বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জের হোগলাবুনিয়া ইউনিয়নে উন্নয়নে পাল্টে গেছে দৃশ্যপট। এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে। সরকারিভাবে সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের উদ্যোগে ছোলমবাড়িয়া থেকে ঘোষেরহাট পর্যন্ত প্রায় দেড়শ’ কোটি টাকার বরাদ্দে ১১ কিলোমিটার কার্পেটিং রাস্তার কাজ চলমান রয়েছে। সরেজমিনে জানা গেছে, পানগুছি নদীর তীরবর্তী ঘেষা এ হোগলাবুনিয়া ইউনিয়নটি। ইউনিয়নটিতে রয়েছে ইতিহাস ঐতিহ্য ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার যুদ্ধে মোরেলগঞ্জ উপজেলার প্রথম মুক্তিযোদ্ধাদের সংঘটিত করা হয়েছিল এখান থেকে। গত ৫ বছরে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আমূল পরিবর্তন হয়েছে গ্রামীণ এ জনপদে। প্রধানমন্ত্রীর পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রতিটি গ্রাম হবে শহর এটি বাস্তবায়নে ইউনিয়নের ১০টি গ্রামে শতভাগ বিদ্যুতায়নের আওতায় ও ৩৭ কিলোমিটারে ইট সোলিং ১০টি রাস্তা, ২ কিলোমিটার কার্পেটিং রাস্তা, আরসিসি আধা কিলোমিটার, ১৫ কিলোমিটার ১০টি মাটির রাস্তা। শিক্ষা একাডেমি প্রকল্পের ৪ তলা ভবনের নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। এছাড়াও ৩ কিলোমিটার আরসিসি ১টি রাস্তা ও ছোট বড় ১৯টি কালভার্ড ব্রিজ নির্মাণ ও ৮টি কাঠের পুল নির্মাণ করা হয়েছে। জমি আছে ঘর নেই এ প্রকল্পের আওতায় ৩৭টি ঘর পেয়েছে গৃহহীন মানুষেরা। খাবার পানির জন্য ৩টি পুকুর ও ৬ কিলোমিটার কাটা খাল পুনর্খনন, সংস্কার করা হয় ২০টি মসজিদ। ৯টি ওয়ার্ডেই বসানো হয়েছে ৫০টি সড়ক বাতি। সরকারি সামাজিক বেষ্টনি প্রকল্পের সুবিধার আওতায় রয়েছে ২ হাজার মানুষ। সব মিলিয়ে ইউনিয়নে প্রায় আড়াইশ’ কোটি টাকার উন্নয়নমুখী কাজ হয়েছে বলে জানা যায়। এ ইউনিয়নে জনসংখ্যা রয়েছে প্রায় ৩০ হাজার, ভোটার রয়েছে ১৮ হাজার, শিক্ষা হার ৬৫%, মানুষের আয়ের উৎস কৃষি। এ বিষয়ে হোগলাবুনিয়া ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মো.আকরামুজ্জামান বলেন, ২০১৬ সালে নির্বাচিত হয়ে সাধারণ মানুষকে সাথে নিয়ে এলাকার উন্নয়নের পাল্টে দেয়া হয়েছে চিত্র। যা বিগতে ৩৭ বছরে এলাকায় উন্নয়নে এ রকম কাজ হয়নি। বর্তমান সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকা-ের কারণে সাধারণ মানুষ দলীয় প্রতীকে ভোট দেবেন। তিনি দলের মনোনয়ন পাবেন বলে আশাবাদী।
মঙ্গলবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২১ , ৩ ফাল্গুন ১৪২৭ ৩ রজব ১৪৪২
প্রতিনিধি, মোরেলগঞ্জ (বাগেরহাট)
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জের হোগলাবুনিয়া ইউনিয়নে উন্নয়নে পাল্টে গেছে দৃশ্যপট। এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে। সরকারিভাবে সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের উদ্যোগে ছোলমবাড়িয়া থেকে ঘোষেরহাট পর্যন্ত প্রায় দেড়শ’ কোটি টাকার বরাদ্দে ১১ কিলোমিটার কার্পেটিং রাস্তার কাজ চলমান রয়েছে। সরেজমিনে জানা গেছে, পানগুছি নদীর তীরবর্তী ঘেষা এ হোগলাবুনিয়া ইউনিয়নটি। ইউনিয়নটিতে রয়েছে ইতিহাস ঐতিহ্য ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার যুদ্ধে মোরেলগঞ্জ উপজেলার প্রথম মুক্তিযোদ্ধাদের সংঘটিত করা হয়েছিল এখান থেকে। গত ৫ বছরে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আমূল পরিবর্তন হয়েছে গ্রামীণ এ জনপদে। প্রধানমন্ত্রীর পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রতিটি গ্রাম হবে শহর এটি বাস্তবায়নে ইউনিয়নের ১০টি গ্রামে শতভাগ বিদ্যুতায়নের আওতায় ও ৩৭ কিলোমিটারে ইট সোলিং ১০টি রাস্তা, ২ কিলোমিটার কার্পেটিং রাস্তা, আরসিসি আধা কিলোমিটার, ১৫ কিলোমিটার ১০টি মাটির রাস্তা। শিক্ষা একাডেমি প্রকল্পের ৪ তলা ভবনের নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। এছাড়াও ৩ কিলোমিটার আরসিসি ১টি রাস্তা ও ছোট বড় ১৯টি কালভার্ড ব্রিজ নির্মাণ ও ৮টি কাঠের পুল নির্মাণ করা হয়েছে। জমি আছে ঘর নেই এ প্রকল্পের আওতায় ৩৭টি ঘর পেয়েছে গৃহহীন মানুষেরা। খাবার পানির জন্য ৩টি পুকুর ও ৬ কিলোমিটার কাটা খাল পুনর্খনন, সংস্কার করা হয় ২০টি মসজিদ। ৯টি ওয়ার্ডেই বসানো হয়েছে ৫০টি সড়ক বাতি। সরকারি সামাজিক বেষ্টনি প্রকল্পের সুবিধার আওতায় রয়েছে ২ হাজার মানুষ। সব মিলিয়ে ইউনিয়নে প্রায় আড়াইশ’ কোটি টাকার উন্নয়নমুখী কাজ হয়েছে বলে জানা যায়। এ ইউনিয়নে জনসংখ্যা রয়েছে প্রায় ৩০ হাজার, ভোটার রয়েছে ১৮ হাজার, শিক্ষা হার ৬৫%, মানুষের আয়ের উৎস কৃষি। এ বিষয়ে হোগলাবুনিয়া ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মো.আকরামুজ্জামান বলেন, ২০১৬ সালে নির্বাচিত হয়ে সাধারণ মানুষকে সাথে নিয়ে এলাকার উন্নয়নের পাল্টে দেয়া হয়েছে চিত্র। যা বিগতে ৩৭ বছরে এলাকায় উন্নয়নে এ রকম কাজ হয়নি। বর্তমান সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকা-ের কারণে সাধারণ মানুষ দলীয় প্রতীকে ভোট দেবেন। তিনি দলের মনোনয়ন পাবেন বলে আশাবাদী।