কাদের মির্জার গাড়িবহরে হামলা

ফেনীর দাগনভূঞায় নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার গাড়ি বহরে হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল দাগনভূঞা বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ফেনী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারী এমপি ও নোয়াখালীর একরামুল করিম চৌধুরীর সন্ত্রাসীরা এ ঘটনাটি ঘটিয়েছে বলে দাবি করেছেন মির্জা কাদের।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, কর্মী বসুরহাট পৌরসভার নব নির্বাচিত মেয়র ও কাউন্সিলররা চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে শপথগ্রহণের জন্য গাড়ি বহর নিয়ে যাচ্ছিলেন। ফেনীর দাগনভূঞা বাজার এলাকা অতিক্রম করার সময়ে কিছু যুবক মির্জা কাদেরের গাড়ি বহরে ইটপাটকেল ও ডিম ছুড়তে থাকে। এতে কোনও হতাহতের ঘটনা না হলেও বহরে থাকা নব নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

পরে সাড়ে ৯টার দিকে ওবায়দুল কাদেরের ছোট মির্জা কাদের ফেসবুক লাইভে এসে বলেন, সকাল ১০টায় চট্টগ্রামে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যাওয়ার সময় ফেনীর দাগনভূঞাতে আমার গাড়ি বহরে হামলা করা হয়েছে। যারা ফেনীতে একরামকে হত্যা করেছে, ঠিক একই কায়দায় আমাকে হত্যা করার জন্য একরাম চৌধুরী ও নিজাম হাজারীর সন্ত্রাসীরা আমার গাড়ি গতিরোধ করে। কিন্তু আল্লাহর অশেষ মেহেরবানীতে একটা ট্রাক থাকার কারণে আমি বেঁচে যাই। কিন্তু আমার পেছনে থাকা বহরের ১০-১২টি গাড়ির ওপর হামলা করা হয়েছে। সেলিম নামের আমাদের আওয়ামী লীগের এক নেতা আহত হয়েছে।

মির্জা কাদের বলেন, ফেনীতে এখন হত্যার রাজনীতি চলছে। আমি আগেও বলেছিলাম এ রাজনীতি বন্ধ করতে। কিন্তু কেন বন্ধ করা হচ্ছে না? আজকে তাদের ইঙ্গিতে একরাম চৌধুরীরা আমাদের উপর হামলা করার মতো ঘটনা ঘটাচ্ছে। এদেশে কি সরকার নেই, প্রশাসন নেই? এসবের কি বিচার হবে না? ফেনীর একরাম ও দাগনভূঞার ফখরুলের হত্যাকারী-নির্দেশদাতারা প্রকাশ্যে চলাফেরা করে।

মির্জা কাদের আরও বলেন, আমরা যাকে মন্ত্রী বানিয়েছি। সে মন্ত্রীর কাজ কি? সে মন্ত্রী অপশক্তির কাছে মাথা নত করেছে। এসব হামলাকারী ও নির্দেশদাতাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে তিনি প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

শুক্রবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২১ , ২৯ মাঘ ১৪২৭, ২৯ জমাদিউস সানি ১৪৪২

ফেনীর দাগনভূঁঞা

কাদের মির্জার গাড়িবহরে হামলা

প্রতিনিধি, ফেনী

ফেনীর দাগনভূঞায় নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার গাড়ি বহরে হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল দাগনভূঞা বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ফেনী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারী এমপি ও নোয়াখালীর একরামুল করিম চৌধুরীর সন্ত্রাসীরা এ ঘটনাটি ঘটিয়েছে বলে দাবি করেছেন মির্জা কাদের।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, কর্মী বসুরহাট পৌরসভার নব নির্বাচিত মেয়র ও কাউন্সিলররা চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে শপথগ্রহণের জন্য গাড়ি বহর নিয়ে যাচ্ছিলেন। ফেনীর দাগনভূঞা বাজার এলাকা অতিক্রম করার সময়ে কিছু যুবক মির্জা কাদেরের গাড়ি বহরে ইটপাটকেল ও ডিম ছুড়তে থাকে। এতে কোনও হতাহতের ঘটনা না হলেও বহরে থাকা নব নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

পরে সাড়ে ৯টার দিকে ওবায়দুল কাদেরের ছোট মির্জা কাদের ফেসবুক লাইভে এসে বলেন, সকাল ১০টায় চট্টগ্রামে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যাওয়ার সময় ফেনীর দাগনভূঞাতে আমার গাড়ি বহরে হামলা করা হয়েছে। যারা ফেনীতে একরামকে হত্যা করেছে, ঠিক একই কায়দায় আমাকে হত্যা করার জন্য একরাম চৌধুরী ও নিজাম হাজারীর সন্ত্রাসীরা আমার গাড়ি গতিরোধ করে। কিন্তু আল্লাহর অশেষ মেহেরবানীতে একটা ট্রাক থাকার কারণে আমি বেঁচে যাই। কিন্তু আমার পেছনে থাকা বহরের ১০-১২টি গাড়ির ওপর হামলা করা হয়েছে। সেলিম নামের আমাদের আওয়ামী লীগের এক নেতা আহত হয়েছে।

মির্জা কাদের বলেন, ফেনীতে এখন হত্যার রাজনীতি চলছে। আমি আগেও বলেছিলাম এ রাজনীতি বন্ধ করতে। কিন্তু কেন বন্ধ করা হচ্ছে না? আজকে তাদের ইঙ্গিতে একরাম চৌধুরীরা আমাদের উপর হামলা করার মতো ঘটনা ঘটাচ্ছে। এদেশে কি সরকার নেই, প্রশাসন নেই? এসবের কি বিচার হবে না? ফেনীর একরাম ও দাগনভূঞার ফখরুলের হত্যাকারী-নির্দেশদাতারা প্রকাশ্যে চলাফেরা করে।

মির্জা কাদের আরও বলেন, আমরা যাকে মন্ত্রী বানিয়েছি। সে মন্ত্রীর কাজ কি? সে মন্ত্রী অপশক্তির কাছে মাথা নত করেছে। এসব হামলাকারী ও নির্দেশদাতাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে তিনি প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।