শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে বিভ্রান্তি কাটবে কবে

বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় ২০২০ সালের ৮ মার্চ। বিভিন্ন মহল থেকে তখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের দাবি ওঠেছিল। বুয়েটসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা রীতিমতো আন্দোলন শুরু করেছিল। অজানা আশংকা কাজ করছিল সবার মনে। সে প্রেক্ষিতে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে বন্ধ হয়ে যায় মাদ্রাসাসহ দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। পরে কওমি মাদ্রাসা খুলে দিলেও আলিয়া মাদ্রাসাসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠান আজ পর্যন্ত বন্ধ রয়েছে।

সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার গাইডলাইন প্রকাশিত হয়েছে। বলা হয়েছিল ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহ থেকে সব বন্ধ প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হচ্ছে। আবাসিক শিক্ষার্থীদের প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে হল বা ছাত্রাবাসে উঠতেও বলা হয়েছিল। মাউশি থেকে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য প্রকাশ করা হয়েছিল সংক্ষিপ্ত সিলেবাস। পরে সিলেবাসের কলেবর বড় হওয়ায় ছাত্র/অভিভাবক মহল থেকে সিলেবাসের পরিধি ছোট করার দাবি ওঠে। তখন কর্তৃপক্ষও উক্ত দাবি মেনে নেয় এবং ৫০ শতাংশ কমিয়ে নতুন সিলেবাস প্রকাশ করে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, সংক্ষিপ্ত সিলেবাস প্রকাশিত হলেও খুলে দেয়া হয়নি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো। পরীক্ষার্থীদের অন্তত প্রতিষ্ঠানে যাওয়ার ঘোষণা দেয়া হবে, এটাই ছিল কাম্য। এদিকে অপরাপর শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন পর ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে প্রতিষ্ঠানে যাওয়ার প্রস্তুতিও সম্পন্ন করেছিল। তাদের মধ্যে একটা উদ্দীপনাও লক্ষ্য করা গিয়েছিল। পুনরায় বন্ধের অপ্রত্যাশিত ঘোষণা শিশুমনে বিরূপ প্রভাব ফেলে। লেখাপড়া থেকে তারা ছিটকে পড়ে আরেক দফা।

অধিকাংশ অভিভাবক শিক্ষার্থীদের প্রতিষ্ঠানে পাঠাতে ইচ্ছুক। বিশেষজ্ঞরাও স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। সব মহল যেখানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে বলছে, সেখানে রহস্যজনক কারণে বন্ধের মেয়াদ পুনরায় বাড়িয়ে ১৪ ফেব্রুয়ারি করা হলো। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সবদিক বিবেচনা করে দেশের বন্ধ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো অবিলম্বে খুলে দেবে এটাই প্রত্যাশিত।

মাহতাব উদ্দিন

প্রধান শিক্ষক, প্রাইম স্টার একাডেমি

শ্রীপুর, গাজীপুর।

রবিবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২১ , ৩১ মাঘ ১৪২৭, ৩১ জমাদিউস সানি ১৪৪২

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে বিভ্রান্তি কাটবে কবে

বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় ২০২০ সালের ৮ মার্চ। বিভিন্ন মহল থেকে তখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের দাবি ওঠেছিল। বুয়েটসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা রীতিমতো আন্দোলন শুরু করেছিল। অজানা আশংকা কাজ করছিল সবার মনে। সে প্রেক্ষিতে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে বন্ধ হয়ে যায় মাদ্রাসাসহ দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। পরে কওমি মাদ্রাসা খুলে দিলেও আলিয়া মাদ্রাসাসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠান আজ পর্যন্ত বন্ধ রয়েছে।

সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার গাইডলাইন প্রকাশিত হয়েছে। বলা হয়েছিল ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহ থেকে সব বন্ধ প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হচ্ছে। আবাসিক শিক্ষার্থীদের প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে হল বা ছাত্রাবাসে উঠতেও বলা হয়েছিল। মাউশি থেকে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য প্রকাশ করা হয়েছিল সংক্ষিপ্ত সিলেবাস। পরে সিলেবাসের কলেবর বড় হওয়ায় ছাত্র/অভিভাবক মহল থেকে সিলেবাসের পরিধি ছোট করার দাবি ওঠে। তখন কর্তৃপক্ষও উক্ত দাবি মেনে নেয় এবং ৫০ শতাংশ কমিয়ে নতুন সিলেবাস প্রকাশ করে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, সংক্ষিপ্ত সিলেবাস প্রকাশিত হলেও খুলে দেয়া হয়নি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো। পরীক্ষার্থীদের অন্তত প্রতিষ্ঠানে যাওয়ার ঘোষণা দেয়া হবে, এটাই ছিল কাম্য। এদিকে অপরাপর শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন পর ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে প্রতিষ্ঠানে যাওয়ার প্রস্তুতিও সম্পন্ন করেছিল। তাদের মধ্যে একটা উদ্দীপনাও লক্ষ্য করা গিয়েছিল। পুনরায় বন্ধের অপ্রত্যাশিত ঘোষণা শিশুমনে বিরূপ প্রভাব ফেলে। লেখাপড়া থেকে তারা ছিটকে পড়ে আরেক দফা।

অধিকাংশ অভিভাবক শিক্ষার্থীদের প্রতিষ্ঠানে পাঠাতে ইচ্ছুক। বিশেষজ্ঞরাও স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। সব মহল যেখানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে বলছে, সেখানে রহস্যজনক কারণে বন্ধের মেয়াদ পুনরায় বাড়িয়ে ১৪ ফেব্রুয়ারি করা হলো। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সবদিক বিবেচনা করে দেশের বন্ধ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো অবিলম্বে খুলে দেবে এটাই প্রত্যাশিত।

মাহতাব উদ্দিন

প্রধান শিক্ষক, প্রাইম স্টার একাডেমি

শ্রীপুর, গাজীপুর।