সামরিক শাসকের বিরুদ্ধে

কঠোর আন্তর্জাতিক পদক্ষেপ চায় সু চির সমর্থকরা

ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সু চির সমর্থকরা যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে মায়ানমারের জেনারেলদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলেও এতে খুশি হতে পারছেন না। মায়ানমারের সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে আরও কঠোর আন্তর্জাতিক পদক্ষেপ চান তারা। এএফপি

১ ফেব্রুয়ারি ভোরে মায়ানমারের ক্ষমতা দখল করে দেশটির সামরিক বাহিনী। এই সামরিক অভ্যুত্থান ও ২৬০ জনেরও বেশি অন্যান্য নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিসহ সু চিকে গ্রেপ্তার করে মায়ানমারের গণতান্ত্রিক সংস্কারের পথ রুদ্ধ করে দিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী। এসব ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় ২০০৭ সালের জাফরান বিপ্লবের পর দেশটিতে সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে। দেশটিতে টানা ছয় দিন ধরে অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভ চলার পর যুক্তরাষ্ট্র সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে প্রথম ধাপের নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করেছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, সু চির দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্র্যাসির (এনএলডি) সমর্থকরা ওয়াশিংটনের এ পদক্ষেপকে স্বাগত জানালেও এটি যথেষ্ট নয় বলে মন্তব্য করেছেন।

সামরিক বাহিনীকে ক্ষমতা থেকে সরাতে ও নভেম্বরের নির্বাচনে এনএলডির বড় ধরনের জয়কে স্বীকৃতি দিতে বাহিনীটিকে বাধ্য করতে আরও কঠোর পদক্ষেপ নেয়া দরকার বলে মনে করছেন তারা।

সু চির সমর্থক মো থাল বলেন, মায়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের কারণে যখন আমরা প্রতিটি দিন আর প্রতিটি রাতে ভুগছি তখন এর চেয়েও বেশি পদক্ষেপের আশায় আছি আমরা। যত দ্রুত সম্ভব আমরা এর অবসান চাই।

মায়ানমারের ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট ও জেনারেলদের বিরুদ্ধে আরও শাস্তি ও পদক্ষেপ সম্ভবত দরকার। রয়টার্স আরও জানিয়েছে, মায়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী আবারও আরেক দফায় ধরপাকড় চালিয়েছে। এবার যাদের আটক করা হয়েছে তাদের মধ্যে অন্তত একজন চিকিৎসক রয়েছেন যিনি ক্রমবর্ধমান আইন অমান্য আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন। কিছু এলাকায় লোকজন জড়ো হয়ে গ্রেপ্তারকৃতদের ধরে নিয়ে যেতে বাধা দিয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক জানিয়েছে, ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে মায়ানমারের সামরিক বাহিনী ভুল তথ্য ছড়িয়ে যাচ্ছে তাই তাদের পরিচালিত বিষয়বস্তুগুলোর দৃশ্যমানতা ছেঁটে দিচ্ছে তারা। পাশাপাশি মায়ানমারের সরকারি সংস্থাগুলোর বিষয়বস্তু সরানোর অনুরোধ পাঠানোর সুযোগও স্থগিত করবে বলে জানিয়েছে ফেসবুক।

ওয়াশিংটন তাদের প্রথম ধাপের নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করার পর ইউরোপীয় ইউনিয়নের আইনপ্রণেতারা তাদের দেশগুলোকেও মায়ানমারের সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। যুক্তরাজ্য জানিয়েছে, সু চির সরকারকে ক্ষমতা থেকে হটানো ১ ফেব্রুয়ারির অভ্যুত্থানের ঘটনায় শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেয়ার বিষয়টি বিবেচনা করছে তারা।

শনিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২১ , ৩০ মাঘ ১৪২৭, ৩০ জমাদিউস সানি ১৪৪২

সামরিক শাসকের বিরুদ্ধে

কঠোর আন্তর্জাতিক পদক্ষেপ চায় সু চির সমর্থকরা

image

সামরিক শাসকের বিরুদ্ধে কঠোর আন্তর্জাতিক পদক্ষেপ চেয়ে বিক্ষোভ করে সু চির সমর্থকরা - রয়টার্স

ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সু চির সমর্থকরা যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে মায়ানমারের জেনারেলদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলেও এতে খুশি হতে পারছেন না। মায়ানমারের সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে আরও কঠোর আন্তর্জাতিক পদক্ষেপ চান তারা। এএফপি

১ ফেব্রুয়ারি ভোরে মায়ানমারের ক্ষমতা দখল করে দেশটির সামরিক বাহিনী। এই সামরিক অভ্যুত্থান ও ২৬০ জনেরও বেশি অন্যান্য নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিসহ সু চিকে গ্রেপ্তার করে মায়ানমারের গণতান্ত্রিক সংস্কারের পথ রুদ্ধ করে দিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী। এসব ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় ২০০৭ সালের জাফরান বিপ্লবের পর দেশটিতে সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে। দেশটিতে টানা ছয় দিন ধরে অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভ চলার পর যুক্তরাষ্ট্র সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে প্রথম ধাপের নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করেছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, সু চির দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্র্যাসির (এনএলডি) সমর্থকরা ওয়াশিংটনের এ পদক্ষেপকে স্বাগত জানালেও এটি যথেষ্ট নয় বলে মন্তব্য করেছেন।

সামরিক বাহিনীকে ক্ষমতা থেকে সরাতে ও নভেম্বরের নির্বাচনে এনএলডির বড় ধরনের জয়কে স্বীকৃতি দিতে বাহিনীটিকে বাধ্য করতে আরও কঠোর পদক্ষেপ নেয়া দরকার বলে মনে করছেন তারা।

সু চির সমর্থক মো থাল বলেন, মায়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের কারণে যখন আমরা প্রতিটি দিন আর প্রতিটি রাতে ভুগছি তখন এর চেয়েও বেশি পদক্ষেপের আশায় আছি আমরা। যত দ্রুত সম্ভব আমরা এর অবসান চাই।

মায়ানমারের ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট ও জেনারেলদের বিরুদ্ধে আরও শাস্তি ও পদক্ষেপ সম্ভবত দরকার। রয়টার্স আরও জানিয়েছে, মায়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী আবারও আরেক দফায় ধরপাকড় চালিয়েছে। এবার যাদের আটক করা হয়েছে তাদের মধ্যে অন্তত একজন চিকিৎসক রয়েছেন যিনি ক্রমবর্ধমান আইন অমান্য আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন। কিছু এলাকায় লোকজন জড়ো হয়ে গ্রেপ্তারকৃতদের ধরে নিয়ে যেতে বাধা দিয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক জানিয়েছে, ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে মায়ানমারের সামরিক বাহিনী ভুল তথ্য ছড়িয়ে যাচ্ছে তাই তাদের পরিচালিত বিষয়বস্তুগুলোর দৃশ্যমানতা ছেঁটে দিচ্ছে তারা। পাশাপাশি মায়ানমারের সরকারি সংস্থাগুলোর বিষয়বস্তু সরানোর অনুরোধ পাঠানোর সুযোগও স্থগিত করবে বলে জানিয়েছে ফেসবুক।

ওয়াশিংটন তাদের প্রথম ধাপের নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করার পর ইউরোপীয় ইউনিয়নের আইনপ্রণেতারা তাদের দেশগুলোকেও মায়ানমারের সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। যুক্তরাজ্য জানিয়েছে, সু চির সরকারকে ক্ষমতা থেকে হটানো ১ ফেব্রুয়ারির অভ্যুত্থানের ঘটনায় শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেয়ার বিষয়টি বিবেচনা করছে তারা।