অগ্রিম ভ্যাটের অর্থ নিয়ে জটিলতা কাটছে

অবশেষে অগ্রিম প্রদান করা ভ্যাট ফেরত পাচ্ছেন ব্যবসারীরা। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) শুল্ক রেয়াত ও প্রত্যর্পণ অফিস বা ডেডো হতে রপ্তানিকারকদের বহুল আলোচিত অগ্রিম ভ্যাটের টাকা ফেরত পাওয়ার জটিলতা কাটছে বলে জানা গেছে। বৃহৎ করদাতা ইউনিটের পরামর্শে অনৈতিকভাবে আটকে রাখা ওই অর্থ ফেরত দিতে সব ধরনের জট দ্রুত ছাড়াতে সম্মত হয়েছে এনবিআর। ফলে ডেডোতে আটকে থাকা শত শত রপ্তানিকারকের বিপুল পরিমাণ প্রাপ্য অর্থ শীঘ্রই ফেরত আসতে পারে।

গত মঙ্গলবার এনবিআর সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের নিয়ে এই বিষয়ে বৈঠক করে। বৈঠকে বছরের পর বছর ব্যবসায়ীদের প্রাপ্য ওই অর্থ আটকে রাখা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন খোদ এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম। সরকারের কাছ থেকে নেয়া গ্যাস শিল্প কারখানায় ব্যবহারের জন্য রপ্তানিকারকরা পরিশোধিত ভ্যাটের ৮০ শতাংশই ফেরত পেয়ে আসছিলেন। ২০০৫ সাল থেকে এ সুবিধা দিয়ে আসছে সরকার। গত বছর থেকে নতুন ভ্যাট আইনের আওতায় শতভাগই ফেরত দেয়ার বিধান রয়েছে। ডেডোতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ আবেদন করার পর ওই অর্থ ফেরত দেয়া হতো। কিন্তু এক ‘অযৌক্তিক’ কারণে ২০১৭ সাল থেকে রপ্তানিকারকদের ওই অর্থ ফেরত দেয়া বন্ধ রাখে ডেডো।

সূত্র জানায়, এনবিআরের বৃহৎ করদাতা ইউনিট বা এলটিইউ পেট্রোবাংলার কাছে ভ্যাটের অর্থ পাওনা রয়েছে। পেট্রোবাংলা থেকে ওই অর্থ উদ্ধার করতে না পেরে আটকে দেয় ব্যবসায়ীদের যৌক্তিক পাওনা। ২০০ শিল্প প্রতিষ্ঠানের প্রায় শত কোটি টাকা আটকে আছে। ইস্যুটি নিয়ে শিল্পোদ্যোক্তাদের একাধিক সংগঠন অসন্তোষ জানিয়ে এনবিআরকে চিঠি পাঠায়। সর্বশেষ তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ একটি চিঠি পাঠায়। চিঠিতে বলা হয়, এলটিইউএর চিঠি পেয়ে ডেডো কর্তৃক উদ্যোক্তাদের গ্যাস বিলের ভ্যাট ফেরত দেয়া বন্ধ রেখেছে, যা ‘মোটেও আইনসিদ্ধ’ নয়। এলটিইউকে তৃতীয় পক্ষ হিসেবে নিয়ে আসায় এই উদ্ভূত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

রবিবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২১ , ৩১ মাঘ ১৪২৭, ৩১ জমাদিউস সানি ১৪৪২

অগ্রিম ভ্যাটের অর্থ নিয়ে জটিলতা কাটছে

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক |

image

অবশেষে অগ্রিম প্রদান করা ভ্যাট ফেরত পাচ্ছেন ব্যবসারীরা। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) শুল্ক রেয়াত ও প্রত্যর্পণ অফিস বা ডেডো হতে রপ্তানিকারকদের বহুল আলোচিত অগ্রিম ভ্যাটের টাকা ফেরত পাওয়ার জটিলতা কাটছে বলে জানা গেছে। বৃহৎ করদাতা ইউনিটের পরামর্শে অনৈতিকভাবে আটকে রাখা ওই অর্থ ফেরত দিতে সব ধরনের জট দ্রুত ছাড়াতে সম্মত হয়েছে এনবিআর। ফলে ডেডোতে আটকে থাকা শত শত রপ্তানিকারকের বিপুল পরিমাণ প্রাপ্য অর্থ শীঘ্রই ফেরত আসতে পারে।

গত মঙ্গলবার এনবিআর সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের নিয়ে এই বিষয়ে বৈঠক করে। বৈঠকে বছরের পর বছর ব্যবসায়ীদের প্রাপ্য ওই অর্থ আটকে রাখা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন খোদ এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম। সরকারের কাছ থেকে নেয়া গ্যাস শিল্প কারখানায় ব্যবহারের জন্য রপ্তানিকারকরা পরিশোধিত ভ্যাটের ৮০ শতাংশই ফেরত পেয়ে আসছিলেন। ২০০৫ সাল থেকে এ সুবিধা দিয়ে আসছে সরকার। গত বছর থেকে নতুন ভ্যাট আইনের আওতায় শতভাগই ফেরত দেয়ার বিধান রয়েছে। ডেডোতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ আবেদন করার পর ওই অর্থ ফেরত দেয়া হতো। কিন্তু এক ‘অযৌক্তিক’ কারণে ২০১৭ সাল থেকে রপ্তানিকারকদের ওই অর্থ ফেরত দেয়া বন্ধ রাখে ডেডো।

সূত্র জানায়, এনবিআরের বৃহৎ করদাতা ইউনিট বা এলটিইউ পেট্রোবাংলার কাছে ভ্যাটের অর্থ পাওনা রয়েছে। পেট্রোবাংলা থেকে ওই অর্থ উদ্ধার করতে না পেরে আটকে দেয় ব্যবসায়ীদের যৌক্তিক পাওনা। ২০০ শিল্প প্রতিষ্ঠানের প্রায় শত কোটি টাকা আটকে আছে। ইস্যুটি নিয়ে শিল্পোদ্যোক্তাদের একাধিক সংগঠন অসন্তোষ জানিয়ে এনবিআরকে চিঠি পাঠায়। সর্বশেষ তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ একটি চিঠি পাঠায়। চিঠিতে বলা হয়, এলটিইউএর চিঠি পেয়ে ডেডো কর্তৃক উদ্যোক্তাদের গ্যাস বিলের ভ্যাট ফেরত দেয়া বন্ধ রেখেছে, যা ‘মোটেও আইনসিদ্ধ’ নয়। এলটিইউকে তৃতীয় পক্ষ হিসেবে নিয়ে আসায় এই উদ্ভূত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।