তারাগঞ্জ (রংপুর)

image

রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলায় মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেয়ে আনন্দিত গৃহহীন পরিবারগুলো। হতদারিদ্র পরিবারগুলো পেয়েছে তাদের স্বপ্নের ঠিকানা। যাদের বাবা-মা ও সন্তানদের নিয়ে মাথা গোঁজার ঠাই ছিল ঝুঁপড়ি ঘর তারা এখন পাক ঘরে রাত্রিযাপন করছেন। এ জন্য প্রধানমন্ত্রীরর পরিবারের সকল সদস্যের জন্য দোয়া করেন তারা। যাদের নামে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ওই নির্বাচিত পরিবারগুলো কেউ এর আগে থাকতেন অন্যের জমিতে, কেউবা খাসজমিতে, কেউবা খোলা আকাশের নিচে, কেউ-কেউ বাসস্ট্যান্ডের রাস্তায়। এ রকম সহজসরল নীরহ অসহায় মানুষদেরকেই করা হয়েছে এসব ঘরের মালিক। এ নতুন বছরের প্রথম মাসেই এ উপজেলায় প্রধানমন্ত্রীর ১৩০টি ঘর উপহার পেয়েছে গৃহহীনরা। সরেজমিনে গিয়ে জানাগেছে, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় সরকারি খাস জমিতে এসব ও ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। এর প্রতিটি ঘরে দুটি করে শয়নকক্ষ বাথরুম ছাড়াও রান্নাঘর প্রতিটি ঘরের ব্যয় ধরা হয়েছে। ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা। এছাড়াও প্রতিঘরের পরিবহন বাবদ অতিরিক্ত খরচ ধরা হয়েছে ৪০০০ করে টাকা। গত ২৩ জানুয়ারি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘জমি নেই, ঘর নেই’ এসব দারিদ্র পরিবারগুলোর হাতে ঘরের চাবি হস্তান্তর করেন। সঙ্গে বড়ির মালিকদের জমির দলিল, নামজারি, জমির মালিকানা কবুলিয়ত নামা। প্রতিটি ঘরে পানির জন্য অগভীর নলকূপ বসানো হয়েছে। দেয়া হয়েছে প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ সংযোগ। উপজেলার সয়ার ইউনিয়নের ফরিদাবাদ এলাকায় ২০টি ঘর। সুবিধাভোগীদের ঘর নির্মাণ কাজের শরু থেকে কড়া নজর রেখেছিলেন তারাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আমিনুল ইসলাম। সয়ার ইউনিয়নের উত্তর সয়ার পশ্চিমপাড়া গ্রামের আশরাফননেছা প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর সুবিধাভোগী জানান, কিছুদিন আগে আমি অন্যের জমিতে ঝুঁপড়ি ঘরে রাত্রিযাপন করতাম এখন আমি মহাসুখে জীবনযাপন করছি। সয়ার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস.এম মহিউদ্দিন আযম কিরণ বলেন, আমার ইউনিয়নের গরিব অসহায়দের প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর দিতে পারায় আনন্দ লাগছে। তারাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আমিনুল ইসলাম বলেন, গৃহহীনরা প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘরে এখন সুখে আছেন।