প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুবলীগের নেতাকর্মীদের জাতির পিতার আদর্শ বুকে ধারণ করে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে রাজনীতি করার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, আদর্শবিহীন রাজনীতি টিকে থাকতে পারে না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যুবলীগের নেতাকর্মীদের বলব জাতির পিতার আদর্শ যদি কেউ বুকে ধারণ করে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে মানুষের কল্যাণের কথা চিন্তা করে রাজনীতি করে তাহলে সেই রাজনীতিতে টিকে থাকে।’
‘কিন্তু যে রাজনীতি করতে গিয়ে লোভের বসবর্তী হয়, অর্থ-সম্পদ যাদের কাছে বড় হয়ে যায়, তারা কিন্তু বেশিদিন টিকতে পারে না, এটা বাস্তবতা,’ যোগ করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী এ সম্পর্কে আরও বলেন, সংগঠনকে শক্তিশালী করে আদর্শভিত্তিক সংগঠন হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। সবসময় মনে রাখতে হবে, আমাদের রাজনীতি যাতে দেশের মানুষের কল্যাণের জন্য হয়, কারণ সেটিই সঠিক রাজনীতি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল সকালে যুবলীগের ৪৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে একথা বলেন। তিনি গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বাংলাদেশ কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে (কেআইবি) মূল অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাজনীতি করতে এসে যারা ভাগ্য তৈরি করতে লেগে পড়ে তারা কিছু টাকা-পয়সা করতে পারলেও পরে তাদের আর কোন অস্তিত্ব থাকে না-এটাই প্রমাণিত সত্য। তিনি বলেন, ’৭৫ পরবর্তী ক্ষতা দখলকারীরা ক্ষমতাকে ভোগের বস্তু হিসেবে নেয়াতে মুষ্টিমেয় কিছু লোকের ভাগ্যের বদল করতে পারলেও দেশ ও জনগণের কোন কল্যাণ বয়ে আনতে পারেনি। তাই, আজকে জনগণের কাছে তাদের কোন স্থান নেই, এই স্থান আসলে থাকে না।
এই উপমাহাদের প্রাচীন সংগঠন আওয়ামী লীগ জাতির পিতার আদর্শ নিয়ে চলাতেই আজ পর্যন্ত টিকে রয়েছে উল্লেখ করে যুবলীগ নেতাকর্মীদের তিনি বলেন, ‘যুবলীগকে আমি বলব, জাতির পিতার সেই আদর্শকে বুকে নিয়েই সংগঠন করতে হবে। তাহলেই এদেশের তরুণ সমাজের জন্য কাজ করা যাবে। কারণ, তারুণ্যই হচ্ছে কাজের সময়।’
তিনি বলেন, ‘তারুণ্যের শক্তি বাংলাদেশের সমৃদ্ধি, ’ এইটি যে কারণে আমাদের নির্বাচনী ইশতেহারের বক্তব্য।
সাবেক যুবলীগ নেতাদের মধ্যে শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, দলের সাংগঠনিক সম্পাদক মীর্জা আজম এমপি এবং হারুনুর রশীদ অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এবং যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মইনুল হোসেন নিখিল সঞ্চালনা করেন।
প্রধানমন্ত্রী তার ভাষণে বিএনপি’র রাজনৈতিক লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য প্রসঙ্গে বলেন, ২ হাজার কোটি টাকা থাকলে কেউ কোনদিন তাদের ক্ষমতা থেকে সরাতে পারবে না বলে তারা ভেবেছিল। কিন্তু তাদেরকেও সরে যেতে হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়া বড়াই করে আমার কথাই বলেছিলেন-শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী তো দূরের কথা কোনদিন বিরোধী দলের নেতাও হতে পারবে না। তার কথাটি তার বেলাতেই ফলে গেছে। হাজার হাজার কোটি টাকা তার ছেলেকে (তারেক রহমান) নিয়ে বানিয়েও কিছু করতে পারেনি।’ ‘একইভাবে আওয়ামী লীগ একশ’ বছরেও ক্ষমতায় আসতে পারবে না-এটাও তার (খালেদা জিয়া) ঘোষণা ছিল। আল্লাহর রহমতে শত্রুর মুখে চাই দিয়ে আওয়ামী লীগ প্রথমবার ৫ বছর আর এর পরে টানা ১২ বছর ক্ষতায় আছে বলেই জনগণের সেবা করার সুযোগ পেয়েছি।
তিনি এ সময় বার বার ভোটে নির্বাচিত করায় জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা পুনর্ব্যক্ত করেন।
জাতির পিতার নির্দেশে যুদ্ধবিধ্বস্থ দেশ পুনর্গঠনে যুবসমাজকে কাজে লাগানোর জন্য ১৯৭২ সালের ১১ নভেম্বর যুবলীগ প্রতিষ্ঠিত হয়। ’৭৫ এর ১৫ আগস্ট জাতির পিতা এবং তার পরিবারের সঙ্গে হত্যাকাণ্ডের শিকার শেখ ফজলুল হক মনি ছিলেন প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। করোনার কারণে এবার যথাসময়ে এই অনুষ্ঠান হতে পারেনি।
বৃহস্পতিবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২১ , ২৮ মাঘ ১৪২৭, ২৮ জমাদিউস সানি ১৪৪২
বাসস
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুবলীগের নেতাকর্মীদের জাতির পিতার আদর্শ বুকে ধারণ করে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে রাজনীতি করার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, আদর্শবিহীন রাজনীতি টিকে থাকতে পারে না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যুবলীগের নেতাকর্মীদের বলব জাতির পিতার আদর্শ যদি কেউ বুকে ধারণ করে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে মানুষের কল্যাণের কথা চিন্তা করে রাজনীতি করে তাহলে সেই রাজনীতিতে টিকে থাকে।’
‘কিন্তু যে রাজনীতি করতে গিয়ে লোভের বসবর্তী হয়, অর্থ-সম্পদ যাদের কাছে বড় হয়ে যায়, তারা কিন্তু বেশিদিন টিকতে পারে না, এটা বাস্তবতা,’ যোগ করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী এ সম্পর্কে আরও বলেন, সংগঠনকে শক্তিশালী করে আদর্শভিত্তিক সংগঠন হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। সবসময় মনে রাখতে হবে, আমাদের রাজনীতি যাতে দেশের মানুষের কল্যাণের জন্য হয়, কারণ সেটিই সঠিক রাজনীতি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল সকালে যুবলীগের ৪৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে একথা বলেন। তিনি গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বাংলাদেশ কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে (কেআইবি) মূল অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাজনীতি করতে এসে যারা ভাগ্য তৈরি করতে লেগে পড়ে তারা কিছু টাকা-পয়সা করতে পারলেও পরে তাদের আর কোন অস্তিত্ব থাকে না-এটাই প্রমাণিত সত্য। তিনি বলেন, ’৭৫ পরবর্তী ক্ষতা দখলকারীরা ক্ষমতাকে ভোগের বস্তু হিসেবে নেয়াতে মুষ্টিমেয় কিছু লোকের ভাগ্যের বদল করতে পারলেও দেশ ও জনগণের কোন কল্যাণ বয়ে আনতে পারেনি। তাই, আজকে জনগণের কাছে তাদের কোন স্থান নেই, এই স্থান আসলে থাকে না।
এই উপমাহাদের প্রাচীন সংগঠন আওয়ামী লীগ জাতির পিতার আদর্শ নিয়ে চলাতেই আজ পর্যন্ত টিকে রয়েছে উল্লেখ করে যুবলীগ নেতাকর্মীদের তিনি বলেন, ‘যুবলীগকে আমি বলব, জাতির পিতার সেই আদর্শকে বুকে নিয়েই সংগঠন করতে হবে। তাহলেই এদেশের তরুণ সমাজের জন্য কাজ করা যাবে। কারণ, তারুণ্যই হচ্ছে কাজের সময়।’
তিনি বলেন, ‘তারুণ্যের শক্তি বাংলাদেশের সমৃদ্ধি, ’ এইটি যে কারণে আমাদের নির্বাচনী ইশতেহারের বক্তব্য।
সাবেক যুবলীগ নেতাদের মধ্যে শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, দলের সাংগঠনিক সম্পাদক মীর্জা আজম এমপি এবং হারুনুর রশীদ অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এবং যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মইনুল হোসেন নিখিল সঞ্চালনা করেন।
প্রধানমন্ত্রী তার ভাষণে বিএনপি’র রাজনৈতিক লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য প্রসঙ্গে বলেন, ২ হাজার কোটি টাকা থাকলে কেউ কোনদিন তাদের ক্ষমতা থেকে সরাতে পারবে না বলে তারা ভেবেছিল। কিন্তু তাদেরকেও সরে যেতে হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়া বড়াই করে আমার কথাই বলেছিলেন-শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী তো দূরের কথা কোনদিন বিরোধী দলের নেতাও হতে পারবে না। তার কথাটি তার বেলাতেই ফলে গেছে। হাজার হাজার কোটি টাকা তার ছেলেকে (তারেক রহমান) নিয়ে বানিয়েও কিছু করতে পারেনি।’ ‘একইভাবে আওয়ামী লীগ একশ’ বছরেও ক্ষমতায় আসতে পারবে না-এটাও তার (খালেদা জিয়া) ঘোষণা ছিল। আল্লাহর রহমতে শত্রুর মুখে চাই দিয়ে আওয়ামী লীগ প্রথমবার ৫ বছর আর এর পরে টানা ১২ বছর ক্ষতায় আছে বলেই জনগণের সেবা করার সুযোগ পেয়েছি।
তিনি এ সময় বার বার ভোটে নির্বাচিত করায় জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা পুনর্ব্যক্ত করেন।
জাতির পিতার নির্দেশে যুদ্ধবিধ্বস্থ দেশ পুনর্গঠনে যুবসমাজকে কাজে লাগানোর জন্য ১৯৭২ সালের ১১ নভেম্বর যুবলীগ প্রতিষ্ঠিত হয়। ’৭৫ এর ১৫ আগস্ট জাতির পিতা এবং তার পরিবারের সঙ্গে হত্যাকাণ্ডের শিকার শেখ ফজলুল হক মনি ছিলেন প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। করোনার কারণে এবার যথাসময়ে এই অনুষ্ঠান হতে পারেনি।