প্রতিপক্ষের ষড়যন্ত্রে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে

প্রতিপক্ষের হিংসায় ব্যবসায়ীকভাবে চরম ক্ষতির মুখে পড়েছেন বলে দাবি করেছেন এরশাদ গ্রুপের চেয়াম্যান এরশাদ আলী। গতকাল বেলা সাড়ে ১১টায় বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনে (ক্র্যাব) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি করেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি একটি বেসরকারি ব্যাংকের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকতার রোষাণলের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেন, ওই কর্মকর্তা গুলশান এলাকায় প্রায় ৭ কোটি টাকা মূল্যের একটি ফ্ল্যাট আমার কাছে বিক্রি করার পরও হস্তান্তর না করে বেআইনীভাবে জোরপূর্বক নিজে ভোগদখল করে আসছে। ফ্ল্যাটটি বুঝে পেতে আইনের দ্বারস্থ হয়ে তার বিরুদ্ধে মামলা করলে সে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। পরবর্তীতে আমি ও আমার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বিভ্রান্তকর নানা ধরনের তথ্য প্রচার করে ষড়যন্ত্র শুরু করে। এক পর্যায়ে আমার ব্যবসায়িক প্রতিপক্ষকে আমার বিরুদ্ধে উস্কে দেয়। তিনি বলেন, প্রকৃত সত্য হলো, আমি কোন ব্যাংকের টাকা লোপাট করিনি। বরং ব্যাংক থেকে যেসব লোন নিয়েছি তার বিপরীতে ব্যাংকের কাছে আমার স্থাবর-অস্থাবর সব সম্পদ দায়বদ্ধ আছে। একইভাবে আমার সব ব্যাংকের হিসাব পুনর্তফসিল করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।

সংবাদ সম্মেলনে এরশাদ আলী বলেন, দীর্ঘদিন ধরে সুনামের সঙ্গে ব্যবসা পরিচালনা করায় দেশের প্রতিষ্ঠিত বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান আমাদের অ্যাওয়ার্ড প্রদান করেছে। এরমধ্যে মীর সিমেন্ট গ্রুপের কাছ থেকে তিনবার অ্যাওয়ার্ড লাভ করি। এছাড়া বসুন্ধরা গ্রুপ, সেনাকল্যাণ সংস্থা, সেভেন রিং সিমেন্ট ইত্যাদি কোম্পানির ডিলার হিসেবে তাদের উৎপাদিত সিমেন্ট বাজারজাত করায় সেসব কোম্পানি থেকেও একাধিক পদক প্রদান করা হয়। এসব পদক সাংবাদিকদের সামনে উপস্থাপন করে তিনি বলেন, আমার প্রতিষ্ঠান পদ্মা সেতুসহ বাংলাদেশের অন্যান্য মেগা প্রজেক্টে বিদেশ থেকে পাথর আমদানি করে সরবরাহ করে আসছে। পদ্মা মেজর ব্রিজ প্রজেক্ট থেকে বেস্ট পাথর সাপ্লাইয়ারার হিসেবে চ্যাম্পিয়ন সার্টিফিকেট পেয়েছি। বর্তমানে পদ্মা ব্রিজের রেল লিংক প্রজেক্টসহ চিনো-হাইড্রো ইত্যাদি প্রকল্পে আমার প্রতিষ্ঠানের নেতৃত্বে পাথর সরবরাহ চলমান রয়েছে।

রবিবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২১ , ৩১ মাঘ ১৪২৭, ৩১ জমাদিউস সানি ১৪৪২

সংবাদ সম্মেলনে এরশাদ গ্রুপের চেয়ারম্যান

প্রতিপক্ষের ষড়যন্ত্রে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

প্রতিপক্ষের হিংসায় ব্যবসায়ীকভাবে চরম ক্ষতির মুখে পড়েছেন বলে দাবি করেছেন এরশাদ গ্রুপের চেয়াম্যান এরশাদ আলী। গতকাল বেলা সাড়ে ১১টায় বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনে (ক্র্যাব) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি করেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি একটি বেসরকারি ব্যাংকের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকতার রোষাণলের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেন, ওই কর্মকর্তা গুলশান এলাকায় প্রায় ৭ কোটি টাকা মূল্যের একটি ফ্ল্যাট আমার কাছে বিক্রি করার পরও হস্তান্তর না করে বেআইনীভাবে জোরপূর্বক নিজে ভোগদখল করে আসছে। ফ্ল্যাটটি বুঝে পেতে আইনের দ্বারস্থ হয়ে তার বিরুদ্ধে মামলা করলে সে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। পরবর্তীতে আমি ও আমার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বিভ্রান্তকর নানা ধরনের তথ্য প্রচার করে ষড়যন্ত্র শুরু করে। এক পর্যায়ে আমার ব্যবসায়িক প্রতিপক্ষকে আমার বিরুদ্ধে উস্কে দেয়। তিনি বলেন, প্রকৃত সত্য হলো, আমি কোন ব্যাংকের টাকা লোপাট করিনি। বরং ব্যাংক থেকে যেসব লোন নিয়েছি তার বিপরীতে ব্যাংকের কাছে আমার স্থাবর-অস্থাবর সব সম্পদ দায়বদ্ধ আছে। একইভাবে আমার সব ব্যাংকের হিসাব পুনর্তফসিল করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।

সংবাদ সম্মেলনে এরশাদ আলী বলেন, দীর্ঘদিন ধরে সুনামের সঙ্গে ব্যবসা পরিচালনা করায় দেশের প্রতিষ্ঠিত বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান আমাদের অ্যাওয়ার্ড প্রদান করেছে। এরমধ্যে মীর সিমেন্ট গ্রুপের কাছ থেকে তিনবার অ্যাওয়ার্ড লাভ করি। এছাড়া বসুন্ধরা গ্রুপ, সেনাকল্যাণ সংস্থা, সেভেন রিং সিমেন্ট ইত্যাদি কোম্পানির ডিলার হিসেবে তাদের উৎপাদিত সিমেন্ট বাজারজাত করায় সেসব কোম্পানি থেকেও একাধিক পদক প্রদান করা হয়। এসব পদক সাংবাদিকদের সামনে উপস্থাপন করে তিনি বলেন, আমার প্রতিষ্ঠান পদ্মা সেতুসহ বাংলাদেশের অন্যান্য মেগা প্রজেক্টে বিদেশ থেকে পাথর আমদানি করে সরবরাহ করে আসছে। পদ্মা মেজর ব্রিজ প্রজেক্ট থেকে বেস্ট পাথর সাপ্লাইয়ারার হিসেবে চ্যাম্পিয়ন সার্টিফিকেট পেয়েছি। বর্তমানে পদ্মা ব্রিজের রেল লিংক প্রজেক্টসহ চিনো-হাইড্রো ইত্যাদি প্রকল্পে আমার প্রতিষ্ঠানের নেতৃত্বে পাথর সরবরাহ চলমান রয়েছে।