নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার গাড়াগ্রাম ইউনিয়নের পশ্চিম দলিরাম বানিয়া পাড়া গ্রামে জালাল উদ্দিনের শিশুপুত্র সিফাত মিয়া (৫) হত্যার দুই মাস পেরিয়ে গেলেও এখনও কোন আসামি গ্রেফতার হয়নি। ফলে বাদী মামলাটির ভবিষ্যত নিয়ে অনিশ্চায়তায় ভুগছে । মামলার এজাহার ও সরেজমিন পরিদর্শনে জানা গেছে, পূর্বশত্রুতার জের ধরে একই গ্রামের মফেল উদ্দিনের ছেলে জোনাব আলী (৪০) ও তার স্ত্রী লাভলী বেগম (৩৫) পরস্পরে যোগসাজশ করে ২০২০ সালের ৭ নভেম্বর সকাল সাড়ে ৯টার দিকে শিশু সন্তান সিফাত মিয়াকে ডেকে বিষ মিশানো সিংগাড়া খাওয়ায়। এর কিছুক্ষণ পর শিশু সিফাত বমি করে ফেলে এবং প্রচন্ড পেট ব্যথা অনুভব করে চিৎকার করতে থাকে। ওই শিশুর চিৎকার শুনে গ্রামের লোকজন ছুটে এসে চিৎকারের কারণ জিজ্ঞাসা করলে সে সিংগাড়া খেয়ে বমি ও পেটে ব্যথার কথা জানায়। এ সময় সিফাতের মা শিল্পী বেগম গ্রামবাসী ও তার ছেলের মুখে ঘটনার বিবরণ শুনে এ্যাম্বুলেন্স যোগে নিয়ে গিয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনদিন পর ১০ নভেম্বর সিফাত মারা যায়। মৃত্যুর সনদপত্রে কর্তব্যরত ডাক্তার প্রাথমিকভাবে অজানা বিষের কারণে তার মৃত্যুর কথা উল্লেখ করেন। এ ঘটনায় ওইদিনেই সিফাতের ময়নাতদন্ত শেষে রংপুর কোতোয়ালি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি দায়ের করা হয়।
এ ব্যাপারে সিফাতের মা বাদী শিল্পী বেগম কিশোরগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়েরের চেষ্টা করলে পুলিশ মামলা না নিয়ে কোর্টে মামলা করার পরামর্র্শ দেন। বাদী নিরুপায় হয়ে ৬ জনকে আসামি করে কোর্টে একটি পিটিশন মামলা দায়ের করেন।
মামলা নম্বর ৭৮। কিছুদিন পর পুলিশের হাতে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসলে পুলিশ গত ২৯ নভেম্বর দন্ডবিধির ৩০২/৩৪ ধারায় একটি হত্যা মামলা রেকর্ড করে। অফিসার ইনচার্জ মামলাটির তদন্তভার অর্পণ করেন এস আই আলতাফ হোসেনকে।
বাদী শিল্পী বেগম তার স্বামী জালাল উদ্দিনসহ এলাকাবাসী সাংবাদিকদের অভিযোগ করে বলেন, থানায় মামলা হওয়ার ২ মাস পেরিয়ে গেলেও পুলিশ এখন পর্যন্ত একটি আসামিরও টিকিটিও ছুতে পারেনি। আমরা শিশু হত্যা ও মামলার ন্যায় বিচার নিয়ে অনিশ্চিয়তায় আছি।
কিশোরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল আউয়াল বলেন, আসামিদের ধরার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। আসামিদের ধরার জন্য আমার অফিসার ঢাকায় ৬ দিন ছিল।
শুক্রবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২১ , ২৯ মাঘ ১৪২৭, ২৯ জমাদিউস সানি ১৪৪২
প্রতিনিধি, কিশোরগঞ্জ (নীলফামারী)
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার গাড়াগ্রাম ইউনিয়নের পশ্চিম দলিরাম বানিয়া পাড়া গ্রামে জালাল উদ্দিনের শিশুপুত্র সিফাত মিয়া (৫) হত্যার দুই মাস পেরিয়ে গেলেও এখনও কোন আসামি গ্রেফতার হয়নি। ফলে বাদী মামলাটির ভবিষ্যত নিয়ে অনিশ্চায়তায় ভুগছে । মামলার এজাহার ও সরেজমিন পরিদর্শনে জানা গেছে, পূর্বশত্রুতার জের ধরে একই গ্রামের মফেল উদ্দিনের ছেলে জোনাব আলী (৪০) ও তার স্ত্রী লাভলী বেগম (৩৫) পরস্পরে যোগসাজশ করে ২০২০ সালের ৭ নভেম্বর সকাল সাড়ে ৯টার দিকে শিশু সন্তান সিফাত মিয়াকে ডেকে বিষ মিশানো সিংগাড়া খাওয়ায়। এর কিছুক্ষণ পর শিশু সিফাত বমি করে ফেলে এবং প্রচন্ড পেট ব্যথা অনুভব করে চিৎকার করতে থাকে। ওই শিশুর চিৎকার শুনে গ্রামের লোকজন ছুটে এসে চিৎকারের কারণ জিজ্ঞাসা করলে সে সিংগাড়া খেয়ে বমি ও পেটে ব্যথার কথা জানায়। এ সময় সিফাতের মা শিল্পী বেগম গ্রামবাসী ও তার ছেলের মুখে ঘটনার বিবরণ শুনে এ্যাম্বুলেন্স যোগে নিয়ে গিয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনদিন পর ১০ নভেম্বর সিফাত মারা যায়। মৃত্যুর সনদপত্রে কর্তব্যরত ডাক্তার প্রাথমিকভাবে অজানা বিষের কারণে তার মৃত্যুর কথা উল্লেখ করেন। এ ঘটনায় ওইদিনেই সিফাতের ময়নাতদন্ত শেষে রংপুর কোতোয়ালি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি দায়ের করা হয়।
এ ব্যাপারে সিফাতের মা বাদী শিল্পী বেগম কিশোরগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়েরের চেষ্টা করলে পুলিশ মামলা না নিয়ে কোর্টে মামলা করার পরামর্র্শ দেন। বাদী নিরুপায় হয়ে ৬ জনকে আসামি করে কোর্টে একটি পিটিশন মামলা দায়ের করেন।
মামলা নম্বর ৭৮। কিছুদিন পর পুলিশের হাতে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসলে পুলিশ গত ২৯ নভেম্বর দন্ডবিধির ৩০২/৩৪ ধারায় একটি হত্যা মামলা রেকর্ড করে। অফিসার ইনচার্জ মামলাটির তদন্তভার অর্পণ করেন এস আই আলতাফ হোসেনকে।
বাদী শিল্পী বেগম তার স্বামী জালাল উদ্দিনসহ এলাকাবাসী সাংবাদিকদের অভিযোগ করে বলেন, থানায় মামলা হওয়ার ২ মাস পেরিয়ে গেলেও পুলিশ এখন পর্যন্ত একটি আসামিরও টিকিটিও ছুতে পারেনি। আমরা শিশু হত্যা ও মামলার ন্যায় বিচার নিয়ে অনিশ্চিয়তায় আছি।
কিশোরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল আউয়াল বলেন, আসামিদের ধরার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। আসামিদের ধরার জন্য আমার অফিসার ঢাকায় ৬ দিন ছিল।