রিকন্ডিশন্ড মোটরযান খাতের উন্নয়নে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান

রিকন্ডিশন্ড মোটরযান খাতের উন্নয়নে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ রিকন্ডিশন্ড ভেহিক্যালস ইম্পোর্টার্স অ্যান্ড ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বারভিডা)। সম্প্রতি সংগঠনটির বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এ সময় মোটরযান ব্যবসায়ীরা এসব কথা বলেন। বারভিডা সভাপতি আবদুল হকের সভাপতিত্বে ঢাকা লেডিজ ক্লাবে অনুষ্ঠিত এ সভায় অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি জেনারেল, ভাইস প্রেসিডেন্ট, সাবেক প্রেসিডেন্ট এবং কার্যনির্বাহী সদস্যসহ প্রায় ৪শ’ সদস্য উপস্থিত ছিলেন।

সভায় বারভিডা প্রেসিডেন্ট বলেন, বারভিডার বর্তমান কার্যনির্বাহী পরিষদ সংগঠনের সদস্যদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের পাশাপাশি রিকন্ডিশন্ড গাড়ি আমদানি খাতের উন্নয়নে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। নতুন ও পুরনো গাড়ির শুল্ক বৈষম্য নিরসনে তারা সক্রিয়ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন বলে বারভিডা প্রেসিডেন্ট জানান। একটি জাতীয়ভিত্তিক বাণিজ্য সংগঠন হিসেবে বারভিডায় তথ্যপ্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন আরও গতিশীল ও বলিষ্ঠ নেতৃত্ব গড়ে তোলার লক্ষ্যে তিনি তরুণ প্রজন্মকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

বার্ষিক সাধারণ সভায় অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম তার উপস্থাপিত ২০২০ সালের প্রতিবেদনে সংগঠনের গত ১ বছরের উল্লেখযোগ্য কার্যক্রমসমূহ তুলে ধরেন। তিনি সংগঠনের গত ১ বছরের আয়-ব্যয়ের হিসাব উপস্থাপন করেন। এছাড়া সভায় বারভিডার আগামী অর্থবছরের বার্ষিক বাজেট অনুমোদন করা হয় এবং অডিটর নিয়োগ করা হয়।

সাধারণ সভার উন্মুক্ত আলোচনা পর্বে অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সদস্য দেশের রিকন্ডিশন্ড গাড়ি আমদানি খাত এবং সংগঠনের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। বারভিডাকে আরও গতিশীল, কার্যকর এবং যুগোপযোগী একটি বাণিজ্য সংগঠন হিসেবে গড়ে তুলতে তারা সর্বাত্মক সহযোগিতা ও সমর্থন দেন।

উল্লেখ্য, বারভিডা দেশের রিকন্ডিশন্ড গাড়ি আমদানি ও বিপণন খাতের জাতীয়ভিত্তিক বাণিজ্য সংগঠন। সংগঠনটি গত তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে দেশের পরিবহন খাতে গাড়ি সরবরাহে প্রায় ৮৫ শতাংশ অবদান রেখে আসছে। রিকন্ডিশন্ড গাড়ি আমদানি ও বিপণন খাতে দেশে স্থানীয় বিনিয়োগ কয়েক হাজার কোটি টাকা। বারভিডার প্রায় ৯০০ সদস্য এ ব্যবসা খাতে নিয়োজিত রয়েছেন। বারভিডার সদস্য প্রতিষ্ঠানগুলো প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে দেশে লক্ষাধিক জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছে। বারভিডা সরকারকে বছরে কয়েক হাজার কোটি টাকা রাজস্ব প্রদান করে থাকে। গাড়ি ব্যবসাকে নির্ভর করে ব্যাংক, লিজিং কোম্পানি, বীমা কোম্পানি ইত্যাদি সম্প্রসারিত হওয়ায় রিকন্ডিশন্ড মোটরযান বাণিজ্য খাত জাতীয় অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। বারভিডার সদস্য প্রতিষ্ঠানগুলো বিক্রয় সেবার ওপর ভ্যাট, নিবন্ধন ফি ও রোড ট্যাক্স প্রদানের মাধ্যমে একটি ব্যাপকভিত্তিক কর ব্যবস্থা গড়ে তোলার ক্ষেত্রে অবদান রাখছে।

রবিবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২১ , ৩১ মাঘ ১৪২৭, ৩১ জমাদিউস সানি ১৪৪২

রিকন্ডিশন্ড মোটরযান খাতের উন্নয়নে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক |

রিকন্ডিশন্ড মোটরযান খাতের উন্নয়নে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ রিকন্ডিশন্ড ভেহিক্যালস ইম্পোর্টার্স অ্যান্ড ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বারভিডা)। সম্প্রতি সংগঠনটির বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এ সময় মোটরযান ব্যবসায়ীরা এসব কথা বলেন। বারভিডা সভাপতি আবদুল হকের সভাপতিত্বে ঢাকা লেডিজ ক্লাবে অনুষ্ঠিত এ সভায় অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি জেনারেল, ভাইস প্রেসিডেন্ট, সাবেক প্রেসিডেন্ট এবং কার্যনির্বাহী সদস্যসহ প্রায় ৪শ’ সদস্য উপস্থিত ছিলেন।

সভায় বারভিডা প্রেসিডেন্ট বলেন, বারভিডার বর্তমান কার্যনির্বাহী পরিষদ সংগঠনের সদস্যদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের পাশাপাশি রিকন্ডিশন্ড গাড়ি আমদানি খাতের উন্নয়নে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। নতুন ও পুরনো গাড়ির শুল্ক বৈষম্য নিরসনে তারা সক্রিয়ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন বলে বারভিডা প্রেসিডেন্ট জানান। একটি জাতীয়ভিত্তিক বাণিজ্য সংগঠন হিসেবে বারভিডায় তথ্যপ্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন আরও গতিশীল ও বলিষ্ঠ নেতৃত্ব গড়ে তোলার লক্ষ্যে তিনি তরুণ প্রজন্মকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

বার্ষিক সাধারণ সভায় অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম তার উপস্থাপিত ২০২০ সালের প্রতিবেদনে সংগঠনের গত ১ বছরের উল্লেখযোগ্য কার্যক্রমসমূহ তুলে ধরেন। তিনি সংগঠনের গত ১ বছরের আয়-ব্যয়ের হিসাব উপস্থাপন করেন। এছাড়া সভায় বারভিডার আগামী অর্থবছরের বার্ষিক বাজেট অনুমোদন করা হয় এবং অডিটর নিয়োগ করা হয়।

সাধারণ সভার উন্মুক্ত আলোচনা পর্বে অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সদস্য দেশের রিকন্ডিশন্ড গাড়ি আমদানি খাত এবং সংগঠনের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। বারভিডাকে আরও গতিশীল, কার্যকর এবং যুগোপযোগী একটি বাণিজ্য সংগঠন হিসেবে গড়ে তুলতে তারা সর্বাত্মক সহযোগিতা ও সমর্থন দেন।

উল্লেখ্য, বারভিডা দেশের রিকন্ডিশন্ড গাড়ি আমদানি ও বিপণন খাতের জাতীয়ভিত্তিক বাণিজ্য সংগঠন। সংগঠনটি গত তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে দেশের পরিবহন খাতে গাড়ি সরবরাহে প্রায় ৮৫ শতাংশ অবদান রেখে আসছে। রিকন্ডিশন্ড গাড়ি আমদানি ও বিপণন খাতে দেশে স্থানীয় বিনিয়োগ কয়েক হাজার কোটি টাকা। বারভিডার প্রায় ৯০০ সদস্য এ ব্যবসা খাতে নিয়োজিত রয়েছেন। বারভিডার সদস্য প্রতিষ্ঠানগুলো প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে দেশে লক্ষাধিক জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছে। বারভিডা সরকারকে বছরে কয়েক হাজার কোটি টাকা রাজস্ব প্রদান করে থাকে। গাড়ি ব্যবসাকে নির্ভর করে ব্যাংক, লিজিং কোম্পানি, বীমা কোম্পানি ইত্যাদি সম্প্রসারিত হওয়ায় রিকন্ডিশন্ড মোটরযান বাণিজ্য খাত জাতীয় অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। বারভিডার সদস্য প্রতিষ্ঠানগুলো বিক্রয় সেবার ওপর ভ্যাট, নিবন্ধন ফি ও রোড ট্যাক্স প্রদানের মাধ্যমে একটি ব্যাপকভিত্তিক কর ব্যবস্থা গড়ে তোলার ক্ষেত্রে অবদান রাখছে।