নোয়াখালীর সোনাইমুড়ির চাঁদপুরের মতলব, নরসিংদীর দড়ি নবীপুর শ্রীমঙ্গলের তিতপুর থেকে বিভিন্ন কায়দায় ১ কোটি ১৩ লাখ টাকা প্রতারণার অভিযোগে এক মহিলাসহ ৩ প্রতারককে গ্রেপ্তার করেছে নোয়াখালী সিআইডি। গত শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় নোয়াখালী সিআইডির পুলিশ সুপার মো. বশির আহমদ মাইজদী হাউজিং এলাকায় সিআইডি অফিসে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, ২০২০ এর ১১ অক্টোবর সোনাইমুড়ির দেওটির ফার্নিচার ব্যবসায়ী মো. ফারুখ ফার্নিচার ব্যবসার কথা বলে প্রতারণা করে তার নিকট থেকে ১০ লাখ টাকা প্রতারণা করে নিয়ে গেছে মর্মে সোনাইমুড়ি থানায় ৪২০/৪০৬ ধারায় একটি মামলা করেন।
এ খবর পেয়ে মামলার গুরুত্ব বিবেচনা করে সিআইডি মামলাটি নিজ উদ্যোগে অধিগ্রহণ করে তদন্ত শুরু করেন। তদন্তের একপর্যায়ে সিআইডি নারায়ণগঞ্জের আড়াই হাজার থানার বালিয়াপাড়া গ্রামের রাজ্জাক মাস্টারের ছেলে মো. নুরুজ্জামান মিয়া ওরফে সুরুজ মেম্বার, যশোরের বাগারপাড়া থানার জামালপুর গ্রামের হাবিবুর রহমান ওরফে দিপু, নরসিংদী জেলার খাকসিয়া পাঁচদোনার সুন্দর আলীর মেয়ে রীনা বেগম ওরপে জামেলাকে ঢাকা মেট্রো সিআইডির সহায়তায় নারায়ণগঞ্জের মাতুয়াইল মহিলা মাদ্রাসায় তরিক উল্যার বাড়ি থেকে শুক্রবার গ্রেপ্তার করে এবং তাদের নিকট থেকে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত ১টি টেলিফোন, ৬টি মোবাইল ফোন, মসজিদ ভবন তৈরি নকশা, মসজিদ নির্মাণের সাহায্যের আবেদন ফরম উদ্ধার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, তারা বিভিন্ন কূট কৌশলে চাঁদপুরের মতলবের মোহাম্মদ উল্যার নিকট থেকে ৪৪ লাখ ১ হাজার টাকা, নরসিংদীর আবদুল করিমের নিকট থেকে ৩১ লাখ টাকা, চাঁদপুরের মমরুজ কান্দির আজমীর প্রধানের নিকট থেকে ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা, শ্রীমঙ্গলের তিতপুরের আবদুল আহামদ মেম্বারের নিকট থেকে ১৬ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে। এভাবে সোনাইমুড়ির মো. ফারুখের নিকট থেকে ফার্নিচার ব্যবসার কথা বলে ১০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে। গ্রেপ্তারকৃত প্রতারকরা জানায়, তারা একটি ঘটনা ঘটানোর পরই মোবাইলের সিম ও বাসা পাল্টিয়ে ফেলে। গ্রেপ্তারকৃত ৩ আসামি সিআইডির নিকট মোট ১ কোটি ১৩ লাখ টাকা আত্মসাতের কথা স্বীকার করেছে।
সোমবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২১ , ২ ফাল্গুন ১৪২৭ ২ রজব ১৪৪২
প্রতিনিধি, নোয়াখালী
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ির চাঁদপুরের মতলব, নরসিংদীর দড়ি নবীপুর শ্রীমঙ্গলের তিতপুর থেকে বিভিন্ন কায়দায় ১ কোটি ১৩ লাখ টাকা প্রতারণার অভিযোগে এক মহিলাসহ ৩ প্রতারককে গ্রেপ্তার করেছে নোয়াখালী সিআইডি। গত শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় নোয়াখালী সিআইডির পুলিশ সুপার মো. বশির আহমদ মাইজদী হাউজিং এলাকায় সিআইডি অফিসে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, ২০২০ এর ১১ অক্টোবর সোনাইমুড়ির দেওটির ফার্নিচার ব্যবসায়ী মো. ফারুখ ফার্নিচার ব্যবসার কথা বলে প্রতারণা করে তার নিকট থেকে ১০ লাখ টাকা প্রতারণা করে নিয়ে গেছে মর্মে সোনাইমুড়ি থানায় ৪২০/৪০৬ ধারায় একটি মামলা করেন।
এ খবর পেয়ে মামলার গুরুত্ব বিবেচনা করে সিআইডি মামলাটি নিজ উদ্যোগে অধিগ্রহণ করে তদন্ত শুরু করেন। তদন্তের একপর্যায়ে সিআইডি নারায়ণগঞ্জের আড়াই হাজার থানার বালিয়াপাড়া গ্রামের রাজ্জাক মাস্টারের ছেলে মো. নুরুজ্জামান মিয়া ওরফে সুরুজ মেম্বার, যশোরের বাগারপাড়া থানার জামালপুর গ্রামের হাবিবুর রহমান ওরফে দিপু, নরসিংদী জেলার খাকসিয়া পাঁচদোনার সুন্দর আলীর মেয়ে রীনা বেগম ওরপে জামেলাকে ঢাকা মেট্রো সিআইডির সহায়তায় নারায়ণগঞ্জের মাতুয়াইল মহিলা মাদ্রাসায় তরিক উল্যার বাড়ি থেকে শুক্রবার গ্রেপ্তার করে এবং তাদের নিকট থেকে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত ১টি টেলিফোন, ৬টি মোবাইল ফোন, মসজিদ ভবন তৈরি নকশা, মসজিদ নির্মাণের সাহায্যের আবেদন ফরম উদ্ধার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, তারা বিভিন্ন কূট কৌশলে চাঁদপুরের মতলবের মোহাম্মদ উল্যার নিকট থেকে ৪৪ লাখ ১ হাজার টাকা, নরসিংদীর আবদুল করিমের নিকট থেকে ৩১ লাখ টাকা, চাঁদপুরের মমরুজ কান্দির আজমীর প্রধানের নিকট থেকে ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা, শ্রীমঙ্গলের তিতপুরের আবদুল আহামদ মেম্বারের নিকট থেকে ১৬ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে। এভাবে সোনাইমুড়ির মো. ফারুখের নিকট থেকে ফার্নিচার ব্যবসার কথা বলে ১০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে। গ্রেপ্তারকৃত প্রতারকরা জানায়, তারা একটি ঘটনা ঘটানোর পরই মোবাইলের সিম ও বাসা পাল্টিয়ে ফেলে। গ্রেপ্তারকৃত ৩ আসামি সিআইডির নিকট মোট ১ কোটি ১৩ লাখ টাকা আত্মসাতের কথা স্বীকার করেছে।