নিউজিল্যান্ডে টাই না পরায় পার্লামেন্ট থেকে বেরিয়ে যাওয়ার নির্দেশ

নিউজিল্যান্ডের আদিবাসীদের রাজনৈতিক দল মাওরি পার্টির এক সংসদ সদস্যকে টাই না পরায় পার্লামেন্ট থেকে বের করে দিয়েছেন স্পিকার। বিবিসি

নিউজিল্যান্ডের পার্লামেন্টের নিয়ম অনুযায়ী কোন প্রশ্ন করার সময় সাংসদের অবশ্যই টাই পরে থাকতে হয়। প্রশ্নোত্তর পর্বে টাই পরতে অস্বীকৃতি জানান মাওরি পার্টির সাংসদ রাওয়ারি ওয়াইটিটি। প্রশ্ন পর্বের মাঝামাঝি সময়ে তাকে দ্বিতীয়বারের মতো থামান স্পিকার। এসময় ওয়াইটিটিকে পার্লামেন্ট ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন তিনি। বের হওয়ার সময় স্থানীয় গণমাধ্যমকে ওয়াইটিটি বলেন, ‘টাইয়ের প্রশ্ন নয়, এটি আমার সাংস্কৃতিক পরিচয়ের বিষয়।’ স্পিকারের আচরণকে ‘অবিবেচক’ বলেও আখ্যা দেন তিনি। এর আগে টাইকে ‘ঔপনিবেশিক ফাঁস’ হিসেবেও অভিহিত করেছিলেন ওয়াইটিটি। পার্লামেন্টে নিজের প্রথম ভাষণে ওয়াইটিটি বলেছিলেন, ‘আমার গলা থেকে এই ফাঁসটি সরাতে হবে। আমাকে নিজের ভাষায় মনের কথা বলতে দিন।’ এই ঘটনায় স্পিকার মালারড বলেন, তিনি ব্যক্তিগতভাবে বাধ্যতামূলক টাই পরা পছন্দ করেন না তবে বেশিরভাগ সাংসদ সদস্যই এই নিয়ম রাখার পক্ষে। এই ঘটনায় নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন জানান, ‘যারা টাই পরতে চান না, তাদের ব্যাপারে আমার অভিযোগ নেই। আমাদের এর চেয়ে অনেক বড় বিষয় নিয়ে কাজ করার রয়েছে।’

বৃহস্পতিবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২১ , ২৮ মাঘ ১৪২৭, ২৮ জমাদিউস সানি ১৪৪২

নিউজিল্যান্ডে টাই না পরায় পার্লামেন্ট থেকে বেরিয়ে যাওয়ার নির্দেশ

নিউজিল্যান্ডের আদিবাসীদের রাজনৈতিক দল মাওরি পার্টির এক সংসদ সদস্যকে টাই না পরায় পার্লামেন্ট থেকে বের করে দিয়েছেন স্পিকার। বিবিসি

নিউজিল্যান্ডের পার্লামেন্টের নিয়ম অনুযায়ী কোন প্রশ্ন করার সময় সাংসদের অবশ্যই টাই পরে থাকতে হয়। প্রশ্নোত্তর পর্বে টাই পরতে অস্বীকৃতি জানান মাওরি পার্টির সাংসদ রাওয়ারি ওয়াইটিটি। প্রশ্ন পর্বের মাঝামাঝি সময়ে তাকে দ্বিতীয়বারের মতো থামান স্পিকার। এসময় ওয়াইটিটিকে পার্লামেন্ট ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন তিনি। বের হওয়ার সময় স্থানীয় গণমাধ্যমকে ওয়াইটিটি বলেন, ‘টাইয়ের প্রশ্ন নয়, এটি আমার সাংস্কৃতিক পরিচয়ের বিষয়।’ স্পিকারের আচরণকে ‘অবিবেচক’ বলেও আখ্যা দেন তিনি। এর আগে টাইকে ‘ঔপনিবেশিক ফাঁস’ হিসেবেও অভিহিত করেছিলেন ওয়াইটিটি। পার্লামেন্টে নিজের প্রথম ভাষণে ওয়াইটিটি বলেছিলেন, ‘আমার গলা থেকে এই ফাঁসটি সরাতে হবে। আমাকে নিজের ভাষায় মনের কথা বলতে দিন।’ এই ঘটনায় স্পিকার মালারড বলেন, তিনি ব্যক্তিগতভাবে বাধ্যতামূলক টাই পরা পছন্দ করেন না তবে বেশিরভাগ সাংসদ সদস্যই এই নিয়ম রাখার পক্ষে। এই ঘটনায় নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন জানান, ‘যারা টাই পরতে চান না, তাদের ব্যাপারে আমার অভিযোগ নেই। আমাদের এর চেয়ে অনেক বড় বিষয় নিয়ে কাজ করার রয়েছে।’