অষ্টগ্রামে ৩ বছরে ১৮ হাজার একর জমি সেচের আওতায়

কিশোরগঞ্জ বিস্তীর্ণ হাওর অঞ্চল আর অষ্টগ্রাম, ইটনা, মিঠামইন হাওরাঞ্চলের খাদ্য সংকট নিরসনে বিএডিসি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এক ফসলী বোরো উৎপাদনশীল এই অঞ্চলের এক সময়ে সেচের পানির অভাবে হাজার হাজার একর আবাদি থাকত। পরে বিএডিসি সেচ ব্যবস্থা চালু হওয়ার পর ক্রমাগতভাবে বোরো আবাদ বাড়তে থাকে। বর্তমানে আবাদি জমিনের ৮৫ ভাগ জমিনেই উন্নয়নশীল বোরো আবাদ হচ্ছে বলে কৃষকেরা জানান, এবং গত ৩ বছরে বিএডিসির উদ্যোগে এই উপজেলায় সেচের আওতায় এসেছে ১৮ হাজার একর জমিন। এমন কি বছরের পরপর পতিত থাকা জমিনেও বিএডসির উদ্যোগে হচ্ছে এখন আবাদ । ফলে ফসল উৎপানের দৃষ্টান্ত স্থাপন করছে বিএডিসি। উপ-সহকারি প্রকৌশলী রওনক জাহান জানান, গত ৩ বছরেই অষ্টগ্রাম উপজেলায় খাল পুনঃখনন হয়েছে ১৮ কিলোমিটার, ২৪ কিলোমিটার বাড়তি পাইপ নির্মাণ, ৬টি সেচ যন্ত্র স্থাপন, ১৬টি ভাসমান পাম্প (বিদ্যুৎ সংযোগসহ) কাজ হয়েছে। ফলে এই উপজেলা কৃষকদের প্রায় ১৮ হাজার একর জমি সেচের আওতায় এসেছে। একাধিক কৃষকের ভাষ্যমতে এ হারে উপজেলা বর্তমানে উন্নয়নশীল বোরো আবাদ হচ্ছে। এবং এতে উৎপাদিত ফসলের ২০ শতাংশ স্থানীয় খাদ্য চাহিদা পূরণ করে বলে নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে। বিভিন্ন হাওর ঘুরে দেখা গেছে, প্রায় প্রতিটি নদীর তীরে বিএডিসির ছোট-বড় পাওয়ার পাম্পের মাধ্যমে হাজার হাজার একর বোরো জমিনে সেচ দিয়ে যাচ্ছে। ফলে বর্তমানে হাওরের পরিবেশ অনেকটায় সবুজের সমারোহ মতো অবস্থা হয়েছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) প্রধান প্রকৌশলী (ক্ষুদ্র সেচ) মো. জিয়াউল হক বলেন, বর্তমান কৃষিবান্ধব সরকার, একমাত্র লক্ষ্য হচ্ছে কৃষিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া, কৃষিকে বাণিজ্যিককরণ, রপ্তানিকরণ এবং পুষ্টিসম্মত ও নিরাপদ খাদ্য মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়া, এ মূলমন্ত্রে তারই লক্ষ্যে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে বিএডসির উন্নতমানের বীজ, সেচ সার এমন কি কৃষি সহায়তা, কারিগরি সহায়তা সাহায্যসহ কৃষির কৃষকের স্বার্থে প্রয়োজনীয় সকল সাহায্য পেতে পারে তারই একটি অংশ হলো কৃষি জমিতে ফসল উৎপাদনের জন্য সেচ ব্যবস্থাপনা। আর সেই সেচ ব্যবস্থাপনার জন্য উৎপাদনের ৩০ থেকে ৩৫ ভাগ খরচ হয়। আর এ সমস্ত বিষয়গুলো নিয়েই বিএডিসি কাজ করে যাচ্ছে।

সোমবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২১ , ২ ফাল্গুন ১৪২৭ ২ রজব ১৪৪২

হাওরে কৃষি বিপ্লব

অষ্টগ্রামে ৩ বছরে ১৮ হাজার একর জমি সেচের আওতায়

দেবপদ চক্রবর্তী, অষ্টগ্রাম (কিশোরগঞ্জ)

কিশোরগঞ্জ বিস্তীর্ণ হাওর অঞ্চল আর অষ্টগ্রাম, ইটনা, মিঠামইন হাওরাঞ্চলের খাদ্য সংকট নিরসনে বিএডিসি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এক ফসলী বোরো উৎপাদনশীল এই অঞ্চলের এক সময়ে সেচের পানির অভাবে হাজার হাজার একর আবাদি থাকত। পরে বিএডিসি সেচ ব্যবস্থা চালু হওয়ার পর ক্রমাগতভাবে বোরো আবাদ বাড়তে থাকে। বর্তমানে আবাদি জমিনের ৮৫ ভাগ জমিনেই উন্নয়নশীল বোরো আবাদ হচ্ছে বলে কৃষকেরা জানান, এবং গত ৩ বছরে বিএডিসির উদ্যোগে এই উপজেলায় সেচের আওতায় এসেছে ১৮ হাজার একর জমিন। এমন কি বছরের পরপর পতিত থাকা জমিনেও বিএডসির উদ্যোগে হচ্ছে এখন আবাদ । ফলে ফসল উৎপানের দৃষ্টান্ত স্থাপন করছে বিএডিসি। উপ-সহকারি প্রকৌশলী রওনক জাহান জানান, গত ৩ বছরেই অষ্টগ্রাম উপজেলায় খাল পুনঃখনন হয়েছে ১৮ কিলোমিটার, ২৪ কিলোমিটার বাড়তি পাইপ নির্মাণ, ৬টি সেচ যন্ত্র স্থাপন, ১৬টি ভাসমান পাম্প (বিদ্যুৎ সংযোগসহ) কাজ হয়েছে। ফলে এই উপজেলা কৃষকদের প্রায় ১৮ হাজার একর জমি সেচের আওতায় এসেছে। একাধিক কৃষকের ভাষ্যমতে এ হারে উপজেলা বর্তমানে উন্নয়নশীল বোরো আবাদ হচ্ছে। এবং এতে উৎপাদিত ফসলের ২০ শতাংশ স্থানীয় খাদ্য চাহিদা পূরণ করে বলে নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে। বিভিন্ন হাওর ঘুরে দেখা গেছে, প্রায় প্রতিটি নদীর তীরে বিএডিসির ছোট-বড় পাওয়ার পাম্পের মাধ্যমে হাজার হাজার একর বোরো জমিনে সেচ দিয়ে যাচ্ছে। ফলে বর্তমানে হাওরের পরিবেশ অনেকটায় সবুজের সমারোহ মতো অবস্থা হয়েছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) প্রধান প্রকৌশলী (ক্ষুদ্র সেচ) মো. জিয়াউল হক বলেন, বর্তমান কৃষিবান্ধব সরকার, একমাত্র লক্ষ্য হচ্ছে কৃষিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া, কৃষিকে বাণিজ্যিককরণ, রপ্তানিকরণ এবং পুষ্টিসম্মত ও নিরাপদ খাদ্য মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়া, এ মূলমন্ত্রে তারই লক্ষ্যে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে বিএডসির উন্নতমানের বীজ, সেচ সার এমন কি কৃষি সহায়তা, কারিগরি সহায়তা সাহায্যসহ কৃষির কৃষকের স্বার্থে প্রয়োজনীয় সকল সাহায্য পেতে পারে তারই একটি অংশ হলো কৃষি জমিতে ফসল উৎপাদনের জন্য সেচ ব্যবস্থাপনা। আর সেই সেচ ব্যবস্থাপনার জন্য উৎপাদনের ৩০ থেকে ৩৫ ভাগ খরচ হয়। আর এ সমস্ত বিষয়গুলো নিয়েই বিএডিসি কাজ করে যাচ্ছে।