হিলিতে কেজিতে ১০ টাকা কমলো পেঁয়াজের দাম

বাজারে দেশে উৎপাদিত পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়তে শুরু করেছে। এর প্রভাব পড়েছে পণ্যটির দামে। বাড়তি সরবরাহের জের ধরে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরের পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম দুদিনের ব্যবধানে কেজিপ্রতি আরও ১০ টাকা কমে গেছে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, সরবরাহ বৃদ্ধির এ ধারা অব্যাহত থাকলে আগামী দিনগুলোয় পেঁয়াজের দাম বর্তমানের তুলনায় আরও কমে আসতে পারে।

গত বৃহস্পতিবার হিলির পাইকারি বাজার ঘুরে প্রতি কেজি পেঁয়াজ মানভেদে ২০-২৪ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়। দুদিন আগেও এসব পেঁয়াজ কেজিপ্রতি ৩০-৩২ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। সেই হিসাবে হিলির পাইকারি বাজারে পণ্যটির দাম কেজিপ্রতি সর্বোচ্চ ১০ টাকা কমেছে।

হিলির পেঁয়াজ ব্যবসায়ী ফিরোজ হোসেন বলেন, পাইকারি বাজারে কয়েকদিন আগেও প্রতি মণ মুড়িকাটা পেঁয়াজ ৮০০-৯০০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। মাঝে পণ্যটির সরবরাহ সংকট দেখা দেয়।

এর জের ধরে মুড়িকাটা পেঁয়াজের দাম এক ধাক্কায় মণপ্রতি ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকায় উন্নীত হয়। এ কারণে ব্যবসায়ীরা প্রতি কেজিতে বাড়তি ১০ টাকা করে নিয়েছেন। এখন স্থানীয় মোকামগুলোয় দেশে উৎপাদিত মুড়িকাটা পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়তে শুরু করেছে। ফলে কমে এসেছে দাম। দুদিনের ব্যবধানে হিলির পাইকারি বাজারে মুড়িকাটা পেঁয়াজের দাম কেজিতে সর্বোচ্চ ১০ টাকা কমেছে। বর্তমানে পণ্যটির মণ ফের ৮০০-৯০০ টাকায় নেমে এসেছে।

এদিকে বাজারে দেশে উৎপাদিত মুড়িকাটা পেঁয়াজের সরবরাহ তুলনামূলক কমে আসার জের ধরে অনেক ব্যবসায়ী ও আমদানিকারক ভারত থেকে আমদানি করে মোকাম ভরিয়েছেন। এখন দাম কমতে শুরু করায় তারা মজুদ করা এসব পেঁয়াজ বাজারে ছাড়তে শুরু করেছেন। ফলে পেঁয়াজের সরবরাহ নিয়ে বিদ্যমান সংকট কেটেছে।

শনিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২১ , ৩০ মাঘ ১৪২৭, ৩০ জমাদিউস সানি ১৪৪২

হিলিতে কেজিতে ১০ টাকা কমলো পেঁয়াজের দাম

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক |

image

বাজারে দেশে উৎপাদিত পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়তে শুরু করেছে। এর প্রভাব পড়েছে পণ্যটির দামে। বাড়তি সরবরাহের জের ধরে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরের পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম দুদিনের ব্যবধানে কেজিপ্রতি আরও ১০ টাকা কমে গেছে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, সরবরাহ বৃদ্ধির এ ধারা অব্যাহত থাকলে আগামী দিনগুলোয় পেঁয়াজের দাম বর্তমানের তুলনায় আরও কমে আসতে পারে।

গত বৃহস্পতিবার হিলির পাইকারি বাজার ঘুরে প্রতি কেজি পেঁয়াজ মানভেদে ২০-২৪ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়। দুদিন আগেও এসব পেঁয়াজ কেজিপ্রতি ৩০-৩২ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। সেই হিসাবে হিলির পাইকারি বাজারে পণ্যটির দাম কেজিপ্রতি সর্বোচ্চ ১০ টাকা কমেছে।

হিলির পেঁয়াজ ব্যবসায়ী ফিরোজ হোসেন বলেন, পাইকারি বাজারে কয়েকদিন আগেও প্রতি মণ মুড়িকাটা পেঁয়াজ ৮০০-৯০০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। মাঝে পণ্যটির সরবরাহ সংকট দেখা দেয়।

এর জের ধরে মুড়িকাটা পেঁয়াজের দাম এক ধাক্কায় মণপ্রতি ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকায় উন্নীত হয়। এ কারণে ব্যবসায়ীরা প্রতি কেজিতে বাড়তি ১০ টাকা করে নিয়েছেন। এখন স্থানীয় মোকামগুলোয় দেশে উৎপাদিত মুড়িকাটা পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়তে শুরু করেছে। ফলে কমে এসেছে দাম। দুদিনের ব্যবধানে হিলির পাইকারি বাজারে মুড়িকাটা পেঁয়াজের দাম কেজিতে সর্বোচ্চ ১০ টাকা কমেছে। বর্তমানে পণ্যটির মণ ফের ৮০০-৯০০ টাকায় নেমে এসেছে।

এদিকে বাজারে দেশে উৎপাদিত মুড়িকাটা পেঁয়াজের সরবরাহ তুলনামূলক কমে আসার জের ধরে অনেক ব্যবসায়ী ও আমদানিকারক ভারত থেকে আমদানি করে মোকাম ভরিয়েছেন। এখন দাম কমতে শুরু করায় তারা মজুদ করা এসব পেঁয়াজ বাজারে ছাড়তে শুরু করেছেন। ফলে পেঁয়াজের সরবরাহ নিয়ে বিদ্যমান সংকট কেটেছে।