জাপানের উত্তর-পূর্ব উপকূলে ৭.৩ মাত্রার একটি ভয়াবহ শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল। এতে আহত হয়েছেন শতাধিকেরও বেশি। যাকে ২০১১ সালে একই এলাকায় হওয়া ধ্বংসাত্মক আরেকটি ভূমিকম্পের পরাঘাত বলে মনে করা হচ্ছে। রয়টার্স
এর কেন্দ্র ফুকুশিমা প্রিফেকচারের উপকূলে ভূত্বকের ৬০ কিলোমিটার গভীরে বলে জানিয়েছে জাপানের আবহাওয়া সংস্থা। উৎপত্তি হওয়া ভূমিকম্পটিতে উপকেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকাগুলোর দেয়ালে ফাটল ধরেছে, বহু জানালা ভেঙে পড়েছে এবং ফুকুশিমায় একটি ভূমিধস হয়েছে। জাপানের আবহাওয়া সংস্থা জানিয়েছে, এই ভূমিকম্পটি ২০১১ সালের ১১ মার্চের ৯.০ মাত্রার আরেকটি ভূমিকম্পের পরাঘাত হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। ১০ বছর আগের ওই ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর ব্যাপক সুনামিতে জাপানের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছিল এবং ২৫ বছরের মধ্যে বিশ্বের সবচেয়ে বিপর্যয়কর পারমাণবিক দুর্ঘটনা ঘটেছিল। আরও কয়েকদিন ধরে বেশ কয়েকটি পরাঘাত হতে পারে বলে সতর্ক করেছে আবহাওয়া সংস্থাটি। ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল থেকে কয়েকশ’ কিলোমিটার দূরে রাজধানী টোকিওর ভবনগুলোও কেঁপে উঠেছিল। ভূমিকম্পের পরপরই উত্তর-পূর্বাঞ্চলের লাখ লাখ ভবন বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়েছিল। বেশ কয়েক হাজার বাড়ি পানিশূন্য হয়ে পড়ে, বিভিন্ন এলাকায় পানিবাহী ট্যাংক-লরি পাঠিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়ার চেষ্টা করা হয়, পানি সংগ্রহের জন্য স্থানীয় বাসিন্দারা প্লাস্টিকের জগ নিয়ে লাইন ধরেন।
সোমবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২১ , ২ ফাল্গুন ১৪২৭ ২ রজব ১৪৪২
জাপানের উত্তর-পূর্ব উপকূলে ৭.৩ মাত্রার একটি ভয়াবহ শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল। এতে আহত হয়েছেন শতাধিকেরও বেশি। যাকে ২০১১ সালে একই এলাকায় হওয়া ধ্বংসাত্মক আরেকটি ভূমিকম্পের পরাঘাত বলে মনে করা হচ্ছে। রয়টার্স
এর কেন্দ্র ফুকুশিমা প্রিফেকচারের উপকূলে ভূত্বকের ৬০ কিলোমিটার গভীরে বলে জানিয়েছে জাপানের আবহাওয়া সংস্থা। উৎপত্তি হওয়া ভূমিকম্পটিতে উপকেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকাগুলোর দেয়ালে ফাটল ধরেছে, বহু জানালা ভেঙে পড়েছে এবং ফুকুশিমায় একটি ভূমিধস হয়েছে। জাপানের আবহাওয়া সংস্থা জানিয়েছে, এই ভূমিকম্পটি ২০১১ সালের ১১ মার্চের ৯.০ মাত্রার আরেকটি ভূমিকম্পের পরাঘাত হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। ১০ বছর আগের ওই ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর ব্যাপক সুনামিতে জাপানের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছিল এবং ২৫ বছরের মধ্যে বিশ্বের সবচেয়ে বিপর্যয়কর পারমাণবিক দুর্ঘটনা ঘটেছিল। আরও কয়েকদিন ধরে বেশ কয়েকটি পরাঘাত হতে পারে বলে সতর্ক করেছে আবহাওয়া সংস্থাটি। ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল থেকে কয়েকশ’ কিলোমিটার দূরে রাজধানী টোকিওর ভবনগুলোও কেঁপে উঠেছিল। ভূমিকম্পের পরপরই উত্তর-পূর্বাঞ্চলের লাখ লাখ ভবন বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়েছিল। বেশ কয়েক হাজার বাড়ি পানিশূন্য হয়ে পড়ে, বিভিন্ন এলাকায় পানিবাহী ট্যাংক-লরি পাঠিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়ার চেষ্টা করা হয়, পানি সংগ্রহের জন্য স্থানীয় বাসিন্দারা প্লাস্টিকের জগ নিয়ে লাইন ধরেন।