শিক্ষা ক্ষেত্রে যেন আমরা পিছিয়ে না যাই

করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে শিক্ষা ও শিক্ষার্থীরা গভীর অনিশ্চয়তায় পড়েছে। প্রায় এক বছর ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। কবে খুলবে, তা কেউ জানে না। কারণ, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি। শিক্ষা কার্যক্রমে সক্রিয় অংশগ্রহণ করতে না পারায় অনেক শিক্ষার্থীই পাঠাভ্যাস থেকে দূরে সরে যাচ্ছে।

অনেক অভিভাবকদের কাছেই শোনা গেছে যে তাদের ছেলেমেয়েরা বাসায় পড়তে চায় না। ঘরের বাইরে বের হতে না পারায় শিক্ষার্থীদের ওপর মানসিক চাপ বাড়ছে।

নতুন প্রজন্ম শিক্ষা অর্জন করে দেশের সম্পদে পরিণত হবে এটা আমাদের প্রত্যাশা। কিন্তু আগে তো তাকে সুস্থভাবে বেড়ে উঠার সুযোগ দিতে হবে। শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীর পারস্পরিক যোগসূত্র স্থাপন করে ঘরে বসেও পড়ালেখা চালিয়ে যাওয়া সম্ভব। অভিভাবক নিবিড় পরিচর্যা ও পর্যবেক্ষণ করবেন তার সন্তান নিয়মিত পড়ার টেবিলে বসে কিনা।

বিটিভি পূর্ব নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী পাঠদান কার্যক্রম চালাচ্ছে। অনলাইনে শিক্ষক বাতায়নে বিভিন্ন শ্রেণীর বিভিন্ন পাঠদান ভিডিও জ্ঞানমূলক, বিশ্লেষণমূলক পোস্ট আপলোড করা হচ্ছে। এগুলো সংগ্রহ করে লেখাপড়া চালিয়ে যেতে হবে। এই ক্রান্তিকালে শিক্ষার্থীর পাশে থাকা শিক্ষকের দায়িত্ব। এ দায়িত্ব তাদের সঠিকভাবে পালন করতে হবে।

শিক্ষার্থীকে পরীক্ষা নির্ভর না হয়ে জ্ঞান অর্জনের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করা জরুরি। নিয়মিত অধ্যয়নই শিক্ষার্থীর প্রধান কাজ। অভিভাবক, শিক্ষকের নির্দেশনা মেনে ঘরে বসেও মেধাবী শিক্ষার্থী হয়ে গড়ে উঠা সম্ভব। এই প্রাকৃতিক বিপর্যয় হয়তো খুব শিগগির কেটে যাবে। শিক্ষা ক্ষেত্রে যেন আমরা পিছিয়ে না যাই সেই দিকটা বিবেচনায় আনতে হবে।

তামিম সিফাতুল্লাহ

রাজশাহী

বৃহস্পতিবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২১ , ২৮ মাঘ ১৪২৭, ২৮ জমাদিউস সানি ১৪৪২

শিক্ষা ক্ষেত্রে যেন আমরা পিছিয়ে না যাই

করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে শিক্ষা ও শিক্ষার্থীরা গভীর অনিশ্চয়তায় পড়েছে। প্রায় এক বছর ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। কবে খুলবে, তা কেউ জানে না। কারণ, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি। শিক্ষা কার্যক্রমে সক্রিয় অংশগ্রহণ করতে না পারায় অনেক শিক্ষার্থীই পাঠাভ্যাস থেকে দূরে সরে যাচ্ছে।

অনেক অভিভাবকদের কাছেই শোনা গেছে যে তাদের ছেলেমেয়েরা বাসায় পড়তে চায় না। ঘরের বাইরে বের হতে না পারায় শিক্ষার্থীদের ওপর মানসিক চাপ বাড়ছে।

নতুন প্রজন্ম শিক্ষা অর্জন করে দেশের সম্পদে পরিণত হবে এটা আমাদের প্রত্যাশা। কিন্তু আগে তো তাকে সুস্থভাবে বেড়ে উঠার সুযোগ দিতে হবে। শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীর পারস্পরিক যোগসূত্র স্থাপন করে ঘরে বসেও পড়ালেখা চালিয়ে যাওয়া সম্ভব। অভিভাবক নিবিড় পরিচর্যা ও পর্যবেক্ষণ করবেন তার সন্তান নিয়মিত পড়ার টেবিলে বসে কিনা।

বিটিভি পূর্ব নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী পাঠদান কার্যক্রম চালাচ্ছে। অনলাইনে শিক্ষক বাতায়নে বিভিন্ন শ্রেণীর বিভিন্ন পাঠদান ভিডিও জ্ঞানমূলক, বিশ্লেষণমূলক পোস্ট আপলোড করা হচ্ছে। এগুলো সংগ্রহ করে লেখাপড়া চালিয়ে যেতে হবে। এই ক্রান্তিকালে শিক্ষার্থীর পাশে থাকা শিক্ষকের দায়িত্ব। এ দায়িত্ব তাদের সঠিকভাবে পালন করতে হবে।

শিক্ষার্থীকে পরীক্ষা নির্ভর না হয়ে জ্ঞান অর্জনের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করা জরুরি। নিয়মিত অধ্যয়নই শিক্ষার্থীর প্রধান কাজ। অভিভাবক, শিক্ষকের নির্দেশনা মেনে ঘরে বসেও মেধাবী শিক্ষার্থী হয়ে গড়ে উঠা সম্ভব। এই প্রাকৃতিক বিপর্যয় হয়তো খুব শিগগির কেটে যাবে। শিক্ষা ক্ষেত্রে যেন আমরা পিছিয়ে না যাই সেই দিকটা বিবেচনায় আনতে হবে।

তামিম সিফাতুল্লাহ

রাজশাহী