গাছ কাটতে বাধা পিটিয়ে হত্যা ১

নরসিংদীর রায়পুরায় বাড়ির সীমানা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় শহীদ মিয়া (৬০) নামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। গত শনিবার উপজেলার উত্তর বাখরনগর ইউনিয়নের লোচনপুর এলাকায় এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। নিহতের ছোট মেয়ে ও ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী জেসমিন আক্তার জানান, গত শনিবার তাদের বাড়ির একটি গাছ কয়েকজন প্রতিবেশী মিলে কেটে নিচ্ছিল। যে গাছটি কাটা হচ্ছিল তা নিয়ে প্রতিবেশীদের বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে স্থানীয়ভাবে বেশ কয়েকবার সালিশ বৈঠকও হয়েছে। গাছ কাটার সময় শহীদ মিয়া তাদের বাধা দেয়। এ সময় গাছ কাটার দা নিয়ে শহীদ মিয়াকে কোপানোর হুমকি দেন তারা। একপর্যায়ে আওয়াল, খালেদ, বিজয়, মুন্নু, রাকিব, কেরুল ও সামি মিলে শহীদ মিয়াকে ঘিরে ধরে কিল-ঘুষি মারতে থাকেন। এতে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তারা পালিয়ে যান।

উপস্থিত লোকজন ও স্বজনরা আহত অবস্থায় শহীদ মিয়াকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যায়। ওই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের পরামর্শে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় রায়পুরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। পরে সেখানকার জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত শহীদ মিয়া রায়পুরা উপজেলার উত্তর বাখরনগর ইউনিয়নের লোচনপুর গ্রামের মৃত আবদুল বারিকের ছেলে।

রায়পুরা থানার উপপরিদর্শক দেবদুলাল দে জানান, সীমানা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরেই এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। হত্যাকাণ্ডের খবর পেয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। লাশের ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হচ্ছে।

সোমবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২১ , ৯ ফাল্গুন ১৪২৭ ৯ রজব ১৪৪২

গাছ কাটতে বাধা পিটিয়ে হত্যা ১

প্রতিনিধি, নরসিংদী

নরসিংদীর রায়পুরায় বাড়ির সীমানা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় শহীদ মিয়া (৬০) নামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। গত শনিবার উপজেলার উত্তর বাখরনগর ইউনিয়নের লোচনপুর এলাকায় এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। নিহতের ছোট মেয়ে ও ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী জেসমিন আক্তার জানান, গত শনিবার তাদের বাড়ির একটি গাছ কয়েকজন প্রতিবেশী মিলে কেটে নিচ্ছিল। যে গাছটি কাটা হচ্ছিল তা নিয়ে প্রতিবেশীদের বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে স্থানীয়ভাবে বেশ কয়েকবার সালিশ বৈঠকও হয়েছে। গাছ কাটার সময় শহীদ মিয়া তাদের বাধা দেয়। এ সময় গাছ কাটার দা নিয়ে শহীদ মিয়াকে কোপানোর হুমকি দেন তারা। একপর্যায়ে আওয়াল, খালেদ, বিজয়, মুন্নু, রাকিব, কেরুল ও সামি মিলে শহীদ মিয়াকে ঘিরে ধরে কিল-ঘুষি মারতে থাকেন। এতে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তারা পালিয়ে যান।

উপস্থিত লোকজন ও স্বজনরা আহত অবস্থায় শহীদ মিয়াকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যায়। ওই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের পরামর্শে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় রায়পুরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। পরে সেখানকার জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত শহীদ মিয়া রায়পুরা উপজেলার উত্তর বাখরনগর ইউনিয়নের লোচনপুর গ্রামের মৃত আবদুল বারিকের ছেলে।

রায়পুরা থানার উপপরিদর্শক দেবদুলাল দে জানান, সীমানা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরেই এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। হত্যাকাণ্ডের খবর পেয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। লাশের ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হচ্ছে।