নাসার ‘রোবট’ অবতরণ করেছে মঙ্গল গ্রহে

মঙ্গল গ্রহে নাসার একটি রোবট সফলভাবে অবতরণ করেছে। পারসিভেয়ারেন্স নামের এই রোবটটি বৃহস্পতিবার রাতে অবতরণের পর ভালো অবস্থায় রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রকল্পের উপ-ব্যবস্থাপক ম্যাট ওয়ালেস। মঙ্গল পৃষ্ঠে রোবটটির অবতরণের মুহূর্তকে ঐতিহাসিক বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার পক্ষ থেকে। বিবিসি

ছয় চাকার এই স্বয়ংচালিত যানটি পৃথিবী থেকে তার ৪৭০ মিলিয়ন কিলোমিটার (৪৭ কোটি মাইল) পথের যাত্রা শুরু করেছিল সাত মাস আগে। এই মহাকাশ মিশনের সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং অংশ ছিল মঙ্গলের পৃষ্ঠে যানটির অবতরণের মুহূর্তটি। এর আগে বহু মহাকাশযান এই কাজ করতে গিয়ে বিভ্রান্ত হয়ে গেছে।

এর আগে এত উন্নত যন্ত্রপাতি নিয়ে কোন গ্রহে বৈজ্ঞানিক মিশন পাঠানো হয়নি এবং এত সম্ভাবনাময় একটা স্থানকে টার্গেট করে কোন রোবটও এর আগে কখনও নামানো হয়নি। যেখানে এই মহাকাশ রোবটের মঙ্গলপৃষ্ঠ স্পর্শ করেছে সেই স্থানটি হলো জেযেরো ক্রেটার। উপগ্রহে পাওয়া ছবি থেকে বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন এক সময় এই গহ্বরের স্থানটিতে বিশাল একটি হ্রদ থাকার লক্ষণ। তাদের ধারণা এই হ্রদটিতে প্রচুর পানি ছিল এবং সম্ভবত সেখানে জীবনও ছিল। পারসিভেয়ারেন্সের সফল অবতরণের ফলে মঙ্গলগ্রহে অতীতে কোন প্রাণের অস্তিত্ব ছিল কিনা তা জানার অভূতপূর্ব সুযোগ সৃষ্টি হবে।

শনিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২১ , ৭ ফাল্গুন ১৪২৭ ৭ রজব ১৪৪২

নাসার ‘রোবট’ অবতরণ করেছে মঙ্গল গ্রহে

মঙ্গল গ্রহে নাসার একটি রোবট সফলভাবে অবতরণ করেছে। পারসিভেয়ারেন্স নামের এই রোবটটি বৃহস্পতিবার রাতে অবতরণের পর ভালো অবস্থায় রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রকল্পের উপ-ব্যবস্থাপক ম্যাট ওয়ালেস। মঙ্গল পৃষ্ঠে রোবটটির অবতরণের মুহূর্তকে ঐতিহাসিক বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার পক্ষ থেকে। বিবিসি

ছয় চাকার এই স্বয়ংচালিত যানটি পৃথিবী থেকে তার ৪৭০ মিলিয়ন কিলোমিটার (৪৭ কোটি মাইল) পথের যাত্রা শুরু করেছিল সাত মাস আগে। এই মহাকাশ মিশনের সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং অংশ ছিল মঙ্গলের পৃষ্ঠে যানটির অবতরণের মুহূর্তটি। এর আগে বহু মহাকাশযান এই কাজ করতে গিয়ে বিভ্রান্ত হয়ে গেছে।

এর আগে এত উন্নত যন্ত্রপাতি নিয়ে কোন গ্রহে বৈজ্ঞানিক মিশন পাঠানো হয়নি এবং এত সম্ভাবনাময় একটা স্থানকে টার্গেট করে কোন রোবটও এর আগে কখনও নামানো হয়নি। যেখানে এই মহাকাশ রোবটের মঙ্গলপৃষ্ঠ স্পর্শ করেছে সেই স্থানটি হলো জেযেরো ক্রেটার। উপগ্রহে পাওয়া ছবি থেকে বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন এক সময় এই গহ্বরের স্থানটিতে বিশাল একটি হ্রদ থাকার লক্ষণ। তাদের ধারণা এই হ্রদটিতে প্রচুর পানি ছিল এবং সম্ভবত সেখানে জীবনও ছিল। পারসিভেয়ারেন্সের সফল অবতরণের ফলে মঙ্গলগ্রহে অতীতে কোন প্রাণের অস্তিত্ব ছিল কিনা তা জানার অভূতপূর্ব সুযোগ সৃষ্টি হবে।