একদিনের ব্যবধানে টিকা গ্রহীতা বেড়েছে ৫৭ হাজার

একদিনের ব্যবধানে টিকাগ্রহীতা বেড়েছে প্রায় ৫৭ হাজার। গণটিকা কর্মসূচির চতুর্থ দিনে সর্বোচ্চ এক লাখ ৫৮ হাজার ৪৫১ জন নিয়েছেন করোনার টিকা। গতকাল রাজধানীতেই টিকা নিয়েছেন ১৯ হাজার ১১৫ জন। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও সচিবসহ ২৫টি দেশের ৩০ জন কূটনীতিক গতকাল করোনার টিকা নিয়েছেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম পরিচালক প্রফেসর ডা. মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গতকাল টিকা নেয়া ব্যক্তিদের মধ্যে পুরুষ এক লাখ ১১ হাজার ৬৯১ জন এবং নারী ৪৬ হাজার ৭৬০ জন। আর গতকাল বিকেল পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৯ লাখ মানুষ টিকার জন্য সুরক্ষা প্লাটফর্মের ওয়েব অ্যাপ্লিকেশনের (িি.িংঁৎড়শশযধ.মড়া.নফ) মাধ্যমে নিবন্ধন করেছেন বলেও অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

৭ ফেব্রুয়ারি প্রথম দিন টিকা নিয়েছিলেন ৩১ হাজার ১৬০ জন। দ্বিতীয় দিন নেন ৪৬ হাজার ৫০৯ জন। তৃতীয় দিন টিকা দেয়া হয় এক লাখ এক হাজার ৮২ জনকে। চারদিনে মোট তিন লাখ ৩৭ হাজার ৭৬৯ জন টিকা নিয়েছেন।

মোট টিকাগ্রহীতার মধ্যে পুরুষ দুই লাখ ৪৬ হাজার ৪২৬ জন এবং নারী ৯১ হাজার ৩৪৩ জন। গতকাল পর্যন্ত যারা টিকা নিয়েছেন তাদের ২৭৭ জনের মধ্যে সামান্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

গতকাল ঢাকার ৪৭টি হাসপাতালে টিকা দেয়া হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি এক হাজার ৮৩৭ জন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে টিকা নিয়েছেন।

বিভাগভিত্তিক হিসাবে ঢাকা বিভাগে গতকাল সবচেয়ে বেশি ৪০ হাজার ৯০৭ জন টিকা নিয়েছেন। এছাড়া ময়মনসিংহে ৭৫৪৯ জন, চট্টগ্রামে ৩৭ হাজার ৪৫৮ জন, রাজশাহীতে ১৭ হাজার ৯৭১ জন, রংপুরে ১৪ হাজার ২২৪ জন, খুলনায় ১৭ হাজার ১১৫ জন, বরিশালে ৬১৪৭ জন এবং সিলেট বিভাগে ১৭ হাজার ৮০ জন টিকা নিয়েছেন।

ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত ‘অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা’র টিকা দেয়া হচ্ছে। প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত চলে টিকাদান।

কূটনীতিকদের টিকাগ্রহণ

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনসহ ২৫ দেশের ৩০ জন কূটনীতিক টিকা নিয়েছেন। তারা গতকাল রাজধানীর শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতালে টিকা নেন।

ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী, তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মুস্তাফা ওসমান তুরান, ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত রেনেসা তিরিং, জার্মানি, ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া প্রভৃতি দেশের রাষ্ট্রদূত টিকা নিয়েছেন।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ঢাকার ১২শ কূটনীতিককে টিকা দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তারা পর্যায়ক্রমে টিকা নেবেন।

কূটনীতিকদের টিকা দেয়ার জন্য শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন নির্দিষ্ট করে দেয়া হবে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিদেশি মিশনের বাইরে আন্তর্জাতিক সংস্থার দপ্তরে কর্মরত বিদেশিদের তালিকাও চেয়েছে সরকার। তারাও এ হাসপাতাল থেকে টিকা নেবেন।

কূটনীতিকদের অভিমত

টিকা নিয়ে ঢাকায় কূটনৈতিক কোরের ডিন আর্চবিশপ জর্জ কোশারি সাংবাদিকদের বলেন, ‘এখানে কূটনৈতিকদের পক্ষ থেকে টিকাদান শুরুর জন্য আমি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।’

তিনি আরও বলেন, ‘দয়া করে সবাই টিকা নিন, যাতে মহামারী ক্ষীণ হয়ে আসে এবং দেশ অগ্রসর হতে পারে। কোভিড-১৯ টিকার ক্ষেত্রে সরকারের উদ্যোগকে সহায়তা করুন।’

টিকা নেয়ার পর ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী সাংবাদিকদের বলেন, ‘ভারত, বাংলাদেশ ও আমাদের প্রতিবেশীরা একইসঙ্গে টিকা নিতে হবে। আমাদের বন্ধুত্ব কতটা কাছের তা প্রদর্শনের লক্ষ্যেই আমাদের দিক থেকে বাংলাদেশকে টিকাদানের ক্ষেত্রে সহায়তা দেয়া হচ্ছে। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সহযোগিতা কোন পর্যায়ে রয়েছে, এটা তারই প্রতিফলন। এক্ষেত্রে সহজ বাস্তবতা হলো- দুই দেশকে একইসঙ্গে টিকাদান কর্মসূচি চালাতে হবে।’

ঢাকায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত রেনজি টিরিংক সাংবাদিকদের বলেন, ‘এই আয়োজনের উদ্দেশ্য হচ্ছে মানুষকে দেখানো যে, বিদেশি কূটনীতিকরাও আস্থা সহকারে টিকা নিচ্ছে। আমাকে টিকা নিয়ে ইউরোপ যেতে হচ্ছে না, আমি এখানেই তা করতে পারছি এবং আজকেই সেটা করেছি।

এমন উদ্যোগের জন্য আমরা কৃতজ্ঞ, কোন ধরনের লাইন ছাড়া টিকা নেয়া যাচ্ছে। এর মাধ্যমে আমরা টিকাদানের ক্ষেত্রে ভালো উদাহরণ তৈরি করতে পারি এবং এটা মানুষের মধ্যে আস্থা আনবে।’

গত ২৭ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই দিন মোট ২৬ জনকে টিকা দেয়া হয়। তাদের পর্যবেক্ষণ শেষে ৭ ফেব্রুয়ারি দেশব্যাপী গণটিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়।

প্রাথমিকভাবে ঢাকায় ৪৬টি এবং সারাদেশে ৯৫৫টি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে টিকাদান কার্যক্রম চলছে। এর মধ্যে রাজধানীতে ২০৪টি টিম এবং জেলা ও উপজেলায় ৯৫৫টি হাসপাতালে দুই হাজার ১৯৬টি টিম টিকা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। প্রতিটি টিম দৈনিক ন্যূনতম ১৫০ জনকে টিকা দিতে পারে। এছাড়াও ভ্যাকসিন বিষয়ক কার্যক্রমের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে সাত হাজার ৩৪৪টি টিম।

বৃহস্পতিবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২১ , ২৮ মাঘ ১৪২৭, ২৮ জমাদিউস সানি ১৪৪২

একদিনের ব্যবধানে টিকা গ্রহীতা বেড়েছে ৫৭ হাজার

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

একদিনের ব্যবধানে টিকাগ্রহীতা বেড়েছে প্রায় ৫৭ হাজার। গণটিকা কর্মসূচির চতুর্থ দিনে সর্বোচ্চ এক লাখ ৫৮ হাজার ৪৫১ জন নিয়েছেন করোনার টিকা। গতকাল রাজধানীতেই টিকা নিয়েছেন ১৯ হাজার ১১৫ জন। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও সচিবসহ ২৫টি দেশের ৩০ জন কূটনীতিক গতকাল করোনার টিকা নিয়েছেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম পরিচালক প্রফেসর ডা. মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গতকাল টিকা নেয়া ব্যক্তিদের মধ্যে পুরুষ এক লাখ ১১ হাজার ৬৯১ জন এবং নারী ৪৬ হাজার ৭৬০ জন। আর গতকাল বিকেল পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৯ লাখ মানুষ টিকার জন্য সুরক্ষা প্লাটফর্মের ওয়েব অ্যাপ্লিকেশনের (িি.িংঁৎড়শশযধ.মড়া.নফ) মাধ্যমে নিবন্ধন করেছেন বলেও অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

৭ ফেব্রুয়ারি প্রথম দিন টিকা নিয়েছিলেন ৩১ হাজার ১৬০ জন। দ্বিতীয় দিন নেন ৪৬ হাজার ৫০৯ জন। তৃতীয় দিন টিকা দেয়া হয় এক লাখ এক হাজার ৮২ জনকে। চারদিনে মোট তিন লাখ ৩৭ হাজার ৭৬৯ জন টিকা নিয়েছেন।

মোট টিকাগ্রহীতার মধ্যে পুরুষ দুই লাখ ৪৬ হাজার ৪২৬ জন এবং নারী ৯১ হাজার ৩৪৩ জন। গতকাল পর্যন্ত যারা টিকা নিয়েছেন তাদের ২৭৭ জনের মধ্যে সামান্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

গতকাল ঢাকার ৪৭টি হাসপাতালে টিকা দেয়া হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি এক হাজার ৮৩৭ জন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে টিকা নিয়েছেন।

বিভাগভিত্তিক হিসাবে ঢাকা বিভাগে গতকাল সবচেয়ে বেশি ৪০ হাজার ৯০৭ জন টিকা নিয়েছেন। এছাড়া ময়মনসিংহে ৭৫৪৯ জন, চট্টগ্রামে ৩৭ হাজার ৪৫৮ জন, রাজশাহীতে ১৭ হাজার ৯৭১ জন, রংপুরে ১৪ হাজার ২২৪ জন, খুলনায় ১৭ হাজার ১১৫ জন, বরিশালে ৬১৪৭ জন এবং সিলেট বিভাগে ১৭ হাজার ৮০ জন টিকা নিয়েছেন।

ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত ‘অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা’র টিকা দেয়া হচ্ছে। প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত চলে টিকাদান।

কূটনীতিকদের টিকাগ্রহণ

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনসহ ২৫ দেশের ৩০ জন কূটনীতিক টিকা নিয়েছেন। তারা গতকাল রাজধানীর শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতালে টিকা নেন।

ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী, তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মুস্তাফা ওসমান তুরান, ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত রেনেসা তিরিং, জার্মানি, ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া প্রভৃতি দেশের রাষ্ট্রদূত টিকা নিয়েছেন।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ঢাকার ১২শ কূটনীতিককে টিকা দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তারা পর্যায়ক্রমে টিকা নেবেন।

কূটনীতিকদের টিকা দেয়ার জন্য শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন নির্দিষ্ট করে দেয়া হবে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিদেশি মিশনের বাইরে আন্তর্জাতিক সংস্থার দপ্তরে কর্মরত বিদেশিদের তালিকাও চেয়েছে সরকার। তারাও এ হাসপাতাল থেকে টিকা নেবেন।

কূটনীতিকদের অভিমত

টিকা নিয়ে ঢাকায় কূটনৈতিক কোরের ডিন আর্চবিশপ জর্জ কোশারি সাংবাদিকদের বলেন, ‘এখানে কূটনৈতিকদের পক্ষ থেকে টিকাদান শুরুর জন্য আমি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।’

তিনি আরও বলেন, ‘দয়া করে সবাই টিকা নিন, যাতে মহামারী ক্ষীণ হয়ে আসে এবং দেশ অগ্রসর হতে পারে। কোভিড-১৯ টিকার ক্ষেত্রে সরকারের উদ্যোগকে সহায়তা করুন।’

টিকা নেয়ার পর ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী সাংবাদিকদের বলেন, ‘ভারত, বাংলাদেশ ও আমাদের প্রতিবেশীরা একইসঙ্গে টিকা নিতে হবে। আমাদের বন্ধুত্ব কতটা কাছের তা প্রদর্শনের লক্ষ্যেই আমাদের দিক থেকে বাংলাদেশকে টিকাদানের ক্ষেত্রে সহায়তা দেয়া হচ্ছে। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সহযোগিতা কোন পর্যায়ে রয়েছে, এটা তারই প্রতিফলন। এক্ষেত্রে সহজ বাস্তবতা হলো- দুই দেশকে একইসঙ্গে টিকাদান কর্মসূচি চালাতে হবে।’

ঢাকায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত রেনজি টিরিংক সাংবাদিকদের বলেন, ‘এই আয়োজনের উদ্দেশ্য হচ্ছে মানুষকে দেখানো যে, বিদেশি কূটনীতিকরাও আস্থা সহকারে টিকা নিচ্ছে। আমাকে টিকা নিয়ে ইউরোপ যেতে হচ্ছে না, আমি এখানেই তা করতে পারছি এবং আজকেই সেটা করেছি।

এমন উদ্যোগের জন্য আমরা কৃতজ্ঞ, কোন ধরনের লাইন ছাড়া টিকা নেয়া যাচ্ছে। এর মাধ্যমে আমরা টিকাদানের ক্ষেত্রে ভালো উদাহরণ তৈরি করতে পারি এবং এটা মানুষের মধ্যে আস্থা আনবে।’

গত ২৭ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই দিন মোট ২৬ জনকে টিকা দেয়া হয়। তাদের পর্যবেক্ষণ শেষে ৭ ফেব্রুয়ারি দেশব্যাপী গণটিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়।

প্রাথমিকভাবে ঢাকায় ৪৬টি এবং সারাদেশে ৯৫৫টি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে টিকাদান কার্যক্রম চলছে। এর মধ্যে রাজধানীতে ২০৪টি টিম এবং জেলা ও উপজেলায় ৯৫৫টি হাসপাতালে দুই হাজার ১৯৬টি টিম টিকা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। প্রতিটি টিম দৈনিক ন্যূনতম ১৫০ জনকে টিকা দিতে পারে। এছাড়াও ভ্যাকসিন বিষয়ক কার্যক্রমের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে সাত হাজার ৩৪৪টি টিম।