চাই কার্যকর এনটিআরসিএ

শিক্ষক নিয়োগে নিয়োজিত দপ্তর এনটিআরসিএ একটি অকার্যকর দপ্তরে পরিণত হয়েছে। শিক্ষক নিয়োগের কোন জটিলতা তারা সমাধান করতে পারছে না।

সর্বশেষ ২০১৮ সালে গণবিজ্ঞপ্তি দিয়ে ৩৯ হাজার শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে মহা জটিলতায় পড়ে গেছে এনটিআরসিএ।

বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগে বয়স নির্ধারণ করে দেয়ায় হাজার হাজার মেধাবী শিক্ষকের জীবন হতাশার মধ্যে পড়ে গেছে। সরকারি সব শর্তে উত্তীর্ণ হওয়ার পড়েও শুধু গণবিজ্ঞপ্তি না হওয়ায় মেধাবীরা ঝড়ে পড়ছে।

নিয়মানুযায়ী গণবিজ্ঞপ্তি হলে এমন প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হতো না এনটিআরসিএ কর্তৃপক্ষকে। নিয়োগ প্রত্যাশীরা চাতক পাখির ন্যায় চেয়ে আছে এনটিআরসিএর গণবিজ্ঞপ্তির আশায়। সর্বশেষ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের ২ বছর ২ মাস পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত গণবিজ্ঞপ্তির দেখা মেলেনি। যাদের বয়স ৩৫ ছুঁই ছুঁই তাদের সময় কাটছে হতাশার মধ্যে। এই দুই বছরে যাদের বয়স ৩৫ পেরিয়ে গেছে তাদের সান্ত¡না দেয়ার কোন ভাষা জানা নেই।

এটা সত্য যে, এনটিআরসিএ দপ্তর শক্তিশালী না হওয়ায় এমন জটিলতার সৃষ্টি হচ্ছে। কারণ সামান্য কয়েকটি মামলার ভয়ে ৫৭ হাজার পদ খালি থাকা সত্ত্বেও গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করছে না। ফলে দেশের হাজার হাজার মেধাবী শিক্ষকদের পথে প্রান্তরে ঘুরে বেড়াতে হচ্ছে।

এনটিআরসিএকে শক্তিশালী করার বিকল্প নেই। নিয়োগ জটিলতার সম্মুখীন সব শিক্ষকের সমাধান ও দ্রুত গণবিজ্ঞপ্তি দিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

আশা করি কর্তৃপক্ষ দ্রুত এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে। এতে নিয়োগপ্রত্যাশীদের হতাশা কাটবে।

আজিনুর রহমান লিমন

বুধবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২১ , ৪ ফাল্গুন ১৪২৭ ৪ রজব ১৪৪২

চাই কার্যকর এনটিআরসিএ

শিক্ষক নিয়োগে নিয়োজিত দপ্তর এনটিআরসিএ একটি অকার্যকর দপ্তরে পরিণত হয়েছে। শিক্ষক নিয়োগের কোন জটিলতা তারা সমাধান করতে পারছে না।

সর্বশেষ ২০১৮ সালে গণবিজ্ঞপ্তি দিয়ে ৩৯ হাজার শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে মহা জটিলতায় পড়ে গেছে এনটিআরসিএ।

বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগে বয়স নির্ধারণ করে দেয়ায় হাজার হাজার মেধাবী শিক্ষকের জীবন হতাশার মধ্যে পড়ে গেছে। সরকারি সব শর্তে উত্তীর্ণ হওয়ার পড়েও শুধু গণবিজ্ঞপ্তি না হওয়ায় মেধাবীরা ঝড়ে পড়ছে।

নিয়মানুযায়ী গণবিজ্ঞপ্তি হলে এমন প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হতো না এনটিআরসিএ কর্তৃপক্ষকে। নিয়োগ প্রত্যাশীরা চাতক পাখির ন্যায় চেয়ে আছে এনটিআরসিএর গণবিজ্ঞপ্তির আশায়। সর্বশেষ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের ২ বছর ২ মাস পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত গণবিজ্ঞপ্তির দেখা মেলেনি। যাদের বয়স ৩৫ ছুঁই ছুঁই তাদের সময় কাটছে হতাশার মধ্যে। এই দুই বছরে যাদের বয়স ৩৫ পেরিয়ে গেছে তাদের সান্ত¡না দেয়ার কোন ভাষা জানা নেই।

এটা সত্য যে, এনটিআরসিএ দপ্তর শক্তিশালী না হওয়ায় এমন জটিলতার সৃষ্টি হচ্ছে। কারণ সামান্য কয়েকটি মামলার ভয়ে ৫৭ হাজার পদ খালি থাকা সত্ত্বেও গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করছে না। ফলে দেশের হাজার হাজার মেধাবী শিক্ষকদের পথে প্রান্তরে ঘুরে বেড়াতে হচ্ছে।

এনটিআরসিএকে শক্তিশালী করার বিকল্প নেই। নিয়োগ জটিলতার সম্মুখীন সব শিক্ষকের সমাধান ও দ্রুত গণবিজ্ঞপ্তি দিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

আশা করি কর্তৃপক্ষ দ্রুত এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে। এতে নিয়োগপ্রত্যাশীদের হতাশা কাটবে।

আজিনুর রহমান লিমন