টেস্টে ফের হোয়াইটওয়াশের লজ্জা

স্কোর : ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৪০৯ ও ১১৭, বাংলাদেশ ২৯৬ ও ২১৩। ফল : উইন্ডিজ ১৭ রানে জয়ী

সফরে আসা যে ক্যারিবিয়ান দলটাকে বলা হচ্ছিল দ্বিতীয় সারির, যে দলটা বাংলাদেশের কাছে তিন ম্যাচের ওডিআই সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে, সেই ‘ভাঙাচোরা’ দলটার কাছেই দুই টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে স্বাগতিক দল। চট্টগ্রাম টেস্টে তিন উইকেটের পরাজয়ের পর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে চারদিনের মধ্যে বাংলাদেশের পরাজয় ১৭ রানের। এই মাঠেই শেষবার ২০১২ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হোয়াইটওয়াশ হয়েছিল বাংলাদেশ দল। সেবারের পূর্ণশক্তির দলটার উত্তরসূরীরা এবারের নায়ক। এই পরাজয় জন্ম দিয়েছে দল নির্বাচন থেকে শুরু করে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের টেস্ট খেলার মানসিকতা নিয়ে।

মিরপুর টেস্টের দ্বিতীয় দিন থেকেই ব্যাকফুটে থাকা টাইগাররা তৃতীয় দিনে ‘হঠাৎ আলোর ঝলকানি’র মতো ঘুরে দাঁড়ানোর আভাস দিয়েছিল, চতুর্থ দিনের শেষ বিকেলে মিরাজ পাদপ্রদীপের আলোটাকে নিজের ওপর টেনে এনে অসাধারণ এক জয়ের পথে দলকে নিয়ে যাওয়ার প্রাণান্তকর চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু আলোচনার মধ্যে থাকা উয়েস্ট ইন্ডিয়ান স্পিনার রাকিম কর্নওয়াল বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসে পাঁচ উইকেট শিকারের পর দ্বিতীয় ইনিংসে শিকার করেছেন চারটি উইকেট। তাকে দুটো ছক্কা ও তিনটি বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ম্যাচভাগ্য অনেকটাই পক্ষে নিয়ে ছিলেন মিরাজ। কিন্তু ক্রিকেট বিধাতা যে বিশালদেহী কর্নওয়ালের ওপর আশীর্বাদের হাতটা রেখেছেন। তার প্রমাণ পাওয়া গেল ওয়ারিকানের বলটা মিরাজের ব্যাটে চুমু খেয়ে যখন জমা হলো কর্নওয়ালের হাতে। রোববার ম্যাচের চতুর্থ দিনে ঢাকা টেস্ট জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল একটু মনোযোগ, ধৈর্য আর টেস্ট মানসিকতার। কিন্তু বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানরা এসবের ধার ধারেন না। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ১৭ রানের পরাজয়ে ঘরের মাটিতে ৯ বছর পর টেস্টে হোয়াইটওয়াশের লজ্জা। অথচ বোলাররা ক্যারিবীয়ানদের দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ১১৭ রানে গুটিয়ে দেয়ায় মাত্র ২ রানের জয়ের টার্গেট পেয়েছিল বাংলাদেশ। ব্যাটিংয়ের জন্য চতুর্থ দিনের প্রায় দুটো সেশনের সঙ্গে ছিল পঞ্চম দিন। কিন্তু বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের বিশেষ করে ব্যাটসম্যানদের টেস্ট মেজাজে ব্যাটিংয়ের সক্ষমতা নিয়ে বারবার উঠা সংশয়টাকে প্রতিষ্ঠিত করার প্রতিযোগিতাতেই যেন তামিম-মুশফিক-সৌম্য-মোমিনুলরা দুটো সেশনেরও কম সময়ে ২১৩ রানে অল আউট হয়ে গেলেন। তারা বোধহয় ভুলেই গিয়েছিলেন, খেলাটা টেস্ট, সীমিত ওভারের নয়। টেস্ট ম্যাচ যে পাঁচদিনের এবং হাতে আরও একটা দিন ব্যাটিংয়ের জন্য আছে, এই বিষয়টাও তাদের জানা ছিল বলে মনে হয়নি।

মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের ম্যাচে তৃতীয় দিনে ৩ উইকেটে তোলা ৪১ রান নিয়ে রোববার সকালে এনক্রুমার বোনার ও জোমেল ওয়ারিকান ব্যাটিংয়ে নেমেছিলেন। দিনের পঞ্চম ওভারের প্রথম বলেই ওয়ারিকানকে (২) ফিরিয়ে পেসার আবু জায়েদ রাহি টাইগারদের সাফল্য এনে দেন। বাংলাদেশ দলের বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্ট জয়ের নায়ক কাইল মায়ার্সও (৬) শিকার হন এই পেসারের।

মাত্র ৭৩ রানে ৬ উইকেট হারানোর পথে ক্যারিবিয়ান দলের জার্মেইন ব্ল্যাকউডকে ফেরান তাইজুল। সপ্তম উইকেটে বোনার-ডা সিলভার জুটিটা ৩১ রানের মাথায় ভেঙে দেন তাইজুল। ফেরেন ডা সিলভা (২০)।

দলীয় ১০৪ রানে সিলভার বিদায়ের পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের শেষ ৩ উইকেট তুলে নিতে দেরি করেননি বাংলাদেশের বোলাররা। ১৩ রানে শেষ ৩ উইকেটের বিদায় নিশ্চিত করেন নাইম ও তাইজুল। বোনারকে ৩৮ রানে ও রাকিম কর্নওয়ালকে ১ রানে নাইম এবং আলজারি জোসেফকে ৯ রানে থামান তাইজুল। ফলে ১১৭ রানে অলআউট হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এতে ম্যাচ জিততে ২৩১ রানের টার্গেট পায় বাংলাদেশ।

জয়ের জন্য ২৩১ রানের টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নেমে তামিম-সৌম্য ৫৯ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসে যথারীতি খেই হারিয়ে ফেলে স্বাগতিকরা। বেশ কিছুদিন ধরেই ফর্মের বাইরে থাকা সৌম্য (১৩) যথারীতি ব্যর্থতার ধারাবাহিকতা বজায় রেখে ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক ক্রেগ ব্র্যাথওয়েটের বলে কাট করতে গিয়ে ক্যাচ দেন কর্নওয়ালের হাতে। ওডিআই স্টাইলে ব্যাট চালিয়ে ক্যারিয়ারের ২৮তম টেস্ট হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করে তামিম ইকবালও (৫০) ক্যারিবিয়ান অধিনায়কের শিকার হন। সিরিজজুড়ে ব্যর্থতার পরিচয় দেয়া নাজমুল হোসেন শান্তও (১১) ধরে রাখেন ব্যর্থতার ‘ধারাবাহিকতা’।

মুশফিক ও মিঠুন যথাক্রমে ১৪ ও ১০ রানে ফিরলে ১১৫ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে খাদের কিনারায় চলে যায় টাইগাররা। সেখান থেকে লিটন দাস এবং অধিনায়ক মমিনুল হক দলের হাল ধরার চেষ্টা না করে যথারীতি ধৈর্যহারা হন। দলীয় ১৪৭ রানে ওয়ারিকানের বলে কর্নওয়ালের হাতে ক্যাচ দিয়ে মমিনুল ফিরলেন ২৬ রানে।

প্রথম ইনিংসে ৭১ রান করা লিটন দাস ৩৫ বলে ২২ রান করে শিকার হন কর্নওয়ালের। ১৫৩ রানে ৭ম উইকেট হারানো বাংলাদেশ দলের পরাজয় তখন সময়ের ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়। জয় থেকে মাত্র ৬৮ রান দূরে থাকতে লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে পড়েন তাইজুল ইসলাম (৮)। শিকারি সেই কর্নওয়াল। দলীয় ১৮৮ রানে ব্র্যাথওয়েটের তৃতীয় শিকারে পরিণত হন নাইম হাসান (১০)। কয়েকটা বড় শটে জয়ের আশা জাগিয়ে মেহেদি মিরাজ (৩১) ওয়ারিকানের বলে রাকিম কর্নওয়ালের তালুবন্দী হলে বাংলাদেশ থামে ২১৩ রানে। ১৭ রানের দুর্দান্ত জয় তুলে নেয় উইন্ডিজ। ২ ইনিংসে ৯ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন রাকিম কর্নওয়াল। ব্যাটে-বলে ধারাবাহিকতার পরিচয় দিয়ে সিরিজসেরা হয়েছেন এনক্রুমা বোনার।

সোমবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২১ , ২ ফাল্গুন ১৪২৭ ২ রজব ১৪৪২

টেস্টে ফের হোয়াইটওয়াশের লজ্জা

স্কোর : ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৪০৯ ও ১১৭, বাংলাদেশ ২৯৬ ও ২১৩। ফল : উইন্ডিজ ১৭ রানে জয়ী

বিশেষ প্রতিনিধি

image

শেষ টাইগার ব্যাটসম্যান মিরাজের ক্যাচ নেয়ার পর কর্নওয়ালকে নিয়ে সতীর্থদের ঊল্লাস -বিসিবি

সফরে আসা যে ক্যারিবিয়ান দলটাকে বলা হচ্ছিল দ্বিতীয় সারির, যে দলটা বাংলাদেশের কাছে তিন ম্যাচের ওডিআই সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে, সেই ‘ভাঙাচোরা’ দলটার কাছেই দুই টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে স্বাগতিক দল। চট্টগ্রাম টেস্টে তিন উইকেটের পরাজয়ের পর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে চারদিনের মধ্যে বাংলাদেশের পরাজয় ১৭ রানের। এই মাঠেই শেষবার ২০১২ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হোয়াইটওয়াশ হয়েছিল বাংলাদেশ দল। সেবারের পূর্ণশক্তির দলটার উত্তরসূরীরা এবারের নায়ক। এই পরাজয় জন্ম দিয়েছে দল নির্বাচন থেকে শুরু করে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের টেস্ট খেলার মানসিকতা নিয়ে।

মিরপুর টেস্টের দ্বিতীয় দিন থেকেই ব্যাকফুটে থাকা টাইগাররা তৃতীয় দিনে ‘হঠাৎ আলোর ঝলকানি’র মতো ঘুরে দাঁড়ানোর আভাস দিয়েছিল, চতুর্থ দিনের শেষ বিকেলে মিরাজ পাদপ্রদীপের আলোটাকে নিজের ওপর টেনে এনে অসাধারণ এক জয়ের পথে দলকে নিয়ে যাওয়ার প্রাণান্তকর চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু আলোচনার মধ্যে থাকা উয়েস্ট ইন্ডিয়ান স্পিনার রাকিম কর্নওয়াল বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসে পাঁচ উইকেট শিকারের পর দ্বিতীয় ইনিংসে শিকার করেছেন চারটি উইকেট। তাকে দুটো ছক্কা ও তিনটি বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ম্যাচভাগ্য অনেকটাই পক্ষে নিয়ে ছিলেন মিরাজ। কিন্তু ক্রিকেট বিধাতা যে বিশালদেহী কর্নওয়ালের ওপর আশীর্বাদের হাতটা রেখেছেন। তার প্রমাণ পাওয়া গেল ওয়ারিকানের বলটা মিরাজের ব্যাটে চুমু খেয়ে যখন জমা হলো কর্নওয়ালের হাতে। রোববার ম্যাচের চতুর্থ দিনে ঢাকা টেস্ট জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল একটু মনোযোগ, ধৈর্য আর টেস্ট মানসিকতার। কিন্তু বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানরা এসবের ধার ধারেন না। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ১৭ রানের পরাজয়ে ঘরের মাটিতে ৯ বছর পর টেস্টে হোয়াইটওয়াশের লজ্জা। অথচ বোলাররা ক্যারিবীয়ানদের দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ১১৭ রানে গুটিয়ে দেয়ায় মাত্র ২ রানের জয়ের টার্গেট পেয়েছিল বাংলাদেশ। ব্যাটিংয়ের জন্য চতুর্থ দিনের প্রায় দুটো সেশনের সঙ্গে ছিল পঞ্চম দিন। কিন্তু বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের বিশেষ করে ব্যাটসম্যানদের টেস্ট মেজাজে ব্যাটিংয়ের সক্ষমতা নিয়ে বারবার উঠা সংশয়টাকে প্রতিষ্ঠিত করার প্রতিযোগিতাতেই যেন তামিম-মুশফিক-সৌম্য-মোমিনুলরা দুটো সেশনেরও কম সময়ে ২১৩ রানে অল আউট হয়ে গেলেন। তারা বোধহয় ভুলেই গিয়েছিলেন, খেলাটা টেস্ট, সীমিত ওভারের নয়। টেস্ট ম্যাচ যে পাঁচদিনের এবং হাতে আরও একটা দিন ব্যাটিংয়ের জন্য আছে, এই বিষয়টাও তাদের জানা ছিল বলে মনে হয়নি।

মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের ম্যাচে তৃতীয় দিনে ৩ উইকেটে তোলা ৪১ রান নিয়ে রোববার সকালে এনক্রুমার বোনার ও জোমেল ওয়ারিকান ব্যাটিংয়ে নেমেছিলেন। দিনের পঞ্চম ওভারের প্রথম বলেই ওয়ারিকানকে (২) ফিরিয়ে পেসার আবু জায়েদ রাহি টাইগারদের সাফল্য এনে দেন। বাংলাদেশ দলের বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্ট জয়ের নায়ক কাইল মায়ার্সও (৬) শিকার হন এই পেসারের।

মাত্র ৭৩ রানে ৬ উইকেট হারানোর পথে ক্যারিবিয়ান দলের জার্মেইন ব্ল্যাকউডকে ফেরান তাইজুল। সপ্তম উইকেটে বোনার-ডা সিলভার জুটিটা ৩১ রানের মাথায় ভেঙে দেন তাইজুল। ফেরেন ডা সিলভা (২০)।

দলীয় ১০৪ রানে সিলভার বিদায়ের পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের শেষ ৩ উইকেট তুলে নিতে দেরি করেননি বাংলাদেশের বোলাররা। ১৩ রানে শেষ ৩ উইকেটের বিদায় নিশ্চিত করেন নাইম ও তাইজুল। বোনারকে ৩৮ রানে ও রাকিম কর্নওয়ালকে ১ রানে নাইম এবং আলজারি জোসেফকে ৯ রানে থামান তাইজুল। ফলে ১১৭ রানে অলআউট হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এতে ম্যাচ জিততে ২৩১ রানের টার্গেট পায় বাংলাদেশ।

জয়ের জন্য ২৩১ রানের টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নেমে তামিম-সৌম্য ৫৯ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসে যথারীতি খেই হারিয়ে ফেলে স্বাগতিকরা। বেশ কিছুদিন ধরেই ফর্মের বাইরে থাকা সৌম্য (১৩) যথারীতি ব্যর্থতার ধারাবাহিকতা বজায় রেখে ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক ক্রেগ ব্র্যাথওয়েটের বলে কাট করতে গিয়ে ক্যাচ দেন কর্নওয়ালের হাতে। ওডিআই স্টাইলে ব্যাট চালিয়ে ক্যারিয়ারের ২৮তম টেস্ট হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করে তামিম ইকবালও (৫০) ক্যারিবিয়ান অধিনায়কের শিকার হন। সিরিজজুড়ে ব্যর্থতার পরিচয় দেয়া নাজমুল হোসেন শান্তও (১১) ধরে রাখেন ব্যর্থতার ‘ধারাবাহিকতা’।

মুশফিক ও মিঠুন যথাক্রমে ১৪ ও ১০ রানে ফিরলে ১১৫ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে খাদের কিনারায় চলে যায় টাইগাররা। সেখান থেকে লিটন দাস এবং অধিনায়ক মমিনুল হক দলের হাল ধরার চেষ্টা না করে যথারীতি ধৈর্যহারা হন। দলীয় ১৪৭ রানে ওয়ারিকানের বলে কর্নওয়ালের হাতে ক্যাচ দিয়ে মমিনুল ফিরলেন ২৬ রানে।

প্রথম ইনিংসে ৭১ রান করা লিটন দাস ৩৫ বলে ২২ রান করে শিকার হন কর্নওয়ালের। ১৫৩ রানে ৭ম উইকেট হারানো বাংলাদেশ দলের পরাজয় তখন সময়ের ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়। জয় থেকে মাত্র ৬৮ রান দূরে থাকতে লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে পড়েন তাইজুল ইসলাম (৮)। শিকারি সেই কর্নওয়াল। দলীয় ১৮৮ রানে ব্র্যাথওয়েটের তৃতীয় শিকারে পরিণত হন নাইম হাসান (১০)। কয়েকটা বড় শটে জয়ের আশা জাগিয়ে মেহেদি মিরাজ (৩১) ওয়ারিকানের বলে রাকিম কর্নওয়ালের তালুবন্দী হলে বাংলাদেশ থামে ২১৩ রানে। ১৭ রানের দুর্দান্ত জয় তুলে নেয় উইন্ডিজ। ২ ইনিংসে ৯ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন রাকিম কর্নওয়াল। ব্যাটে-বলে ধারাবাহিকতার পরিচয় দিয়ে সিরিজসেরা হয়েছেন এনক্রুমা বোনার।