গালওয়ান সংঘর্ষে ৪ সেনা নিহতের স্বীকারোক্তি চীনা সেনাবাহিনীর

বিরোধপূর্ণ পূর্ব লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় গত বছরের জুনে ভারতীয় সেনাদের সঙ্গে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে এক কমান্ডারসহ নিজেদের চার সেনা সদস্য নিহত এবং একজন গুরুতর আহত হয়েছিল বলে স্বীকার করেছে চীন।

ঘটনার আট মাস পর প্রথমবারের মতো এই প্রাণহানির কথা স্বীকার করল চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ)। চীনের সেনাবাহিনীর পত্রিকা পিএলএ ডেইলির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, নিহত সেনাদের সম্মানিত করেছে চীনের কেন্দ্রীয় সামরিক কমিশন (সিএমসি)।

গত বছরের ১৫ জুন হিমালয়-অধ্যুষিত গালওয়ান উপত্যকায় চীনের সেনাদের সঙ্গে সংঘর্ষে ২০ ভারতীয় সেনা নিহত হয়। চার দশকেরও বেশি সময়ে দুই দেশের মধ্যে এটি ছিল সবচেয়ে ভয়াবহ সীমান্ত সংঘর্ষ।

পিএলএ ডেইলির বরাতে চীনের রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত সংবাদ মাধ্যম গ্লোবাল টাইমস জানিয়েছে, নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে পিএলএ জিনজিয়াং সামরিক কমান্ডের রেজিমেন্টাল কমান্ডার কিউ ফাবাও রয়েছেন। বাকিরা হলেন- চেন হংকজুন, চেন জিয়াংরং, জিয়াও সিয়ুয়ান। দেশটির প্রেসিডেন্ট শি চিনপিংয়ের নেতৃত্বে পিএলএ তাদের সম্মানিত করেছে।

গালওয়ান উপত্যকার সংঘর্ষে চীনের কমপক্ষে ৩০ সেনা নিহত হয়েছে বলে সে সময় দাবি করেছিল ভারত। তবে সংঘর্ষে হতাহতের বিষয় কখনও স্বীকার করেনি চীন।

এর আগে গত ১০ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার বার্তা সংস্থা তাস জানিয়েছিল, গালওয়ান সংঘর্ষে চীনের ৪৫ সেনা নিহত হয়। সিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতীয় কৌশল ইনস্টিটিউটের গবেষণা বিভাগের পরিচালক কিয়ান ফেং গ্লোবাল টাইমসকে বলেন, গালওয়ান সংঘর্ষে চীনের বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, এমন প্রচারকে খণ্ডন করতেই নিহত সেনাদের বিবরণ প্রকাশ করেছে চীন।

চীনের এই স্বীকারোক্তি এমন সময় এলো যখন লাদাখে ভারত-চীন সীমান্তে দুই পক্ষের সেনারা গত বছরের মে মাসে শুরু হওয়া বিবাদের কেন্দ্রস্থল প্যানগং হ্রদের উত্তর ও দক্ষিণ তীর থেকে সরে যাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে।

শনিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২১ , ৭ ফাল্গুন ১৪২৭ ৭ রজব ১৪৪২

গালওয়ান সংঘর্ষে ৪ সেনা নিহতের স্বীকারোক্তি চীনা সেনাবাহিনীর

image

পূর্ব লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় চীন-ভারতের সৈন্যরা -এনডিটিভি

বিরোধপূর্ণ পূর্ব লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় গত বছরের জুনে ভারতীয় সেনাদের সঙ্গে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে এক কমান্ডারসহ নিজেদের চার সেনা সদস্য নিহত এবং একজন গুরুতর আহত হয়েছিল বলে স্বীকার করেছে চীন।

ঘটনার আট মাস পর প্রথমবারের মতো এই প্রাণহানির কথা স্বীকার করল চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ)। চীনের সেনাবাহিনীর পত্রিকা পিএলএ ডেইলির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, নিহত সেনাদের সম্মানিত করেছে চীনের কেন্দ্রীয় সামরিক কমিশন (সিএমসি)।

গত বছরের ১৫ জুন হিমালয়-অধ্যুষিত গালওয়ান উপত্যকায় চীনের সেনাদের সঙ্গে সংঘর্ষে ২০ ভারতীয় সেনা নিহত হয়। চার দশকেরও বেশি সময়ে দুই দেশের মধ্যে এটি ছিল সবচেয়ে ভয়াবহ সীমান্ত সংঘর্ষ।

পিএলএ ডেইলির বরাতে চীনের রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত সংবাদ মাধ্যম গ্লোবাল টাইমস জানিয়েছে, নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে পিএলএ জিনজিয়াং সামরিক কমান্ডের রেজিমেন্টাল কমান্ডার কিউ ফাবাও রয়েছেন। বাকিরা হলেন- চেন হংকজুন, চেন জিয়াংরং, জিয়াও সিয়ুয়ান। দেশটির প্রেসিডেন্ট শি চিনপিংয়ের নেতৃত্বে পিএলএ তাদের সম্মানিত করেছে।

গালওয়ান উপত্যকার সংঘর্ষে চীনের কমপক্ষে ৩০ সেনা নিহত হয়েছে বলে সে সময় দাবি করেছিল ভারত। তবে সংঘর্ষে হতাহতের বিষয় কখনও স্বীকার করেনি চীন।

এর আগে গত ১০ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার বার্তা সংস্থা তাস জানিয়েছিল, গালওয়ান সংঘর্ষে চীনের ৪৫ সেনা নিহত হয়। সিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতীয় কৌশল ইনস্টিটিউটের গবেষণা বিভাগের পরিচালক কিয়ান ফেং গ্লোবাল টাইমসকে বলেন, গালওয়ান সংঘর্ষে চীনের বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, এমন প্রচারকে খণ্ডন করতেই নিহত সেনাদের বিবরণ প্রকাশ করেছে চীন।

চীনের এই স্বীকারোক্তি এমন সময় এলো যখন লাদাখে ভারত-চীন সীমান্তে দুই পক্ষের সেনারা গত বছরের মে মাসে শুরু হওয়া বিবাদের কেন্দ্রস্থল প্যানগং হ্রদের উত্তর ও দক্ষিণ তীর থেকে সরে যাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে।