অনলাইন গেমের বিপদ

প্রযুক্তি এখন মানুষের জীবনে বড় প্রভাব ফেলছে। শিশু-কিশোরদের মধ্যেও বাড়ছে স্মার্ট ডিভাইস ব্যবহার। ডিভাইস আসক্তি শিশু-কিশোরের বেড়ে ওঠার পথে বাধা হয়ে উঠতে পারে। সন্তানকে শান্ত রাখতে মোবাইলসহ নানা যন্ত্রপাতি তাদের হাতে তুলে দেন ব্যস্ত মা-বাবা। তারা নিজেরাও মোবাইল ফোনে ব্যস্ত থাকেন। অনেক সময় নিরাপত্তাহীনতার অজুহাতে সন্তানকে সব সময় নিজের চোখের সামনে দেখতে চান মা-বাবা। সে ক্ষেত্রে তাদের হাতে ফোন-ল্যাপটপ তুলে দিয়ে আপাতত স্বস্তি অনুভব করেন, যা শিশু-কিশোরদের অনলাইন গেমে আসক্ত করে ফেলে।

বিশেষজ্ঞরা বলেন, অনেক সময় অতিরিক্ত সময় ধরে খেলা অনলাইন গেম আসক্তির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। আবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও অনলাইন গেম সম্পর্কে ঠিকমতো ধারণা না থাকায় অভিভাবকরাও সন্তানের ঠিকমতো খোঁজখবর রাখতে পারেন না। এ ক্ষেত্রে তাই সচেতনতা বাড়ানো জরুরি।

এখন ইন্টারনেটে প্যারেন্টাল কন্ট্রোলের মাধ্যমে শিশুর গেম খেলা নিয়ন্ত্রণের সুবিধা রয়েছে। অভিভাবক চাইলে সন্তানের জন্য স্মার্টফোন ব্যবহারের সময়সীমা নির্ধারণ করে দিতে পারেন। কখন কতটুকু সময় গেম খেলবে বা কোন গেম খেলবে, তা ঠিক করে দিতে পারেন। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, পাবজি গেমটির কথা। এটি তৈরি ১৬ বছর বয়সীদের লক্ষ্য করে। অভিভাবক যদি তার কম বয়সী সন্তানের ক্ষেত্রে এটি প্যারেন্টাল কন্ট্রোল ব্যবহার করে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। এর বাইরে গুগল এবং অ্যাপল উভয় ফোনের জন্য বেশ কিছু সেবা রয়েছে, যা ব্যবহার করে শিশুকে গেম থেকে দূরে রাখা যায়।

সিরাজুল হোসাইন

বুধবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২১ , ৪ ফাল্গুন ১৪২৭ ৪ রজব ১৪৪২

অনলাইন গেমের বিপদ

প্রযুক্তি এখন মানুষের জীবনে বড় প্রভাব ফেলছে। শিশু-কিশোরদের মধ্যেও বাড়ছে স্মার্ট ডিভাইস ব্যবহার। ডিভাইস আসক্তি শিশু-কিশোরের বেড়ে ওঠার পথে বাধা হয়ে উঠতে পারে। সন্তানকে শান্ত রাখতে মোবাইলসহ নানা যন্ত্রপাতি তাদের হাতে তুলে দেন ব্যস্ত মা-বাবা। তারা নিজেরাও মোবাইল ফোনে ব্যস্ত থাকেন। অনেক সময় নিরাপত্তাহীনতার অজুহাতে সন্তানকে সব সময় নিজের চোখের সামনে দেখতে চান মা-বাবা। সে ক্ষেত্রে তাদের হাতে ফোন-ল্যাপটপ তুলে দিয়ে আপাতত স্বস্তি অনুভব করেন, যা শিশু-কিশোরদের অনলাইন গেমে আসক্ত করে ফেলে।

বিশেষজ্ঞরা বলেন, অনেক সময় অতিরিক্ত সময় ধরে খেলা অনলাইন গেম আসক্তির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। আবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও অনলাইন গেম সম্পর্কে ঠিকমতো ধারণা না থাকায় অভিভাবকরাও সন্তানের ঠিকমতো খোঁজখবর রাখতে পারেন না। এ ক্ষেত্রে তাই সচেতনতা বাড়ানো জরুরি।

এখন ইন্টারনেটে প্যারেন্টাল কন্ট্রোলের মাধ্যমে শিশুর গেম খেলা নিয়ন্ত্রণের সুবিধা রয়েছে। অভিভাবক চাইলে সন্তানের জন্য স্মার্টফোন ব্যবহারের সময়সীমা নির্ধারণ করে দিতে পারেন। কখন কতটুকু সময় গেম খেলবে বা কোন গেম খেলবে, তা ঠিক করে দিতে পারেন। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, পাবজি গেমটির কথা। এটি তৈরি ১৬ বছর বয়সীদের লক্ষ্য করে। অভিভাবক যদি তার কম বয়সী সন্তানের ক্ষেত্রে এটি প্যারেন্টাল কন্ট্রোল ব্যবহার করে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। এর বাইরে গুগল এবং অ্যাপল উভয় ফোনের জন্য বেশ কিছু সেবা রয়েছে, যা ব্যবহার করে শিশুকে গেম থেকে দূরে রাখা যায়।

সিরাজুল হোসাইন