খাশোগি হত্যার গোয়েন্দা প্রতিবেদন প্রকাশ করবে যুক্তরাষ্ট্র

মার্কিন সরকার সৌদি আরবের ভিন্নমতাবলম্বী সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যার পূর্ণাঙ্গ গোয়েন্দা তথ্য প্রকাশ করতে যাচ্ছে। ওয়াশিংটন পোস্টের এক প্রতিবেদনে নির্ভরযোগ্য সূত্রের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসন আগামী সপ্তাহ নাগাদ এই প্রতিবেদন প্রকাশ করবে।

সাংবাদিক জামাল খাশোগি ২০১৮ সালের অক্টোবরে ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেটে প্রবেশের পর নিখোঁজ হন। তার সঙ্গে ছিলেন তুর্কি বাগদত্তা হেতিস চেঙ্গিস। বিয়ের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আনতেই ২ অক্টোবর ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেটে প্রবেশ করেছিলেন খাশোগি। তার নিখোঁজ রহস্য নিয়ে বিশ্বজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া শুরু হলে একপর্যায়ে তাকে হত্যার কথা স্বীকার করে সৌদি সরকার।

মার্কিন গোয়েন্দা সূত্রগুলো সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে, সৌদি যুবরাজ মোহাম্মাদ বিন সালমানের নির্দেশেই খাশোগিকে হত্যা করা হয়েছে। পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ হলে সে ব্যাপারে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যাবে।

সৌদি কনস্যুলেট কর্মকর্তারা প্রথমে দাবি করেছিলেন, জিজ্ঞাসাবাদের সময় কর্মকর্তাদের ভুলে নিহত হন ওই সাংবাদিক। তবে তার মৃতদেহের কোনও সন্ধান দেয়নি তারা। হত্যাকা-ের ঘটনায় গত অক্টোবরে সৌদি যুবরাজের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে মামলা করেছেন নিহতের বাগদত্তা। এতে অভিযোগ করা হয়েছে, সৌদি যুবরাজ ব্যক্তিগতভাবে খাশোগিকে নির্মমভাবে হত্যার নির্দেশ দিয়েছেন।

তবে ওই হত্যাকা-ের পরবর্তী কয়েক সপ্তাহ ধরে বিষয়টি টপ অব দ্য ওয়ার্ল্ডে পরিণত হলেও তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সৌদি যুবরাজের অপরাধ কর্মকা- আড়ালের চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ ওঠে। তিনি মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। এবার সেই প্রতিবেদনই প্রকাশ হতে যাচ্ছে।

রবিবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২১ , ৮ ফাল্গুন ১৪২৭ ৮ রজব ১৪৪২

খাশোগি হত্যার গোয়েন্দা প্রতিবেদন প্রকাশ করবে যুক্তরাষ্ট্র

মার্কিন সরকার সৌদি আরবের ভিন্নমতাবলম্বী সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যার পূর্ণাঙ্গ গোয়েন্দা তথ্য প্রকাশ করতে যাচ্ছে। ওয়াশিংটন পোস্টের এক প্রতিবেদনে নির্ভরযোগ্য সূত্রের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসন আগামী সপ্তাহ নাগাদ এই প্রতিবেদন প্রকাশ করবে।

সাংবাদিক জামাল খাশোগি ২০১৮ সালের অক্টোবরে ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেটে প্রবেশের পর নিখোঁজ হন। তার সঙ্গে ছিলেন তুর্কি বাগদত্তা হেতিস চেঙ্গিস। বিয়ের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আনতেই ২ অক্টোবর ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেটে প্রবেশ করেছিলেন খাশোগি। তার নিখোঁজ রহস্য নিয়ে বিশ্বজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া শুরু হলে একপর্যায়ে তাকে হত্যার কথা স্বীকার করে সৌদি সরকার।

মার্কিন গোয়েন্দা সূত্রগুলো সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে, সৌদি যুবরাজ মোহাম্মাদ বিন সালমানের নির্দেশেই খাশোগিকে হত্যা করা হয়েছে। পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ হলে সে ব্যাপারে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যাবে।

সৌদি কনস্যুলেট কর্মকর্তারা প্রথমে দাবি করেছিলেন, জিজ্ঞাসাবাদের সময় কর্মকর্তাদের ভুলে নিহত হন ওই সাংবাদিক। তবে তার মৃতদেহের কোনও সন্ধান দেয়নি তারা। হত্যাকা-ের ঘটনায় গত অক্টোবরে সৌদি যুবরাজের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে মামলা করেছেন নিহতের বাগদত্তা। এতে অভিযোগ করা হয়েছে, সৌদি যুবরাজ ব্যক্তিগতভাবে খাশোগিকে নির্মমভাবে হত্যার নির্দেশ দিয়েছেন।

তবে ওই হত্যাকা-ের পরবর্তী কয়েক সপ্তাহ ধরে বিষয়টি টপ অব দ্য ওয়ার্ল্ডে পরিণত হলেও তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সৌদি যুবরাজের অপরাধ কর্মকা- আড়ালের চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ ওঠে। তিনি মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। এবার সেই প্রতিবেদনই প্রকাশ হতে যাচ্ছে।