রিপোর্ট পছন্দের ক্লিনিকের না : ছুড়ে ফেললেন ডাক্তার

চিকিৎসকের পছন্দের ক্লিনিকে টেস্ট না করায় রোগীর রিপোর্টসহ ব্যবস্থাপত্র টেবিল থেকে ছুড়ে ফেলে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের গাইনি বিভাগের জুনিয়র কনসালট্যান্ট ডা. সানজিদা পারভীনের বিরুদ্ধে। এছাড়া ওই গাইনি চিকিৎসকের খারাপ আচরণে সাধারণ রোগীরা অতিষ্ঠ বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

গত রোববার দুপুরে কান্নাজড়িত কণ্ঠে স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে এমন অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী গাইনি রোগী পলাশ উপজেলার কাজীরচর গ্রামে ফারুকের স্ত্রী নাসরিন আক্তার (৩৮)। তিনি জানান, গত তিনদিন আগে শারীরিক (স্ত্রী রোগ) কিছু সমস্যা নিয়ে কালীগঞ্জ সরকারি হাসপতালে আসেন। গাইনি কনসালট্যান্ট জুনিয়র ১৩৩ নং রুমে দেখানোর জন্য বহির্বিভাগ থেকে টিকিট নেন। তারপর সিরিয়াল অনুযায়ী ডা. সানজিদা পারভীনকে দেখান। এ সময় তিনি বেশ কিছু টেস্ট দেন। সেই সাথে তিনি সুনিদির্ষ্ট করে স্থানীয় কালীগঞ্জ সেন্টাল হাসপাতালে টেষ্ট করার কথা বলেন। তিনি ঐদিনই স্থানীয় শাপলা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে টেস্ট করান। একদিন পর ওই টেস্ট রিপোর্ট সরকারি হাসপাতালের গাইনি ডাক্তার সানজিদা পারভীনের কাছে নিয়ে যান। কিন্তু ডাক্তারের পছন্দের ক্লিনিকে টেস্ট না করায় নাসরিন আক্তারের রিপোর্টসহ ব্যবস্থাপত্র টেবিল থেকে ছুড়ে ফেলেন। এ সময় ডাক্তার অশালীন বাক্য প্রয়োগ করেন বলেও জানান রোগী নাসরিন। পরে অন্য আরেকটি ক্লিনিক থেকে টেস্ট করাতে বলে রোগীকে ছেড়ে দেন। রোগী বলেন, আমরা গরিব মানুষ দিন আনি দিন খাই। আবার এত টাকা কই পাই? তাছাড়া স্বামী এই কথা হুনলেও তো রাগারাগি করব বলে হাউমাউ করে কান্নাকাটি শুরু করেন ওই ভুক্তভোগী। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের গাইনি বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসা ভুক্তভোগী একাধিক রোগী জানান, দিনের পর দিন ওই গাইনী ডাক্তারের খারাপ আচরণে স্থানীয়রা অতিষ্ঠ। এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ সরকারি হাসপাতালের গাইনি বিভাগের জুনিয়র কনসালট্যান্ট ডা. সানজিদা পারভীন বলেন, আমি সরকারি হাসপতালের কাজ শেষ করে প্রতিদিন কালীগঞ্জ সেন্টাল হাসপাতালে বসি। সে কারণে ওই হাসপাতালের প্রতি দুর্বলতা আছে। তাই আমি ওইখান থেকে টেস্ট করাতে বলেছি। তবে আমি রিপোর্টসহ ব্যবস্থাপত্র টেবিল থেকে ছুড়ে ফেলেনি এবং অশালীন বাক্য প্রয়োগ করিনি। এই হাসপাতালে প্রায় ৩ বছর ধরে আছি আমি কখনো কারো সাথে খারাপ আচরণ করিনি।

বিষয়টি নিয়ে কথা হয় কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. মিনহাস উদ্দি মিয়ার সাথে। তিনি প্রতিবেদককে বলেন, আমি আসলে এখানে নতুন এসেছি। শুনলাম, আমি গাইনি ডাক্তারের সাথে কথা বলব। শুধু তার সাথে নয় এ ব্যাপারে হাসপাতালের সকল ডাক্তারের সাথে কথা বলব।

সোমবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২১ , ২ ফাল্গুন ১৪২৭ ২ রজব ১৪৪২

খারাপ আচরণে রোগীরা অতিষ্ঠ

রিপোর্ট পছন্দের ক্লিনিকের না : ছুড়ে ফেললেন ডাক্তার

প্রতিনিধি, কালীগঞ্জ (গাজীপুর)

চিকিৎসকের পছন্দের ক্লিনিকে টেস্ট না করায় রোগীর রিপোর্টসহ ব্যবস্থাপত্র টেবিল থেকে ছুড়ে ফেলে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের গাইনি বিভাগের জুনিয়র কনসালট্যান্ট ডা. সানজিদা পারভীনের বিরুদ্ধে। এছাড়া ওই গাইনি চিকিৎসকের খারাপ আচরণে সাধারণ রোগীরা অতিষ্ঠ বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

গত রোববার দুপুরে কান্নাজড়িত কণ্ঠে স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে এমন অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী গাইনি রোগী পলাশ উপজেলার কাজীরচর গ্রামে ফারুকের স্ত্রী নাসরিন আক্তার (৩৮)। তিনি জানান, গত তিনদিন আগে শারীরিক (স্ত্রী রোগ) কিছু সমস্যা নিয়ে কালীগঞ্জ সরকারি হাসপতালে আসেন। গাইনি কনসালট্যান্ট জুনিয়র ১৩৩ নং রুমে দেখানোর জন্য বহির্বিভাগ থেকে টিকিট নেন। তারপর সিরিয়াল অনুযায়ী ডা. সানজিদা পারভীনকে দেখান। এ সময় তিনি বেশ কিছু টেস্ট দেন। সেই সাথে তিনি সুনিদির্ষ্ট করে স্থানীয় কালীগঞ্জ সেন্টাল হাসপাতালে টেষ্ট করার কথা বলেন। তিনি ঐদিনই স্থানীয় শাপলা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে টেস্ট করান। একদিন পর ওই টেস্ট রিপোর্ট সরকারি হাসপাতালের গাইনি ডাক্তার সানজিদা পারভীনের কাছে নিয়ে যান। কিন্তু ডাক্তারের পছন্দের ক্লিনিকে টেস্ট না করায় নাসরিন আক্তারের রিপোর্টসহ ব্যবস্থাপত্র টেবিল থেকে ছুড়ে ফেলেন। এ সময় ডাক্তার অশালীন বাক্য প্রয়োগ করেন বলেও জানান রোগী নাসরিন। পরে অন্য আরেকটি ক্লিনিক থেকে টেস্ট করাতে বলে রোগীকে ছেড়ে দেন। রোগী বলেন, আমরা গরিব মানুষ দিন আনি দিন খাই। আবার এত টাকা কই পাই? তাছাড়া স্বামী এই কথা হুনলেও তো রাগারাগি করব বলে হাউমাউ করে কান্নাকাটি শুরু করেন ওই ভুক্তভোগী। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের গাইনি বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসা ভুক্তভোগী একাধিক রোগী জানান, দিনের পর দিন ওই গাইনী ডাক্তারের খারাপ আচরণে স্থানীয়রা অতিষ্ঠ। এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ সরকারি হাসপাতালের গাইনি বিভাগের জুনিয়র কনসালট্যান্ট ডা. সানজিদা পারভীন বলেন, আমি সরকারি হাসপতালের কাজ শেষ করে প্রতিদিন কালীগঞ্জ সেন্টাল হাসপাতালে বসি। সে কারণে ওই হাসপাতালের প্রতি দুর্বলতা আছে। তাই আমি ওইখান থেকে টেস্ট করাতে বলেছি। তবে আমি রিপোর্টসহ ব্যবস্থাপত্র টেবিল থেকে ছুড়ে ফেলেনি এবং অশালীন বাক্য প্রয়োগ করিনি। এই হাসপাতালে প্রায় ৩ বছর ধরে আছি আমি কখনো কারো সাথে খারাপ আচরণ করিনি।

বিষয়টি নিয়ে কথা হয় কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. মিনহাস উদ্দি মিয়ার সাথে। তিনি প্রতিবেদককে বলেন, আমি আসলে এখানে নতুন এসেছি। শুনলাম, আমি গাইনি ডাক্তারের সাথে কথা বলব। শুধু তার সাথে নয় এ ব্যাপারে হাসপাতালের সকল ডাক্তারের সাথে কথা বলব।