সুগন্ধার ভাঙনে আধা কিমি. বিলীন : আতঙ্কে এলাকাবাসী

ঝালকাঠি শহরের গুরুধাম এলাকায় সুগন্ধা নদীর আকস্মিক ভাঙনে আধা কিলোমিটার এলাকা বিলীন হয়ে গেছে। গত বুধবার দুপুরে শুরু ভাঙনে এরইমধ্যে একটি বসতঘর ও বিভিন্ন প্রজাতির গাছপালা নদীতে বিলীন হয়ে যায়। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে এলাকাবাসী। ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তরা জানান-এদিন দুপুরের দিকে সুগন্ধা নদীর গুরুধাম এলাকায় আকস্মিকভাবে ভাঙন শুরু হয়। এতে মোনাছেফ হাওলাদারের বসতঘর নদীতে তলিয়ে যায়। তিনি ঘরের ভেতরের কিছু মালামাল রক্ষা করতে পারলেও বসতঘরটি বিলীন হয়ে গেছে। তীব্র ভাঙনে এ এলাকার বিভিন্ন প্রজাতির গাছপালা তলিয়ে গেছে। বর্তমানে ঝুঁকিতে রয়েছে বাসস্ট্যান্ড, একটি বালির খোলা, গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও কয়েকটি বসতঘর। নদী তীরের বিশাল ফাটল ধরে আছে। অচিরেই কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে যেকোন সময় ভাঙনে এসব স্থাপনা নদীতে বিলীন হয়ে ঝালকাঠি পৌর এলাকার বিপুল পরিমাণ জমি নদীতে বিলীন হয়ে যেতে পারে।

এদিকে ভাঙন কবলিত এলাকার মানুষকে সতর্ক অবস্থায় থাকতে বলেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। ঝালকাঠি পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী দিপক চন্দ্র দাস বলেন, নদী ভাঙনের খবর পেয়ে একটি টিম ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছে। এ ব্যাপারে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।

ঝালকাঠির জেলা প্রশাসক সহ রাজনৈতিক নেতারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডকে প্রয়োজনীয় তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এই এলাকায় ভাঙনের সঙ্গে শহর সংলগ্ন ডিসি পার্ক এলাকার একটি অংশে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙন রোধে তাৎক্ষণিকভাবে পানি উন্নয়ন বোর্ড ভাঙনরত এলাকায় বালুর ভর্তি বস্তা ফেলার উদ্যোগ নিয়েছে। 

বৃহস্পতিবার পানি উন্নয়ন বোর্ডের বরিশাল অঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী মো. নুরুল ইসলাম সরকার ও তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. শফিউদ্দিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ সময় তার সঙ্গে ঝালকাঠি পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিব হোসেন উপস্থিত ছিলেন। পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলীরা তাৎক্ষণিকভাবে ভাঙন রক্ষার জন্য বালুর বস্তা ফেলার নির্দেশ দেন। 

জানা গেছে, ইতোপূর্বে এই ভাঙনরত এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ড ৬.৫০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প পাঠিয়েছিলেন। পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঝালকাঠি নির্বাহী প্রকৌশলীর দপ্তর থেকে জনানো হয়েছে দু’দফায় এই প্রস্তাবিত প্রকল্পটি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় পর্যায় থেকে সংশোধনের জন্য ফেরত পাঠানো হয় এবং ১ মান পূর্বে পুনরায় সংশোধিত প্রকল্পটি অনুমোদনের জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়।

শনিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২১ , ৭ ফাল্গুন ১৪২৭ ৭ রজব ১৪৪২

সুগন্ধার ভাঙনে আধা কিমি. বিলীন : আতঙ্কে এলাকাবাসী

জেলা বার্তা পরিবেশক, ঝালকাঠি

image

ঝালকাঠি শহরের গুরুধাম এলাকায় সুগন্ধা নদীর আকস্মিক ভাঙনে আধা কিলোমিটার এলাকা বিলীন হয়ে গেছে। গত বুধবার দুপুরে শুরু ভাঙনে এরইমধ্যে একটি বসতঘর ও বিভিন্ন প্রজাতির গাছপালা নদীতে বিলীন হয়ে যায়। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে এলাকাবাসী। ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তরা জানান-এদিন দুপুরের দিকে সুগন্ধা নদীর গুরুধাম এলাকায় আকস্মিকভাবে ভাঙন শুরু হয়। এতে মোনাছেফ হাওলাদারের বসতঘর নদীতে তলিয়ে যায়। তিনি ঘরের ভেতরের কিছু মালামাল রক্ষা করতে পারলেও বসতঘরটি বিলীন হয়ে গেছে। তীব্র ভাঙনে এ এলাকার বিভিন্ন প্রজাতির গাছপালা তলিয়ে গেছে। বর্তমানে ঝুঁকিতে রয়েছে বাসস্ট্যান্ড, একটি বালির খোলা, গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও কয়েকটি বসতঘর। নদী তীরের বিশাল ফাটল ধরে আছে। অচিরেই কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে যেকোন সময় ভাঙনে এসব স্থাপনা নদীতে বিলীন হয়ে ঝালকাঠি পৌর এলাকার বিপুল পরিমাণ জমি নদীতে বিলীন হয়ে যেতে পারে।

এদিকে ভাঙন কবলিত এলাকার মানুষকে সতর্ক অবস্থায় থাকতে বলেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। ঝালকাঠি পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী দিপক চন্দ্র দাস বলেন, নদী ভাঙনের খবর পেয়ে একটি টিম ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছে। এ ব্যাপারে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।

ঝালকাঠির জেলা প্রশাসক সহ রাজনৈতিক নেতারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডকে প্রয়োজনীয় তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এই এলাকায় ভাঙনের সঙ্গে শহর সংলগ্ন ডিসি পার্ক এলাকার একটি অংশে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙন রোধে তাৎক্ষণিকভাবে পানি উন্নয়ন বোর্ড ভাঙনরত এলাকায় বালুর ভর্তি বস্তা ফেলার উদ্যোগ নিয়েছে। 

বৃহস্পতিবার পানি উন্নয়ন বোর্ডের বরিশাল অঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী মো. নুরুল ইসলাম সরকার ও তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. শফিউদ্দিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ সময় তার সঙ্গে ঝালকাঠি পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিব হোসেন উপস্থিত ছিলেন। পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলীরা তাৎক্ষণিকভাবে ভাঙন রক্ষার জন্য বালুর বস্তা ফেলার নির্দেশ দেন। 

জানা গেছে, ইতোপূর্বে এই ভাঙনরত এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ড ৬.৫০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প পাঠিয়েছিলেন। পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঝালকাঠি নির্বাহী প্রকৌশলীর দপ্তর থেকে জনানো হয়েছে দু’দফায় এই প্রস্তাবিত প্রকল্পটি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় পর্যায় থেকে সংশোধনের জন্য ফেরত পাঠানো হয় এবং ১ মান পূর্বে পুনরায় সংশোধিত প্রকল্পটি অনুমোদনের জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়।