১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে এলসি না খুললে চালের বরাদ্দপত্র বাতিল

শর্ত সাপেক্ষে চাল আমদানির অনুমতি পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে এলসি খুলতে না পারলে তাদের বরাদ্দ বাতিল করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। গতকাল খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির সভায় খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার এ সিদ্ধান্ত জানান। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয় ।

সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, ১৫ ফেব্রুয়ারির পরে আর কেউ এলসি খুলতে পারবে না। যারা ১৫ তারিখের মধ্যে এলসি খুলতে পারবে না, তাদের বরাদ্দ বাতিল করে অন্য প্রতিষ্ঠানকে দেয়া হবে।’ দেশের ভোমরা, হিলি, বুড়িমারী, বাংলাবান্ধা, শেওলা, সোনা মসজিদসহ যেসব স্থল বন্দর দিয়ে চাল দেশে প্রবেশ করছে। সেসব বন্দরে শত শত চালের ট্রাক অপেক্ষমান রয়েছে। অপেক্ষমান এসব চালের ট্রাক যাতে অগ্রাধিকারভিত্তিতে সীমান্ত দিয়ে দেশে আসতে পারে, সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় মন্ত্রীদের অনুরোধ করেছেন খাদ্যমন্ত্রী।

সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগে আতপ চালের প্রচুর চাহিদা রয়েছে জানিয়ে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড থেকে বেসরকারি পর্যায়ে আতপ চাল আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। নিষেধাজ্ঞা শিথিল করে নন-বাসমতি মোটা আতপ চাল আমদানির অনুমতি দেয়া যায় কিনা তা বিবেচনা করা দরকার।

সীমান্ত দিয়ে চালের ট্রাক প্রবেশে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়া এবং চাল আমদানিতে অন্যান্য যেসব অসুবিধা আছে তা দূর করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত হয়।

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারের সভাপতিত্বে খাদ্য সচিব মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুমের সঞ্চালনায় এ সভায় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, কৃষিমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ ইউনিটের মহাপরিচালক উপস্থিত ছিলেন। খাদ্যমন্ত্রী জানান, ইতোমধ্যে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। এছাড়াও ১৩টি জেলার (খুলনা, রাজশাহী, রংপুর, বগুড়া, যশোর, জয়পুরহাট, সাতক্ষীরা, সিলেট, দিনাজপুর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ, চট্টগ্রাম ও ঢাকা) ডিসি ও আমদানিকারকদের নিয়ে একটি বৈঠক হয়েছে।

শনিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২১ , ৩০ মাঘ ১৪২৭, ৩০ জমাদিউস সানি ১৪৪২

১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে এলসি না খুললে চালের বরাদ্দপত্র বাতিল

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক |

image

শর্ত সাপেক্ষে চাল আমদানির অনুমতি পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে এলসি খুলতে না পারলে তাদের বরাদ্দ বাতিল করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। গতকাল খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির সভায় খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার এ সিদ্ধান্ত জানান। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয় ।

সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, ১৫ ফেব্রুয়ারির পরে আর কেউ এলসি খুলতে পারবে না। যারা ১৫ তারিখের মধ্যে এলসি খুলতে পারবে না, তাদের বরাদ্দ বাতিল করে অন্য প্রতিষ্ঠানকে দেয়া হবে।’ দেশের ভোমরা, হিলি, বুড়িমারী, বাংলাবান্ধা, শেওলা, সোনা মসজিদসহ যেসব স্থল বন্দর দিয়ে চাল দেশে প্রবেশ করছে। সেসব বন্দরে শত শত চালের ট্রাক অপেক্ষমান রয়েছে। অপেক্ষমান এসব চালের ট্রাক যাতে অগ্রাধিকারভিত্তিতে সীমান্ত দিয়ে দেশে আসতে পারে, সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় মন্ত্রীদের অনুরোধ করেছেন খাদ্যমন্ত্রী।

সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগে আতপ চালের প্রচুর চাহিদা রয়েছে জানিয়ে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড থেকে বেসরকারি পর্যায়ে আতপ চাল আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। নিষেধাজ্ঞা শিথিল করে নন-বাসমতি মোটা আতপ চাল আমদানির অনুমতি দেয়া যায় কিনা তা বিবেচনা করা দরকার।

সীমান্ত দিয়ে চালের ট্রাক প্রবেশে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়া এবং চাল আমদানিতে অন্যান্য যেসব অসুবিধা আছে তা দূর করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত হয়।

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারের সভাপতিত্বে খাদ্য সচিব মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুমের সঞ্চালনায় এ সভায় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, কৃষিমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ ইউনিটের মহাপরিচালক উপস্থিত ছিলেন। খাদ্যমন্ত্রী জানান, ইতোমধ্যে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। এছাড়াও ১৩টি জেলার (খুলনা, রাজশাহী, রংপুর, বগুড়া, যশোর, জয়পুরহাট, সাতক্ষীরা, সিলেট, দিনাজপুর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ, চট্টগ্রাম ও ঢাকা) ডিসি ও আমদানিকারকদের নিয়ে একটি বৈঠক হয়েছে।