আর নয় যৌতুক

সমাজে মেয়েদের যেভাবে দেখা হয়, সেই দৃষ্টিভঙ্গি বদলায়নি? বিয়েতে যৌতুক দেয়া এবং নেয়া আমাদের সমাজে এখনও প্রচলিত আছে? যৌতুকের দাবি মেটাতে না পেরে নিরপরাধ গৃহবধূরা শারীরিক নির্যাতন ভোগ করছে। কখনও বা মারাত্মক জখমও হচ্ছে, এমনকি খুনও হয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশে যৌতুকবিরোধী আইন আছে? যারা যৌতুক দিচ্ছে এবং নিচ্ছে তারা এই আইনের তোয়াক্কা করছেন না? যৌতুক একটা মেয়ের জন্য অত্যন্ত অসম্মানজনক? এর কারণেই মেয়েরা বাল্যবিয়ের শিকার হচ্ছে? মেয়ের বয়স যত বেশি হবে, তার জন্য নাকি তত বেশি যৌতুক দিতে হবে?

শুধু আইন করে এ ধরনের ঘৃণ্য অপরাধ বন্ধ করা যাবে না। মানুষকে সচেতন করে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা জরুরি। যৌতুক প্রতিরোধ করতে প্রথমেই সচেতন করতে হবে নিজ পরিবারকে এবং একই সঙ্গে প্রতিবেশী তথা পাড়া-মহল্লা-গ্রামের মানুষকে। তাদের বোঝাতে হবে যৌতুকের ভয়ংকর কুফল সম্পর্কে। গণমাধ্যমে যৌতুকবিরোধী প্রচার-প্রচারণা চালানো গেলে সুফল মিলতে পারে।

আসুন যৌতুক প্রতিরোধে প্রত্যেকেই নিজ নিজ জায়গা থেকে সচেতন হই, নিজেদের মানসিকতা ও দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করি এবং অপরকে সচেতন করি। ছেলেদের মা-বাবাদের বলছি, ছেলের বিয়েতে যৌতুক নেবেন না। আর মেয়েদের মা-বাবাদের বলছি, মেয়ের বিয়েতে যৌতুক দেবেন না। সবাই এই দুষ্ট প্রথার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান। আর রাষ্ট্রের কাছে আমাদের আবেদন, যারা যৌতুকের জন্য নারীদের ওপর নির্যাতন করেন, তাদের কঠোর শাস্তি দিন।

শাহিন আলম

বুধবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২১ , ৪ ফাল্গুন ১৪২৭ ৪ রজব ১৪৪২

আর নয় যৌতুক

সমাজে মেয়েদের যেভাবে দেখা হয়, সেই দৃষ্টিভঙ্গি বদলায়নি? বিয়েতে যৌতুক দেয়া এবং নেয়া আমাদের সমাজে এখনও প্রচলিত আছে? যৌতুকের দাবি মেটাতে না পেরে নিরপরাধ গৃহবধূরা শারীরিক নির্যাতন ভোগ করছে। কখনও বা মারাত্মক জখমও হচ্ছে, এমনকি খুনও হয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশে যৌতুকবিরোধী আইন আছে? যারা যৌতুক দিচ্ছে এবং নিচ্ছে তারা এই আইনের তোয়াক্কা করছেন না? যৌতুক একটা মেয়ের জন্য অত্যন্ত অসম্মানজনক? এর কারণেই মেয়েরা বাল্যবিয়ের শিকার হচ্ছে? মেয়ের বয়স যত বেশি হবে, তার জন্য নাকি তত বেশি যৌতুক দিতে হবে?

শুধু আইন করে এ ধরনের ঘৃণ্য অপরাধ বন্ধ করা যাবে না। মানুষকে সচেতন করে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা জরুরি। যৌতুক প্রতিরোধ করতে প্রথমেই সচেতন করতে হবে নিজ পরিবারকে এবং একই সঙ্গে প্রতিবেশী তথা পাড়া-মহল্লা-গ্রামের মানুষকে। তাদের বোঝাতে হবে যৌতুকের ভয়ংকর কুফল সম্পর্কে। গণমাধ্যমে যৌতুকবিরোধী প্রচার-প্রচারণা চালানো গেলে সুফল মিলতে পারে।

আসুন যৌতুক প্রতিরোধে প্রত্যেকেই নিজ নিজ জায়গা থেকে সচেতন হই, নিজেদের মানসিকতা ও দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করি এবং অপরকে সচেতন করি। ছেলেদের মা-বাবাদের বলছি, ছেলের বিয়েতে যৌতুক নেবেন না। আর মেয়েদের মা-বাবাদের বলছি, মেয়ের বিয়েতে যৌতুক দেবেন না। সবাই এই দুষ্ট প্রথার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান। আর রাষ্ট্রের কাছে আমাদের আবেদন, যারা যৌতুকের জন্য নারীদের ওপর নির্যাতন করেন, তাদের কঠোর শাস্তি দিন।

শাহিন আলম