বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় টিকা গ্রহীতাদের ভিড় বাড়ছে

অসংক্রমণ রোগের চিকিৎসায় ব্যাঘাত ঘটছে

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে দলে দলে লোক গিয়ে টিকা নিচ্ছেন। টিকা গ্রহীতাদের ভিড়ের চাপে কর্তৃপক্ষ হিমসিম খাচ্ছেন। জরুরিভিত্তিতে অতিরিক্ত টিকা এনে চাহিদা মিটানো হয়েছে। শুধু তাই না করোনাভাইরাসের টেস্ট্রে ফিভার ক্লিনিক, করোনা ইউনিটে আক্রান্ত রোগীদের ভর্তি, বহিঃবিভাগে আক্রান্তদের চিকিৎসা নিয়ে অতিরিক্ত জনবল ব্যস্ত রয়েছে। ফলে অন্যান্য অসংক্রমণ রোগের চিকিৎসা ও অপারেশনে বিলম্ব হচ্ছে।

ভার্সিটির জনসংযোগ শাখা থেকে বলা হয়েছে, গতকাল করোনা সেন্টারে ১৮৩৪ জন টিকা নিয়েছেন। এ নিয়ে গতকাল পর্যন্ত প্রায় ৫ হাজার জনের টিকা দেয়া হয়েছে। গতকাল মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে টার্গেট ছিল ১২শ টিকা দেয়ার। কিন্তু শেষ পর্যন্ত টিকা নেয়ার সংখ্যা বাড়ার কারণে জরুরিভিত্তিতে অতিরিক্ত টিকা সংগ্রহ করা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কনভেনশন সেন্টারে ৮টি বুথে (পুরাতন শেরাটন হোটেলের উত্তর দিকে) টিকা দেয়া হচ্ছে। গত ২৮ জানুয়ারি প্রথম দিনে ১৯৯ জন টিকা নিয়েছিলেন। সব মিলিয়ে এই সেন্টারে ৪ হাজার ৯৮৮ জন কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিন বা টিকা নিয়েছেন।

টিকা দেয়ার কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর গতকাল ৫ম দিনে সর্বোচ্চ সংখ্যক ১৮৮৮ জনকে টিকা দেয়া হয়েছে। পঞ্চম দিনেও বিচারপতি, ফ্রন্টলাইনযোদ্ধা চিকিৎসক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, সাংবাদিকসহ দেশের বিশিষ্টজনরাসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ টিকা নিয়েছেন।

উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া টিকাদান কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার বিষয়ে নিয়মিত খোঁজ-খবর রাখছেন। গতকাল ভার্সিটির কোষাধ্যক্ষ ও বক্ষব্যধি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান কনভেনশন সেন্টারের টিকাদান কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। পরিচালক (হাসপাতাল) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মো. জুলফিকার আহমেদ আমিন ও সহকারী পরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছিক কয়েকজন শিক্ষক জানান, ভার্সিটি কর্তৃপক্ষ করোনা রোগী ও টিকা কেন্দ্র নিয়ে ব্যস্ত। সেখানে অতিরিক্ত জনবল কাজ করছে। যার কারণে এর প্রভাব অন্যান্য বিভাগে পড়ছে।

বৃহস্পতিবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২১ , ২৮ মাঘ ১৪২৭, ২৮ জমাদিউস সানি ১৪৪২

বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় টিকা গ্রহীতাদের ভিড় বাড়ছে

অসংক্রমণ রোগের চিকিৎসায় ব্যাঘাত ঘটছে

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে দলে দলে লোক গিয়ে টিকা নিচ্ছেন। টিকা গ্রহীতাদের ভিড়ের চাপে কর্তৃপক্ষ হিমসিম খাচ্ছেন। জরুরিভিত্তিতে অতিরিক্ত টিকা এনে চাহিদা মিটানো হয়েছে। শুধু তাই না করোনাভাইরাসের টেস্ট্রে ফিভার ক্লিনিক, করোনা ইউনিটে আক্রান্ত রোগীদের ভর্তি, বহিঃবিভাগে আক্রান্তদের চিকিৎসা নিয়ে অতিরিক্ত জনবল ব্যস্ত রয়েছে। ফলে অন্যান্য অসংক্রমণ রোগের চিকিৎসা ও অপারেশনে বিলম্ব হচ্ছে।

ভার্সিটির জনসংযোগ শাখা থেকে বলা হয়েছে, গতকাল করোনা সেন্টারে ১৮৩৪ জন টিকা নিয়েছেন। এ নিয়ে গতকাল পর্যন্ত প্রায় ৫ হাজার জনের টিকা দেয়া হয়েছে। গতকাল মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে টার্গেট ছিল ১২শ টিকা দেয়ার। কিন্তু শেষ পর্যন্ত টিকা নেয়ার সংখ্যা বাড়ার কারণে জরুরিভিত্তিতে অতিরিক্ত টিকা সংগ্রহ করা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কনভেনশন সেন্টারে ৮টি বুথে (পুরাতন শেরাটন হোটেলের উত্তর দিকে) টিকা দেয়া হচ্ছে। গত ২৮ জানুয়ারি প্রথম দিনে ১৯৯ জন টিকা নিয়েছিলেন। সব মিলিয়ে এই সেন্টারে ৪ হাজার ৯৮৮ জন কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিন বা টিকা নিয়েছেন।

টিকা দেয়ার কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর গতকাল ৫ম দিনে সর্বোচ্চ সংখ্যক ১৮৮৮ জনকে টিকা দেয়া হয়েছে। পঞ্চম দিনেও বিচারপতি, ফ্রন্টলাইনযোদ্ধা চিকিৎসক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, সাংবাদিকসহ দেশের বিশিষ্টজনরাসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ টিকা নিয়েছেন।

উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া টিকাদান কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার বিষয়ে নিয়মিত খোঁজ-খবর রাখছেন। গতকাল ভার্সিটির কোষাধ্যক্ষ ও বক্ষব্যধি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান কনভেনশন সেন্টারের টিকাদান কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। পরিচালক (হাসপাতাল) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মো. জুলফিকার আহমেদ আমিন ও সহকারী পরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছিক কয়েকজন শিক্ষক জানান, ভার্সিটি কর্তৃপক্ষ করোনা রোগী ও টিকা কেন্দ্র নিয়ে ব্যস্ত। সেখানে অতিরিক্ত জনবল কাজ করছে। যার কারণে এর প্রভাব অন্যান্য বিভাগে পড়ছে।