দেশে করোনা

২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ২ দশমিক ৫৯

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে ৮ হাজার ২৩৯ জনের। নতুন শনাক্ত হয়েছেন ৩৮৮ জন। সবমিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে পাঁচ লাখ ৩৯ হাজার ১৫৩ জনে। গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে উপসর্গবিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৭১৭ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন চার লাখ ৮৫ হাজার ২৯০ জন।

সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ২০৬টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা হয়েছে। এরমধ্যে আরটি-পিসিআর ল্যাব ১১৬টি, জিন-এক্সপার্ট ২৮টি, র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন ৬২টি। এসব ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ১৫ হাজার ৪০২টি। আগের মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১৪ হাজার ৯৯৯টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৩৭ লাখ ৯২ হাজার ২৪১টি। সরকারি ব্যবস্থাপনায় এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২৯ লাখ ৪৮ হাজার ২৮টি। আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হয়েছে ৮ লাখ ৪৪ হাজার ২১৩টি।

বিজ্ঞপ্তিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ২ দশমিক ৫৯ শতাংশ, এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ২২ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯০ দশমিক ০১ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫৩ শতাংশ। ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ১০ জনের মধ্যে সাতজন পুরুষ, নারী তিন জন। তাদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ছয়জন, ময়মনসিংহ বিভাগে দুইজন, চট্টগ্রাম ও রংপুর বিভাগে এক ও দুইজন রয়েছেন। সবাই হাসপাতালেই মারা গেছেন।

মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৬০ বছরে ঊর্ধ্বে সাত জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে দুই জন, ৩১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে একজন রয়েছেন। দেশে এ পর্যন্ত মারা যাওয়া ৮ হাজার ২৩৯ জনের মধ্যে ৬ হাজার ২৪৩ জনই পুরুষ এবং ১ হাজার ৯৯৬ জন নারী। তাদের মধ্যে ৪ হাজার ৫৭৩ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। এছাড়াও ২ হাজার ৫২ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৯৩৮ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ৪১২ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, ১৬৬ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে, ৬২ জনের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে এবং ৩৬ জনের বয়স ছিল ১০ বছরের কম। এরমধ্যে ৪ হাজার ৫৯৫ জন ঢাকা বিভাগের, ১ হাজার ৫১২ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ৪৭০ জন রাজশাহী বিভাগের, ৫৫৪ জন খুলনা বিভাগের, ২৪৮ জন বরিশাল বিভাগের, ৩০৮ জন সিলেট বিভাগের, ৩৫৯ জন রংপুর বিভাগের এবং ১৯৩ জন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আরও জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ৬৬ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৮৫ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন ৯৯ হাজার ৬৪৯ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র নিয়েছেন ৮৯ হাজার ৪৯৯ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১০ হাজার ১৫০ জন। জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বিশ্বে শনাক্তের দিক থেকে ৩২তম স্থানে আছে বাংলাদেশ, আর মৃতের সংখ্যায় রয়েছে ৩৮তম অবস্থানে।

বৃহস্পতিবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২১ , ২৮ মাঘ ১৪২৭, ২৮ জমাদিউস সানি ১৪৪২

দেশে করোনা

২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ২ দশমিক ৫৯

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

image

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে ৮ হাজার ২৩৯ জনের। নতুন শনাক্ত হয়েছেন ৩৮৮ জন। সবমিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে পাঁচ লাখ ৩৯ হাজার ১৫৩ জনে। গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে উপসর্গবিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৭১৭ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন চার লাখ ৮৫ হাজার ২৯০ জন।

সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ২০৬টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা হয়েছে। এরমধ্যে আরটি-পিসিআর ল্যাব ১১৬টি, জিন-এক্সপার্ট ২৮টি, র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন ৬২টি। এসব ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ১৫ হাজার ৪০২টি। আগের মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১৪ হাজার ৯৯৯টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৩৭ লাখ ৯২ হাজার ২৪১টি। সরকারি ব্যবস্থাপনায় এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২৯ লাখ ৪৮ হাজার ২৮টি। আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হয়েছে ৮ লাখ ৪৪ হাজার ২১৩টি।

বিজ্ঞপ্তিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ২ দশমিক ৫৯ শতাংশ, এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ২২ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯০ দশমিক ০১ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫৩ শতাংশ। ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ১০ জনের মধ্যে সাতজন পুরুষ, নারী তিন জন। তাদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ছয়জন, ময়মনসিংহ বিভাগে দুইজন, চট্টগ্রাম ও রংপুর বিভাগে এক ও দুইজন রয়েছেন। সবাই হাসপাতালেই মারা গেছেন।

মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৬০ বছরে ঊর্ধ্বে সাত জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে দুই জন, ৩১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে একজন রয়েছেন। দেশে এ পর্যন্ত মারা যাওয়া ৮ হাজার ২৩৯ জনের মধ্যে ৬ হাজার ২৪৩ জনই পুরুষ এবং ১ হাজার ৯৯৬ জন নারী। তাদের মধ্যে ৪ হাজার ৫৭৩ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। এছাড়াও ২ হাজার ৫২ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৯৩৮ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ৪১২ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, ১৬৬ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে, ৬২ জনের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে এবং ৩৬ জনের বয়স ছিল ১০ বছরের কম। এরমধ্যে ৪ হাজার ৫৯৫ জন ঢাকা বিভাগের, ১ হাজার ৫১২ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ৪৭০ জন রাজশাহী বিভাগের, ৫৫৪ জন খুলনা বিভাগের, ২৪৮ জন বরিশাল বিভাগের, ৩০৮ জন সিলেট বিভাগের, ৩৫৯ জন রংপুর বিভাগের এবং ১৯৩ জন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আরও জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ৬৬ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৮৫ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন ৯৯ হাজার ৬৪৯ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র নিয়েছেন ৮৯ হাজার ৪৯৯ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১০ হাজার ১৫০ জন। জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বিশ্বে শনাক্তের দিক থেকে ৩২তম স্থানে আছে বাংলাদেশ, আর মৃতের সংখ্যায় রয়েছে ৩৮তম অবস্থানে।