দ্রুত পণ্য খালাসের জন্য তিন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বিজিএমইএ’র বৈঠক

পোশাকশিল্পের মন্দাবস্থা উত্তরণ এবং পণ্য চালান দ্রুত খালাস ও রপ্তানিতে পোশাক মালিক ও রপ্তকানিকারক সমিতি বিজিএমইএ, কাস্টমস এবং চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ যৌথভাবে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। বিজিএমইএ সভাপতি ড. রুবানা হকের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান রিয়াল এডমিরাল এম. শাহজাহান ও কাস্টমস হাউজ, চট্টগ্রামের কমিশনার এম. ফখরুল আলমের সঙ্গে পৃথক সভায় মিলিত হলে এ আশ্বাস দেয়া হয়। বিজিএমইএ’র এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সাক্ষাৎকালে বিজিএমইএ’র সভাপতি ড. রুবানা হক বলেন, বিশ্বব্যাপী করোনায় উদ্ভুত পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকশিল্পে চরম বিপর্যয় নেমে এসেছে। জাতীয় অর্থনীতিতে এর ব্যাপক নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া ইতোমধ্যে দৃশ্যমান। পরিস্থিতি উত্তরণে সরকারসহ সবার সহযোগিতায় পোশাকশিল্প খাত ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

এ লক্ষ্যে তিনি করোনাকালীন দুঃসময়ের মধ্যেও সার্বক্ষণিকভাবে কাস্টমস ও চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। চলমান মন্দাবস্থা উত্তরণে পোশাকশিল্পের পণ্য চালান দ্রুত খালাস ও ক্রেতার নির্ধারিত সময়ে রপ্তানি নিশ্চিতকরণে কাস্টমস ও চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রতি অনুরোধ করেন।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান রিয়াল এডমিরাল এম. শাহজাহান বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতিতে পোশাকশিল্প অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। রপ্তানি প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে বন্দর কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন সীমাবদ্ধতার মধ্যেও আমদানি-রপ্তানি সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম সুচারুভাবে সম্পাদন করছে। তিনি আমদানি খরচ কমানো ও ঢাকা-চট্টগ্রাম হাইওয়ে থেকে যানজট কমনোর লক্ষ্যে পানগাঁও বন্দর ব্যবহারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং বন্দরের অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন পরিকল্পনা তুলে ধরেন। এ লক্ষ্যে বিজিএমইএসহ সব স্টেক হোল্ডারদের সহযোগিতা কামনা করেন।

কাস্টম হাউজ, চট্টগ্রামের কমিশনার এম. ফখরুল আলম বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী সমাজকে সহযোগিতা তথা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ধরে রাখার লক্ষ্যে কাস্টমস হাউজ, চট্টগ্রাম সার্বক্ষণিকভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। সবার সহযোগিতায় বর্তমান মন্দাবস্থা কেটে যাবে মর্মে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। সাক্ষাৎকালে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএ’র প্রথম সহসভাপতি মোহাম্মদ আবদুস সালাম, সিনিয়র সহসভাপতি ফয়সাল সামাদ, সহসভাপতি (অর্থ) আবদুর রহিম ফিরোজ, পরিচালক খন্দকার বেলায়েত হোসেন ও সাবেক সহসভাপতি এবিএম সামশুদ্দিন।

শনিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২১ , ৭ ফাল্গুন ১৪২৭ ৭ রজব ১৪৪২

দ্রুত পণ্য খালাসের জন্য তিন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বিজিএমইএ’র বৈঠক

image

পোশাকশিল্পের মন্দাবস্থা উত্তরণ এবং পণ্য চালান দ্রুত খালাস ও রপ্তানিতে পোশাক মালিক ও রপ্তকানিকারক সমিতি বিজিএমইএ, কাস্টমস এবং চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ যৌথভাবে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। বিজিএমইএ সভাপতি ড. রুবানা হকের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান রিয়াল এডমিরাল এম. শাহজাহান ও কাস্টমস হাউজ, চট্টগ্রামের কমিশনার এম. ফখরুল আলমের সঙ্গে পৃথক সভায় মিলিত হলে এ আশ্বাস দেয়া হয়। বিজিএমইএ’র এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সাক্ষাৎকালে বিজিএমইএ’র সভাপতি ড. রুবানা হক বলেন, বিশ্বব্যাপী করোনায় উদ্ভুত পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকশিল্পে চরম বিপর্যয় নেমে এসেছে। জাতীয় অর্থনীতিতে এর ব্যাপক নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া ইতোমধ্যে দৃশ্যমান। পরিস্থিতি উত্তরণে সরকারসহ সবার সহযোগিতায় পোশাকশিল্প খাত ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

এ লক্ষ্যে তিনি করোনাকালীন দুঃসময়ের মধ্যেও সার্বক্ষণিকভাবে কাস্টমস ও চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। চলমান মন্দাবস্থা উত্তরণে পোশাকশিল্পের পণ্য চালান দ্রুত খালাস ও ক্রেতার নির্ধারিত সময়ে রপ্তানি নিশ্চিতকরণে কাস্টমস ও চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রতি অনুরোধ করেন।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান রিয়াল এডমিরাল এম. শাহজাহান বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতিতে পোশাকশিল্প অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। রপ্তানি প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে বন্দর কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন সীমাবদ্ধতার মধ্যেও আমদানি-রপ্তানি সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম সুচারুভাবে সম্পাদন করছে। তিনি আমদানি খরচ কমানো ও ঢাকা-চট্টগ্রাম হাইওয়ে থেকে যানজট কমনোর লক্ষ্যে পানগাঁও বন্দর ব্যবহারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং বন্দরের অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন পরিকল্পনা তুলে ধরেন। এ লক্ষ্যে বিজিএমইএসহ সব স্টেক হোল্ডারদের সহযোগিতা কামনা করেন।

কাস্টম হাউজ, চট্টগ্রামের কমিশনার এম. ফখরুল আলম বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী সমাজকে সহযোগিতা তথা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ধরে রাখার লক্ষ্যে কাস্টমস হাউজ, চট্টগ্রাম সার্বক্ষণিকভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। সবার সহযোগিতায় বর্তমান মন্দাবস্থা কেটে যাবে মর্মে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। সাক্ষাৎকালে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএ’র প্রথম সহসভাপতি মোহাম্মদ আবদুস সালাম, সিনিয়র সহসভাপতি ফয়সাল সামাদ, সহসভাপতি (অর্থ) আবদুর রহিম ফিরোজ, পরিচালক খন্দকার বেলায়েত হোসেন ও সাবেক সহসভাপতি এবিএম সামশুদ্দিন।