অপসংস্কৃতি রোধ করুন

বাংলার আবহমান সংস্কৃতিকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে ইন্টারনেট ও ভিনদেশি চ্যানেল। টেলিভিশন, সিনেমার যে সব ছবি দেখানো হচ্ছে তার অধিকাংশই আমাদের মন-মানসিকতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। অথচ এ সব অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ ছবি আমাদের তরুণ-তরুণীদের অতি প্রিয় হয়ে গেছে। তাদের এ আচার-আচরণ যেমন কুরুচিপূর্ণ তেমনি আপসংস্কৃতির সহায়ক। আমাদের তরুণ সমাজ আজ এ অপসংস্কৃতির স্রোতে গা ভাসিয়ে দিয়েছে। সত্য ও সুন্দরকে ত্যাগ করে তরুণ সমাজ উগ্র জীবনযাপনে উৎসাহিত হয়ে উঠেছে এবং চরম অবক্ষয়ের মাঝে জীবনবোধ খুঁজে বেড়াচ্ছে। এসবের প্রভাবে ব্যাপকহারে ঘটছে শ্লীলতাহানি, ধর্ষণ, পরকীয়া, পারিবারিক কলহ, হত্যা, এসিড নিক্ষেপ, সন্ত্রাসী কার্যকলাপ।

এ অবস্থার পরিবর্তন জরুরি। প্রয়োজন দেশীয় চ্যানেলগুলোর মানসম্মত অনুষ্ঠান সম্প্রচার ও বিজ্ঞাপন প্রচারে বাড়াবাড়ি কমানো। ভিনদেশি আগ্রাসী চ্যানেলগুলো বন্ধ করে দেয়া অথবা নিয়ন্ত্রণে আনা উচিত। অপসংস্কৃতির আগ্রাসনে বন্ধের জন্য সবচেয়ে কার্যকর উপায় হচ্ছে সুস্থ ও নিজস্ব সাংস্কৃতিক আন্দোলন জোরদার করা। মা-বাবা ও গুরুজনদের দায়িত্বশীল হতে হবে। সবাইকেই সংস্কৃতিমনা সচেতন মানুষ হতে হবে।

দেলোয়ার হোসেন রনি

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়।

বৃহস্পতিবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২১ , ২৮ মাঘ ১৪২৭, ২৮ জমাদিউস সানি ১৪৪২

অপসংস্কৃতি রোধ করুন

বাংলার আবহমান সংস্কৃতিকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে ইন্টারনেট ও ভিনদেশি চ্যানেল। টেলিভিশন, সিনেমার যে সব ছবি দেখানো হচ্ছে তার অধিকাংশই আমাদের মন-মানসিকতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। অথচ এ সব অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ ছবি আমাদের তরুণ-তরুণীদের অতি প্রিয় হয়ে গেছে। তাদের এ আচার-আচরণ যেমন কুরুচিপূর্ণ তেমনি আপসংস্কৃতির সহায়ক। আমাদের তরুণ সমাজ আজ এ অপসংস্কৃতির স্রোতে গা ভাসিয়ে দিয়েছে। সত্য ও সুন্দরকে ত্যাগ করে তরুণ সমাজ উগ্র জীবনযাপনে উৎসাহিত হয়ে উঠেছে এবং চরম অবক্ষয়ের মাঝে জীবনবোধ খুঁজে বেড়াচ্ছে। এসবের প্রভাবে ব্যাপকহারে ঘটছে শ্লীলতাহানি, ধর্ষণ, পরকীয়া, পারিবারিক কলহ, হত্যা, এসিড নিক্ষেপ, সন্ত্রাসী কার্যকলাপ।

এ অবস্থার পরিবর্তন জরুরি। প্রয়োজন দেশীয় চ্যানেলগুলোর মানসম্মত অনুষ্ঠান সম্প্রচার ও বিজ্ঞাপন প্রচারে বাড়াবাড়ি কমানো। ভিনদেশি আগ্রাসী চ্যানেলগুলো বন্ধ করে দেয়া অথবা নিয়ন্ত্রণে আনা উচিত। অপসংস্কৃতির আগ্রাসনে বন্ধের জন্য সবচেয়ে কার্যকর উপায় হচ্ছে সুস্থ ও নিজস্ব সাংস্কৃতিক আন্দোলন জোরদার করা। মা-বাবা ও গুরুজনদের দায়িত্বশীল হতে হবে। সবাইকেই সংস্কৃতিমনা সচেতন মানুষ হতে হবে।

দেলোয়ার হোসেন রনি

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়।