নিরাপদ কুমিল্লায় রাতে পাহারায় পুলিশ জনতা

কুমিল্লাকে নিরাপদ রাখার লক্ষ্যে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছে জেলা পুলিশ। চুরি-ছিনতাই-ডাকাতিসহ নানা অপরাধমূলক কার্যক্রম প্রতিরোধ করে শুক্রবার গভীররাতে পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ এর উদ্যোগে ‘পুলিশ-জনতার যৌথ পাহারা’ কার্যক্রম শুরু করা হয়। এ সময় বিভিন্ন ইউনিয়নে পুলিশের সাথে নিয়োজিত পাহারার দায়িত্বপালনকারী জনতাকে বিশেষ পোশাক, লাঠি-বাঁশি ও খাবার সামগ্রী বিতরণ করা হয়। বিষয়টিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ জেলার সচেতনমহল।

জানা যায়, জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়নের লক্ষ্যে শুক্রবার রাতে পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ এর নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম আদর্শ সদর উপজেলার জগন্নাথপুর, আমড়াতলী, দুর্গাপুর উত্তর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে ‘পুলিশ-জনতার যৌথ পাহারা’ কার্যক্রম পরিদর্শন করে এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সাথে আইনশৃঙ্খলার উন্নয়নে ভূমিকা রাখার জন্য পুলিশ সুপার সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। এ সময় কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজিম-উল আহসান, সজিব খান, নাজমুল হাসান রাফি, মো. সোহানসহ জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। জগন্নাথপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মামুনুর রশীদ জানান, ‘নিঃসন্দেহে এটা ভাল উদ্যোগ। বর্তমানে জনসংখ্যার হারে পুলিশের জনবল খুবই কম। এমন উদ্যোগের ফলে পুলিশের সাথে জনগণের সেতুবন্ধন যেমন তৈরি হবে। পাশাপাশি এলাকায় চুরি, ছিনতাইসহ অপরাধমূলক কার্যক্রম বন্ধেও ভূমিকা রাখবে।’ সচেতন নাগরিক কমিটির (সনাক) সাবেক জেলা শাখার সভাপতি আলী আকবর মাসুম বলেন, ‘যৌথ পাহারার যে কার্যক্রম চালু করা হয়েছে, এর মাধ্যমে জনগণের আস্থার প্রতিফলন ঘটাতে হবে। জনসাধারণের মধ্যে যারা দায়িত্বপালন করবেন, তারাও যেন এর প্রভাব খাটিয়ে কোন অপরাধমূলক কর্মকা-ে জড়িয়ে না পড়েন সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। তাহলেই এ জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হবে।’

জেলা পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ জানান, ‘জনগণের সহযোগিতা ছাড়া যে কোন অপরাধ পরিপূর্ণভাবে নির্মূল করা সম্ভব নয়। অপরাধ নিবারণ ব্যবস্থাকে সু-সংহত করার লক্ষ্যে অপরাধ নিয়ন্ত্রণে জেলার ১৮টি থানা এলাকায় গুরুত্বপূর্ণ স্থানসহ প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিভিন্ন কৌশলগত স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে।

যেহেতু পুলিশের জনবল স্বল্পতা রয়েছে, তাই পুলিশ-জনতা মিলে আমরা এভাবে পাহারার ব্যবস্থা করেছি। এক্ষেত্রে জনপ্রতিনিধি ও জনসাধারণের সক্রিয় সহযোগিতা কামনা করছি।’

রবিবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২১ , ৮ ফাল্গুন ১৪২৭ ৮ রজব ১৪৪২

নিরাপদ কুমিল্লায় রাতে পাহারায় পুলিশ জনতা

জেলা বার্তা পরিবেশক, কুমিল্লা

কুমিল্লাকে নিরাপদ রাখার লক্ষ্যে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছে জেলা পুলিশ। চুরি-ছিনতাই-ডাকাতিসহ নানা অপরাধমূলক কার্যক্রম প্রতিরোধ করে শুক্রবার গভীররাতে পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ এর উদ্যোগে ‘পুলিশ-জনতার যৌথ পাহারা’ কার্যক্রম শুরু করা হয়। এ সময় বিভিন্ন ইউনিয়নে পুলিশের সাথে নিয়োজিত পাহারার দায়িত্বপালনকারী জনতাকে বিশেষ পোশাক, লাঠি-বাঁশি ও খাবার সামগ্রী বিতরণ করা হয়। বিষয়টিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ জেলার সচেতনমহল।

জানা যায়, জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়নের লক্ষ্যে শুক্রবার রাতে পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ এর নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম আদর্শ সদর উপজেলার জগন্নাথপুর, আমড়াতলী, দুর্গাপুর উত্তর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে ‘পুলিশ-জনতার যৌথ পাহারা’ কার্যক্রম পরিদর্শন করে এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সাথে আইনশৃঙ্খলার উন্নয়নে ভূমিকা রাখার জন্য পুলিশ সুপার সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। এ সময় কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজিম-উল আহসান, সজিব খান, নাজমুল হাসান রাফি, মো. সোহানসহ জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। জগন্নাথপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মামুনুর রশীদ জানান, ‘নিঃসন্দেহে এটা ভাল উদ্যোগ। বর্তমানে জনসংখ্যার হারে পুলিশের জনবল খুবই কম। এমন উদ্যোগের ফলে পুলিশের সাথে জনগণের সেতুবন্ধন যেমন তৈরি হবে। পাশাপাশি এলাকায় চুরি, ছিনতাইসহ অপরাধমূলক কার্যক্রম বন্ধেও ভূমিকা রাখবে।’ সচেতন নাগরিক কমিটির (সনাক) সাবেক জেলা শাখার সভাপতি আলী আকবর মাসুম বলেন, ‘যৌথ পাহারার যে কার্যক্রম চালু করা হয়েছে, এর মাধ্যমে জনগণের আস্থার প্রতিফলন ঘটাতে হবে। জনসাধারণের মধ্যে যারা দায়িত্বপালন করবেন, তারাও যেন এর প্রভাব খাটিয়ে কোন অপরাধমূলক কর্মকা-ে জড়িয়ে না পড়েন সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। তাহলেই এ জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হবে।’

জেলা পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ জানান, ‘জনগণের সহযোগিতা ছাড়া যে কোন অপরাধ পরিপূর্ণভাবে নির্মূল করা সম্ভব নয়। অপরাধ নিবারণ ব্যবস্থাকে সু-সংহত করার লক্ষ্যে অপরাধ নিয়ন্ত্রণে জেলার ১৮টি থানা এলাকায় গুরুত্বপূর্ণ স্থানসহ প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিভিন্ন কৌশলগত স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে।

যেহেতু পুলিশের জনবল স্বল্পতা রয়েছে, তাই পুলিশ-জনতা মিলে আমরা এভাবে পাহারার ব্যবস্থা করেছি। এক্ষেত্রে জনপ্রতিনিধি ও জনসাধারণের সক্রিয় সহযোগিতা কামনা করছি।’