দেশে করোনায়

২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত ২ দশমিক ৫৩ শতাংশ

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে আরও আট জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে আট হাজার ২৭৪ জনের। নতুন শনাক্ত হয়েছেন ৩২৬ জন। সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে পাঁচ লাখ ৪০ হাজার ৫৯২ জনে। গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে উপসর্গবিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৪৬২ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন চার লাখ ৮৭ হাজার ২২৯ জন। সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ২১০টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা হয়েছে। এরমধ্যে আরটি-পিসিআর ল্যাব ১১৬টি, জিন-এক্সপার্ট ২৯টি, র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন ৬৫টি। এসব ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ১৩ হাজার ২২৫টি। আগের মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১২ হাজার ৯০০টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৩৮ লাখ ৩৬ হাজার ১১৬টি।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ২ দশমিক ৫৩ শতাংশ, এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ০৫ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯০ দশমিক ১৩ শতাংশ এবং মৃত্যুহার ১ দশমিক ৫৩ শতাংশ। সরকারি ব্যবস্থাপনায় এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২৯ লাখ ৮৬ হাজার ৫টি। আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হয়েছে ৮ লাখ ৬২ হাজার ১১১টি।

বিজ্ঞপ্তিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, ২৪ ঘণ্টায় মৃত আট জনের মধ্যে পাঁচজন পুরুষ, নারী তিনজন। এদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে পাঁচজন। এছাড়া রাজশাহী, বরিশাল ও ময়মনসিংহ বিভাগে একজন করে তিনজন। এদের মধ্যে হাসপাতালেই মারা গেছেন আটজন। মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৬০ বছরে ঊর্ধ্বে চারজন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে দুইজন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে একজন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে একজন রয়েছেন। দেশে এ পর্যন্ত মারা যাওয়া ৮ হাজার ২৭৪ জনের মধ্যে ৬ হাজার ২৬৪ জনই পুরুষ এবং ২ হাজার ১০ জন নারী। তাদের মধ্যে ৪ হাজার ৫৯৩ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। এছাড়া ২ হাজার ৬১ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৯৪১ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ৪১৪ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, ১৬৭ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে, ৬২ জনের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে এবং ৩৬ জনের বয়স ছিল ১০ বছরের কম।

এরমধ্যে ৪ হাজার ৬১৫ জন ঢাকা বিভাগের, ১ হাজার ৫১৭ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ৪৭৩ জন রাজশাহী বিভাগের, ৫৫৬ জন খুলনা বিভাগের, ২৫০ জন বরিশাল বিভাগের, ৩০৯ জন সিলেট বিভাগের, ৩৫৯ জন রংপুর বিভাগের এবং ১৯৫ জন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।

বিজ্ঞপ্তিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আরও জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ৩০ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৬০ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন ৯৯ হাজার ৮৩৮ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র নিয়েছেন ৮৯ হাজার ৮০০ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১০ হাজার ৩৮ জন। জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বিশ্বে শনাক্তের দিক থেকে ৩৩তম স্থানে আছে বাংলাদেশ, আর মৃতের সংখ্যায় রয়েছে ৩৮তম অবস্থানে।

সোমবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২১ , ২ ফাল্গুন ১৪২৭ ২ রজব ১৪৪২

দেশে করোনায়

২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত ২ দশমিক ৫৩ শতাংশ

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

image

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে আরও আট জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে আট হাজার ২৭৪ জনের। নতুন শনাক্ত হয়েছেন ৩২৬ জন। সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে পাঁচ লাখ ৪০ হাজার ৫৯২ জনে। গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে উপসর্গবিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৪৬২ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন চার লাখ ৮৭ হাজার ২২৯ জন। সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ২১০টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা হয়েছে। এরমধ্যে আরটি-পিসিআর ল্যাব ১১৬টি, জিন-এক্সপার্ট ২৯টি, র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন ৬৫টি। এসব ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ১৩ হাজার ২২৫টি। আগের মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১২ হাজার ৯০০টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৩৮ লাখ ৩৬ হাজার ১১৬টি।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ২ দশমিক ৫৩ শতাংশ, এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ০৫ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯০ দশমিক ১৩ শতাংশ এবং মৃত্যুহার ১ দশমিক ৫৩ শতাংশ। সরকারি ব্যবস্থাপনায় এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২৯ লাখ ৮৬ হাজার ৫টি। আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হয়েছে ৮ লাখ ৬২ হাজার ১১১টি।

বিজ্ঞপ্তিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, ২৪ ঘণ্টায় মৃত আট জনের মধ্যে পাঁচজন পুরুষ, নারী তিনজন। এদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে পাঁচজন। এছাড়া রাজশাহী, বরিশাল ও ময়মনসিংহ বিভাগে একজন করে তিনজন। এদের মধ্যে হাসপাতালেই মারা গেছেন আটজন। মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৬০ বছরে ঊর্ধ্বে চারজন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে দুইজন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে একজন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে একজন রয়েছেন। দেশে এ পর্যন্ত মারা যাওয়া ৮ হাজার ২৭৪ জনের মধ্যে ৬ হাজার ২৬৪ জনই পুরুষ এবং ২ হাজার ১০ জন নারী। তাদের মধ্যে ৪ হাজার ৫৯৩ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। এছাড়া ২ হাজার ৬১ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৯৪১ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ৪১৪ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, ১৬৭ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে, ৬২ জনের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে এবং ৩৬ জনের বয়স ছিল ১০ বছরের কম।

এরমধ্যে ৪ হাজার ৬১৫ জন ঢাকা বিভাগের, ১ হাজার ৫১৭ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ৪৭৩ জন রাজশাহী বিভাগের, ৫৫৬ জন খুলনা বিভাগের, ২৫০ জন বরিশাল বিভাগের, ৩০৯ জন সিলেট বিভাগের, ৩৫৯ জন রংপুর বিভাগের এবং ১৯৫ জন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।

বিজ্ঞপ্তিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আরও জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ৩০ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৬০ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন ৯৯ হাজার ৮৩৮ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র নিয়েছেন ৮৯ হাজার ৮০০ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১০ হাজার ৩৮ জন। জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বিশ্বে শনাক্তের দিক থেকে ৩৩তম স্থানে আছে বাংলাদেশ, আর মৃতের সংখ্যায় রয়েছে ৩৮তম অবস্থানে।