এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

অবৈধভাবে বালু ও পাথর তোলার কারণে সুনামগঞ্জের যাদুকাটা এলাকা ধ্বংস হচ্ছে। সংবাদের এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, স্থানীয় দুই প্রভাবশালীর নেতৃত্বে এসব অপরাধ হচ্ছে। তারা যাদুকাটার দুই অংশ নিয়ন্ত্রণ করছে আলাদাভাবে। উল্লে­খ্য, গত ১ ফেব্রুয়ারি সংবাদের স্থানীয় প্রতিনিধি কামাল হোসেন যাদুকাটা নদীর তীর কেটে বালু তোলার খবর সংগ্রহ করতে গেলে দুর্বৃত্তরা তার ওপর সংঘবদ্ধ হামলা চালায়, বর্বরোচিত নির্যাতন চালায় এবং মারাত্মকভাবে আহত করে।

শুধু সুনামগঞ্জের যাদুকাটা এলাকাই নয়, দেশের প্রায় সব নদ-নদীতেই পাথর ও বালুখেকোদের দৌরাত্ম্য অনেক দিনের। এ নিয়ে বিভিন্ন সময় গণমাধ্যমে লেখালেখি হয়েছে। সেখানে দুর্বৃত্তদের নাম-পরিচয় প্রকাশিত হয়েছে; কিন্তু রহস্যজনক কারণে অপরাধের মূলহোতারা ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকছে। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। অভিযোগ রয়েছে- এসব অপরাধীর সঙ্গে ক্ষমতাসীন দল ও পুলিশ সদস্যদের সখ্য আছে। এতে তারা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠছে। এ কারণে তারা সাংবাদিক নির্যাতনের সাহস পাচ্ছে।

এ অনাচার কোনভাবেই মেনে নেয়া যায় না। দুর্বৃত্তদের দমনে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিয়মিতভাবে অভিযান চালানো দরকার। এসব অভিযানে অপরাধের মূলহোতারা যেন গ্রেপ্তার হয় সেদিকে মনোযোগ দিতে হবে। সুনামগঞ্জের সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনায় যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে।

বালু ও পাথর তোলার নির্দিষ্ট আইন আছে। এ আইনের ব্যত্যয় ঘটলে অনতিবিলম্বে দোষী ব্যক্তিকে সাজা দেয়া উচিত। বালু ও পাথর যদি তুলতেই হয়, তবে সেটা অবশ্যই আইন মেনে তুলতে হবে।

বৃহস্পতিবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২১ , ২৮ মাঘ ১৪২৭, ২৮ জমাদিউস সানি ১৪৪২

অবৈধভাবে পাথর ও বালু উত্তোলন

এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

অবৈধভাবে বালু ও পাথর তোলার কারণে সুনামগঞ্জের যাদুকাটা এলাকা ধ্বংস হচ্ছে। সংবাদের এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, স্থানীয় দুই প্রভাবশালীর নেতৃত্বে এসব অপরাধ হচ্ছে। তারা যাদুকাটার দুই অংশ নিয়ন্ত্রণ করছে আলাদাভাবে। উল্লে­খ্য, গত ১ ফেব্রুয়ারি সংবাদের স্থানীয় প্রতিনিধি কামাল হোসেন যাদুকাটা নদীর তীর কেটে বালু তোলার খবর সংগ্রহ করতে গেলে দুর্বৃত্তরা তার ওপর সংঘবদ্ধ হামলা চালায়, বর্বরোচিত নির্যাতন চালায় এবং মারাত্মকভাবে আহত করে।

শুধু সুনামগঞ্জের যাদুকাটা এলাকাই নয়, দেশের প্রায় সব নদ-নদীতেই পাথর ও বালুখেকোদের দৌরাত্ম্য অনেক দিনের। এ নিয়ে বিভিন্ন সময় গণমাধ্যমে লেখালেখি হয়েছে। সেখানে দুর্বৃত্তদের নাম-পরিচয় প্রকাশিত হয়েছে; কিন্তু রহস্যজনক কারণে অপরাধের মূলহোতারা ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকছে। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। অভিযোগ রয়েছে- এসব অপরাধীর সঙ্গে ক্ষমতাসীন দল ও পুলিশ সদস্যদের সখ্য আছে। এতে তারা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠছে। এ কারণে তারা সাংবাদিক নির্যাতনের সাহস পাচ্ছে।

এ অনাচার কোনভাবেই মেনে নেয়া যায় না। দুর্বৃত্তদের দমনে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিয়মিতভাবে অভিযান চালানো দরকার। এসব অভিযানে অপরাধের মূলহোতারা যেন গ্রেপ্তার হয় সেদিকে মনোযোগ দিতে হবে। সুনামগঞ্জের সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনায় যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে।

বালু ও পাথর তোলার নির্দিষ্ট আইন আছে। এ আইনের ব্যত্যয় ঘটলে অনতিবিলম্বে দোষী ব্যক্তিকে সাজা দেয়া উচিত। বালু ও পাথর যদি তুলতেই হয়, তবে সেটা অবশ্যই আইন মেনে তুলতে হবে।