কেশবপুরে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর হুমকি দিয়ে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ভাঙচুর

যশোরের কেশবপুরে পৌরসভা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর হুমকি দিয়ে এক কাউন্সিলর প্রার্থীসহ তার নেতাকর্মীদের মারপিট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে প্রায় অর্ধলাখ টাকার ক্ষতিসাধন করা হয়েছে। এ ঘটনায় ৮নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর আব্দুল হালিম বাদী হয়ে ওই ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর মফিজুর রহমান খানসহ ৫ জনকে অভিযুক্ত করে উপজেলা রিটার্নির অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ কেশবপুর থানায় পৃথক দুটি অভিযোগপত্র দাখিল করেছেন। অভিযোগে বলা হয়েছে, কেশবপুর পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল হালিম আসন্ন ২৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ওই ওয়ার্ডে বর্তমান কাউন্সিলর মফিজুর রহমানকে ২য় বারের মতো আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। দু’জন প্রার্থীই সমানতালে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। এদিকে, গত ১০ ফেব্রুয়ারি রাত ৯টার দিকে বিএনপির কাউন্সিলর প্রার্থী আব্দুল হালিম শহরের বকুলতলা বাজারে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বসে কর্মী, সমর্থকদের নিয়ে আলোচনা করছিলেন। এ সময় কাউন্সিলর মফিজুর রহমানের নের্তৃত্বে ৭-৮ জন যুবক আতর্কিতভাবে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ঢুকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর হুমকি দেয়। এক পর্যায়ে তারা কাউন্সিলর প্রার্থী আব্দুল হালিমসহ তার কর্মী সমর্থকদের ওপর হামলা চালিয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুর করে প্রায় অর্ধলাখ টাকার ক্ষতিসাধন করে। হামলায় কাউন্সিলর প্রার্থী আব্দুল হালিমসহ শাহাজান বাবু ও জনি আহত হন। এ ব্যাপারে বর্তমান কাউন্সিলর মফিজুর রহমান বলেন, আমার নের্তৃত্বে কোন হামলার ঘটনা ঘটেনি। তারা মিথ্যা বলেছে। কেবা কারা তার ওপর হামলা করেছে তাও আমি জানি না। কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. জসিমউদ্দীন বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

শনিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২১ , ৩০ মাঘ ১৪২৭, ৩০ জমাদিউস সানি ১৪৪২

কেশবপুরে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর হুমকি দিয়ে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ভাঙচুর

প্রতিনিধি, কেশবপুর (যশোর)

যশোরের কেশবপুরে পৌরসভা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর হুমকি দিয়ে এক কাউন্সিলর প্রার্থীসহ তার নেতাকর্মীদের মারপিট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে প্রায় অর্ধলাখ টাকার ক্ষতিসাধন করা হয়েছে। এ ঘটনায় ৮নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর আব্দুল হালিম বাদী হয়ে ওই ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর মফিজুর রহমান খানসহ ৫ জনকে অভিযুক্ত করে উপজেলা রিটার্নির অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ কেশবপুর থানায় পৃথক দুটি অভিযোগপত্র দাখিল করেছেন। অভিযোগে বলা হয়েছে, কেশবপুর পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল হালিম আসন্ন ২৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ওই ওয়ার্ডে বর্তমান কাউন্সিলর মফিজুর রহমানকে ২য় বারের মতো আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। দু’জন প্রার্থীই সমানতালে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। এদিকে, গত ১০ ফেব্রুয়ারি রাত ৯টার দিকে বিএনপির কাউন্সিলর প্রার্থী আব্দুল হালিম শহরের বকুলতলা বাজারে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বসে কর্মী, সমর্থকদের নিয়ে আলোচনা করছিলেন। এ সময় কাউন্সিলর মফিজুর রহমানের নের্তৃত্বে ৭-৮ জন যুবক আতর্কিতভাবে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ঢুকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর হুমকি দেয়। এক পর্যায়ে তারা কাউন্সিলর প্রার্থী আব্দুল হালিমসহ তার কর্মী সমর্থকদের ওপর হামলা চালিয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুর করে প্রায় অর্ধলাখ টাকার ক্ষতিসাধন করে। হামলায় কাউন্সিলর প্রার্থী আব্দুল হালিমসহ শাহাজান বাবু ও জনি আহত হন। এ ব্যাপারে বর্তমান কাউন্সিলর মফিজুর রহমান বলেন, আমার নের্তৃত্বে কোন হামলার ঘটনা ঘটেনি। তারা মিথ্যা বলেছে। কেবা কারা তার ওপর হামলা করেছে তাও আমি জানি না। কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. জসিমউদ্দীন বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।