কোন গোষ্ঠী বা দলের প্রতি অনুরাগ নয় মাহবুব তালুকদার

নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার নির্বাচন কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেছেন, কোন ব্যক্তি, গোষ্ঠী বা দলের প্রতি অনুরাগ বা বিরাগের বশবর্তী হয়ে দায়িত্ব পালন নয়, সব প্রার্থীর প্রতি আচরণ হতে হবে বিচারকের মতো নির্মোহ। দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের কাছ থেকে পক্ষপাতমূলক আচরণ কখনও আশা করি না। চতুর্থ ও পঞ্চম ধাপে পৌরসভা নির্বাচনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে গতকাল ভার্চুয়াল সভায় সভাপতির বক্তব্যে মাহবুব তালুকদার এসব কথা বলেন।

সাম্প্রতিক নির্বাচনগুলোতে ভোটবিমুখতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে উল্লেখ করে মাহবুব তালুকদার আরও বলেন, ‘এটি গণতন্ত্রের জন্য অশনিসংকেত। এর কারণগুলো বিশ্লেষণ করে প্রতিকারের প্রচেষ্টা চালানো প্রয়োজন।’ ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের চতুর্থ ও পঞ্চম ধাপের পৌরসভার নির্বাচন উপলক্ষে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে এ সভার আয়োজন করা হয়। সভায় নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার উপস্থিত ছিলেন। ‘জুম মিটিং’এ সংশ্লিষ্ট পৌরসভার রিটার্নিং অফিসার, পুলিশ সুপার ও জেলা প্রশাসক তাদের প্রস্তুতি ও সমস্যাসমূহ উপস্থাপন করেন। মাহবুব তালুকদার তার বক্তব্যে সমস্যাগুলোর সম্ভাব্য সমাধান উপস্থাপন করেন।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্বপালনের জন্য আমরা শপথ নিয়েছি। আপনারা আমাদের শপথের অংশীদার। কারণ নির্বাচন আমরা সরাসরি করি না, নির্বাচন করেন আপনারা। নির্বাচন কমিশনের সব ক্ষমতা ও শক্তি এখন আপনাদের কাছে হস্তান্তরিত। কমিশনের নির্দেশে আপনারা এই ক্ষমতা প্রয়োগ করবেন।’

নির্বাচনে সহিংসতা ও আচরণবিধি লঙ্ঘনের ক্রমবর্ধমান ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে মাহবুব তালুকদার বলেন, ‘নির্বাচনকালে আপনাদের হাতে যে অপরিমেয় ক্ষমতা আছে, তা প্রয়োগ করে একটি শান্তিপূর্ণ পরিবেশ কেন নিশ্চিত করা যাবে না তা আমার বোধগম্য নয়। পাশাপাশি এ কথাও বলে দিতে চাই, নির্বাচনের দায়িত্বপালনে কারও কোন শিথিলতা বরদাস্ত করা হবে না। এ বিষয়ে আমরা ‘শূন্য সহিষ্ণু নীতি’ বা ‘জিরো টলারেন্সে’ বিশ্বাসী।’

এ সময় তিনি অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনী ব্যবস্থাপনাকে পাঁচটি ‘নি’ দিয়ে সংজ্ঞায়িত করে বলেন, ‘নির্বাচনী ব্যবস্থাপনায় নিশ্চয়তা, নিরপেক্ষতা, নিরাপত্তা, নিয়ম-নীতি ও নিয়ন্ত্রণ কমিশনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য আমরা প্রস্তুত আছি। এই সংজ্ঞা নির্ধারণ নিতান্তই আমার ব্যক্তিগত উদ্ঘাটন। এর সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের কোন সম্পর্ক নেই।’

বৃহস্পতিবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২১ , ২৮ মাঘ ১৪২৭, ২৮ জমাদিউস সানি ১৪৪২

কোন গোষ্ঠী বা দলের প্রতি অনুরাগ নয় মাহবুব তালুকদার

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার নির্বাচন কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেছেন, কোন ব্যক্তি, গোষ্ঠী বা দলের প্রতি অনুরাগ বা বিরাগের বশবর্তী হয়ে দায়িত্ব পালন নয়, সব প্রার্থীর প্রতি আচরণ হতে হবে বিচারকের মতো নির্মোহ। দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের কাছ থেকে পক্ষপাতমূলক আচরণ কখনও আশা করি না। চতুর্থ ও পঞ্চম ধাপে পৌরসভা নির্বাচনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে গতকাল ভার্চুয়াল সভায় সভাপতির বক্তব্যে মাহবুব তালুকদার এসব কথা বলেন।

সাম্প্রতিক নির্বাচনগুলোতে ভোটবিমুখতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে উল্লেখ করে মাহবুব তালুকদার আরও বলেন, ‘এটি গণতন্ত্রের জন্য অশনিসংকেত। এর কারণগুলো বিশ্লেষণ করে প্রতিকারের প্রচেষ্টা চালানো প্রয়োজন।’ ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের চতুর্থ ও পঞ্চম ধাপের পৌরসভার নির্বাচন উপলক্ষে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে এ সভার আয়োজন করা হয়। সভায় নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার উপস্থিত ছিলেন। ‘জুম মিটিং’এ সংশ্লিষ্ট পৌরসভার রিটার্নিং অফিসার, পুলিশ সুপার ও জেলা প্রশাসক তাদের প্রস্তুতি ও সমস্যাসমূহ উপস্থাপন করেন। মাহবুব তালুকদার তার বক্তব্যে সমস্যাগুলোর সম্ভাব্য সমাধান উপস্থাপন করেন।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্বপালনের জন্য আমরা শপথ নিয়েছি। আপনারা আমাদের শপথের অংশীদার। কারণ নির্বাচন আমরা সরাসরি করি না, নির্বাচন করেন আপনারা। নির্বাচন কমিশনের সব ক্ষমতা ও শক্তি এখন আপনাদের কাছে হস্তান্তরিত। কমিশনের নির্দেশে আপনারা এই ক্ষমতা প্রয়োগ করবেন।’

নির্বাচনে সহিংসতা ও আচরণবিধি লঙ্ঘনের ক্রমবর্ধমান ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে মাহবুব তালুকদার বলেন, ‘নির্বাচনকালে আপনাদের হাতে যে অপরিমেয় ক্ষমতা আছে, তা প্রয়োগ করে একটি শান্তিপূর্ণ পরিবেশ কেন নিশ্চিত করা যাবে না তা আমার বোধগম্য নয়। পাশাপাশি এ কথাও বলে দিতে চাই, নির্বাচনের দায়িত্বপালনে কারও কোন শিথিলতা বরদাস্ত করা হবে না। এ বিষয়ে আমরা ‘শূন্য সহিষ্ণু নীতি’ বা ‘জিরো টলারেন্সে’ বিশ্বাসী।’

এ সময় তিনি অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনী ব্যবস্থাপনাকে পাঁচটি ‘নি’ দিয়ে সংজ্ঞায়িত করে বলেন, ‘নির্বাচনী ব্যবস্থাপনায় নিশ্চয়তা, নিরপেক্ষতা, নিরাপত্তা, নিয়ম-নীতি ও নিয়ন্ত্রণ কমিশনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য আমরা প্রস্তুত আছি। এই সংজ্ঞা নির্ধারণ নিতান্তই আমার ব্যক্তিগত উদ্ঘাটন। এর সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের কোন সম্পর্ক নেই।’