শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে

পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের মধ্যদিয়ে আজ দিবাগত রাত থেকে শুরু হবে অমর একুশে ফেব্রুয়ারির মূল কর্মসূচি। শহীদ দিবসকে সামনে রেখে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গ্রহণ করা হয়েছে সব ধরনের নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা। করোনা পরিস্থিতির কারণে এবারের শহীদ দিবস উদযাপন হবে একটু ভিন্ন আঙ্গিকে।

গতকাল সরেজমিনে দেখা যায়, শহীদ মিনারের মূল বেদিতে চলছে আলপনা আঁকার কাজ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে আলপনা আঁকার কাজ প্রায় শেষের দিকে। শহীদ মিনারসংলগ্ন সড়কের পাশের দেয়ালগুলোতে ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাভিত্তিক বিভিন্ন ছবি ও দেয়াল লিখনী আঁকছে শিল্পীরা। শহীদ মিনারসহ পুরো এলাকাকে ঢেকে ফেলা হচ্ছে নিরাপত্তার চাদরে। পুলিশ, র?্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী রয়েছে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। প্রয়োজনীয় ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার আওতায় আনা হয়েছে পুরো শহীদ মিনার এলাকা।

করোনা মহামারীর কারণে এবারের শহীদ দিবস পালনে নেয়া হয়েছে বাড়তি সতর্কতা। সবাইকে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করতে হবে। সবার জন্য মাস্ক বাধ্যতামূলক করা হয়েছে, মানতে হবে শারীরিক দূরত্ব। নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে হাত ধোয়ার জন্য থাকবে সাবান এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজার। পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের ক্ষেত্রে ব্যক্তি পর্যায়ে সর্বোচ্চ দুইজন এবং সংগঠনের পক্ষে একসঙ্গে সর্বোচ্চ পাঁচজন অংশগ্রহণ করতে পারবে। তবে পর্যায়ক্রমে সবাই ফুল দিতে পারবে। এক্ষেত্রে সবাইকে বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং শহীদ মিনারে প্রবেশে নির্দিষ্ট রুট অনুসরণ করতে হবে। দর্শনার্থীদের গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে। বিএনসিসি, রোভার স্কাউট, গার্ল গাইডসহ অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবক সদস্যরা হ্যান্ড মাইকের মাধ্যমে আগত দর্শনার্থীদের সতর্কীকরণের কাজে নিয়োজিত থাকবে।

এদিকে গতকাল বিকেলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার পরিদর্শন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. আখতারুজ্জামান এবং শহীদ দিবস উদযাপন কমিটির সমন্বয়ক দল।

এ সময় সার্বিক প্রস্তুতি দেখে সন্তোষ প্রকাশ করে উপাচার্য বলেন, রাষ্ট্রাচার অনুযায়ী একুশের প্রথম প্রহরে পুস্পার্ঘ্য অর্পণের উদ্দেশে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের বেদিমূল প্রস্তুত করা হয়েছে। তিনি কোভিড-১৯ উদ্ভূত পরিস্থিতি বিবেচনায় যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ, বাধ্যতামূলক মাস্ক পরিধান ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপনের জন্য ছাত্র, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সবার প্রতি আহ্বান জানান।

শনিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২১ , ৭ ফাল্গুন ১৪২৭ ৭ রজব ১৪৪২

শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে

প্রতিনিধি, ঢাবি

image

পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের মধ্যদিয়ে আজ দিবাগত রাত থেকে শুরু হবে অমর একুশে ফেব্রুয়ারির মূল কর্মসূচি। শহীদ দিবসকে সামনে রেখে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গ্রহণ করা হয়েছে সব ধরনের নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা। করোনা পরিস্থিতির কারণে এবারের শহীদ দিবস উদযাপন হবে একটু ভিন্ন আঙ্গিকে।

গতকাল সরেজমিনে দেখা যায়, শহীদ মিনারের মূল বেদিতে চলছে আলপনা আঁকার কাজ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে আলপনা আঁকার কাজ প্রায় শেষের দিকে। শহীদ মিনারসংলগ্ন সড়কের পাশের দেয়ালগুলোতে ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাভিত্তিক বিভিন্ন ছবি ও দেয়াল লিখনী আঁকছে শিল্পীরা। শহীদ মিনারসহ পুরো এলাকাকে ঢেকে ফেলা হচ্ছে নিরাপত্তার চাদরে। পুলিশ, র?্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী রয়েছে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। প্রয়োজনীয় ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার আওতায় আনা হয়েছে পুরো শহীদ মিনার এলাকা।

করোনা মহামারীর কারণে এবারের শহীদ দিবস পালনে নেয়া হয়েছে বাড়তি সতর্কতা। সবাইকে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করতে হবে। সবার জন্য মাস্ক বাধ্যতামূলক করা হয়েছে, মানতে হবে শারীরিক দূরত্ব। নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে হাত ধোয়ার জন্য থাকবে সাবান এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজার। পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের ক্ষেত্রে ব্যক্তি পর্যায়ে সর্বোচ্চ দুইজন এবং সংগঠনের পক্ষে একসঙ্গে সর্বোচ্চ পাঁচজন অংশগ্রহণ করতে পারবে। তবে পর্যায়ক্রমে সবাই ফুল দিতে পারবে। এক্ষেত্রে সবাইকে বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং শহীদ মিনারে প্রবেশে নির্দিষ্ট রুট অনুসরণ করতে হবে। দর্শনার্থীদের গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে। বিএনসিসি, রোভার স্কাউট, গার্ল গাইডসহ অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবক সদস্যরা হ্যান্ড মাইকের মাধ্যমে আগত দর্শনার্থীদের সতর্কীকরণের কাজে নিয়োজিত থাকবে।

এদিকে গতকাল বিকেলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার পরিদর্শন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. আখতারুজ্জামান এবং শহীদ দিবস উদযাপন কমিটির সমন্বয়ক দল।

এ সময় সার্বিক প্রস্তুতি দেখে সন্তোষ প্রকাশ করে উপাচার্য বলেন, রাষ্ট্রাচার অনুযায়ী একুশের প্রথম প্রহরে পুস্পার্ঘ্য অর্পণের উদ্দেশে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের বেদিমূল প্রস্তুত করা হয়েছে। তিনি কোভিড-১৯ উদ্ভূত পরিস্থিতি বিবেচনায় যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ, বাধ্যতামূলক মাস্ক পরিধান ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপনের জন্য ছাত্র, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সবার প্রতি আহ্বান জানান।