দেশে করোনা

দশ মাসে সর্বনিম্ন শনাক্ত

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে আট হাজার ২৬৬ জনের। নতুন শনাক্ত হয়েছেন ২৯১ জন। এর আগে গত ৭ ফেব্রুয়ারি শনাক্ত ছিল ২৯২ জন। এরপর এত কম আর শনাক্ত হয়নি। অর্থাৎ গত ১০ মাস ১২ দিনে এটাই সর্বনি¤œ শনাক্ত। এ নিয়ে করোনায় এখন পর্যন্ত শনাক্ত হলেন ৫ লাখ ৪০ হাজার ২৬৬ জন।

গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে উপসর্গবিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৩৭৪ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন চার লাখ ৮৬ হাজার ৭৬৭ জন। সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ২১০টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা হয়েছে। এরমধ্যে আরটি-পিসিআর ল্যাব ১১৬টি, জিন-এক্সপার্ট ২৯টি, র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন ৬৫টি। এসব ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ১২ হাজার ৩৯৭টি। আগের মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১২ হাজার ৮৭১টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৩৮ লাখ ৩৫ হাজার ২১৬টি।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ২ দশমিক ২৬ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ০৯ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯০ দশমিক ১০ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুহার এক দশমিক ৫৩ শতাংশ।

বিজ্ঞপ্তিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, ২৪ ঘণ্টায় মৃত ১৩ জনের মধ্যে সাতজন পুরুষ, নারী ছয়জন। এদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে সাতজন, চট্টগ্রাম ও রাজশাহী বিভাগে দুইজন করে চারজন। এছাড়া সিলোট ও ময়মনসিংহ বিভাগে একজন করে দুইজন রয়েছেন। এদের মধ্যে হাসপাতালেই মারা গেছেন ১৩ জন। ২৪ ঘণ্টায় মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৬০ বছরে ঊর্ধ্বে ছয়জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে চারজন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে একজন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে একজন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে একজন রয়েছেন।

এ পর্যন্ত যারা মারা গেছেন, তাদের বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে জানানো হয়, ষাটোর্ধ্ব রোগীদের মৃত্যুহার ৫৫ দশমিক ৫২ শতাংশ, ৫১ থেকে ৬০ বয়সী রোগীদের মৃত্যুহার ২৪ দশমিক ৯১ শতাংশ, ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সী রোগীদের মৃত্যুহার ১১ দশমিক ৩৭ শতাংশ, ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সী রোগীদের মৃত্যুহার ৫ শতাংশ, ২১ থেকে ৩০ বয়সী রোগীদের মৃত্যুহার ২ দশমিক ০২ শতাংশ, ১১ থেকে ২০ বছর বয়সী বয়সী রোগীদের মৃত্যুহার শূন্য দশমিক ৭৫ শতাংশ ও শূন্য থেকে ১০ বছর বয়সী রোগীদের মৃত্যুহার শূন্য দশমিক ৪৪ শতাংশ।

এলাকাভিত্তিক বিশ্লেষণে মৃতের হার ঢাকা বিভাগে ৫৫ দশমিক ৭৭ শতাংশ, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৮ দশমিক ৩৫ শতাংশ, রাজশাহীতে ৫ দশমিক ৭১ শতাংশ, খুলনায় ৬ দশমিক ৭৩ শতাংশ, বরিশালে ৩ দশমিক ০১ শতাংশ, সিলেটে ৩ দশমিক ৭৪ শতাংশ, রংপুরে ৪ দশমিক ৩৪ শতাংশ ও ময়মনসিংহে ২ দশমিক ৩৫ শতাংশ। এ পর্যন্ত ঢাকা বিভাগে মারা গেছেন ৪ হাজার ৬১০ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১ হাজার ৫১৭ জন, রাজশাহীতে ৪৭২ জন, খুলনায় ৫৫৬ জন, বরিশাল ২৪৯ জন, সিলেটে ৩০৯ জন, রংপুরে ৩৫৯ জন ও ময়মনসিংহ বিভাগে ১৯৪ জন।

বিজ্ঞপ্তিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ৪২ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৬৬ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন ৯৯ হাজার ৮০৮ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র নিয়েছেন ৮৯ হাজার ৭৪০ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১০ হাজার ৬৮ জন।

জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বিশ্বে শনাক্তের দিক থেকে ৩২তম স্থানে আছে বাংলাদেশ, আর মৃতের সংখ্যায় রয়েছে ৩৮তম অবস্থানে।

রবিবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২১ , ৩১ মাঘ ১৪২৭, ৩১ জমাদিউস সানি ১৪৪২

দেশে করোনা

দশ মাসে সর্বনিম্ন শনাক্ত

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

image

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে আট হাজার ২৬৬ জনের। নতুন শনাক্ত হয়েছেন ২৯১ জন। এর আগে গত ৭ ফেব্রুয়ারি শনাক্ত ছিল ২৯২ জন। এরপর এত কম আর শনাক্ত হয়নি। অর্থাৎ গত ১০ মাস ১২ দিনে এটাই সর্বনি¤œ শনাক্ত। এ নিয়ে করোনায় এখন পর্যন্ত শনাক্ত হলেন ৫ লাখ ৪০ হাজার ২৬৬ জন।

গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে উপসর্গবিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৩৭৪ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন চার লাখ ৮৬ হাজার ৭৬৭ জন। সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ২১০টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা হয়েছে। এরমধ্যে আরটি-পিসিআর ল্যাব ১১৬টি, জিন-এক্সপার্ট ২৯টি, র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন ৬৫টি। এসব ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ১২ হাজার ৩৯৭টি। আগের মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১২ হাজার ৮৭১টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৩৮ লাখ ৩৫ হাজার ২১৬টি।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ২ দশমিক ২৬ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ০৯ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯০ দশমিক ১০ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুহার এক দশমিক ৫৩ শতাংশ।

বিজ্ঞপ্তিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, ২৪ ঘণ্টায় মৃত ১৩ জনের মধ্যে সাতজন পুরুষ, নারী ছয়জন। এদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে সাতজন, চট্টগ্রাম ও রাজশাহী বিভাগে দুইজন করে চারজন। এছাড়া সিলোট ও ময়মনসিংহ বিভাগে একজন করে দুইজন রয়েছেন। এদের মধ্যে হাসপাতালেই মারা গেছেন ১৩ জন। ২৪ ঘণ্টায় মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৬০ বছরে ঊর্ধ্বে ছয়জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে চারজন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে একজন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে একজন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে একজন রয়েছেন।

এ পর্যন্ত যারা মারা গেছেন, তাদের বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে জানানো হয়, ষাটোর্ধ্ব রোগীদের মৃত্যুহার ৫৫ দশমিক ৫২ শতাংশ, ৫১ থেকে ৬০ বয়সী রোগীদের মৃত্যুহার ২৪ দশমিক ৯১ শতাংশ, ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সী রোগীদের মৃত্যুহার ১১ দশমিক ৩৭ শতাংশ, ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সী রোগীদের মৃত্যুহার ৫ শতাংশ, ২১ থেকে ৩০ বয়সী রোগীদের মৃত্যুহার ২ দশমিক ০২ শতাংশ, ১১ থেকে ২০ বছর বয়সী বয়সী রোগীদের মৃত্যুহার শূন্য দশমিক ৭৫ শতাংশ ও শূন্য থেকে ১০ বছর বয়সী রোগীদের মৃত্যুহার শূন্য দশমিক ৪৪ শতাংশ।

এলাকাভিত্তিক বিশ্লেষণে মৃতের হার ঢাকা বিভাগে ৫৫ দশমিক ৭৭ শতাংশ, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৮ দশমিক ৩৫ শতাংশ, রাজশাহীতে ৫ দশমিক ৭১ শতাংশ, খুলনায় ৬ দশমিক ৭৩ শতাংশ, বরিশালে ৩ দশমিক ০১ শতাংশ, সিলেটে ৩ দশমিক ৭৪ শতাংশ, রংপুরে ৪ দশমিক ৩৪ শতাংশ ও ময়মনসিংহে ২ দশমিক ৩৫ শতাংশ। এ পর্যন্ত ঢাকা বিভাগে মারা গেছেন ৪ হাজার ৬১০ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১ হাজার ৫১৭ জন, রাজশাহীতে ৪৭২ জন, খুলনায় ৫৫৬ জন, বরিশাল ২৪৯ জন, সিলেটে ৩০৯ জন, রংপুরে ৩৫৯ জন ও ময়মনসিংহ বিভাগে ১৯৪ জন।

বিজ্ঞপ্তিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ৪২ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৬৬ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন ৯৯ হাজার ৮০৮ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র নিয়েছেন ৮৯ হাজার ৭৪০ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১০ হাজার ৬৮ জন।

জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বিশ্বে শনাক্তের দিক থেকে ৩২তম স্থানে আছে বাংলাদেশ, আর মৃতের সংখ্যায় রয়েছে ৩৮তম অবস্থানে।