কুমিল্লা পট্টিতে আগুন শতাধিক ঘর পুড়ে ছাই

রাজধানীর মানিকনগরের কুমিল্লা পট্টিতে আগুনে শতাধিক টিনসেড ঘর ভস্মীভূত হয়েছে। গতকাল বিকেল ৩টায় এ আগুন লাগে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ৯টি ইউনিট বিকেল ৫টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ততক্ষণে সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। তারা সবকিছু হারিয়ে এখন খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করছেন।

ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরের উপসহকারী কর্মকর্তা হাসিবুর রহমান জানান, কুমিল্লা পট্টিতে ছোট ছোট টিনশেড ঘর ছিল। ৯টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ করেছে। তবে কারও হতাহতের খবর মেলেনি। ঘরগুলোর অধিকাংশই ভস্মীভূত হয়েছে। আগুন লাগার কারণ জানা যায়নি। এ বিষয় নিয়ে ফায়ার সার্ভিস কাজ করছে।

স্থানীয়রা জানান, টিনসেট ঘরগুলোতে পরিবার নিয়ে থাকতো নিম্নআয়ের রিকশাচালক, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও দিনমজুর শ্রেণীর মানুষ। টিনসেড একটি ঘর থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। ঘরগুলোর বাসিন্দারা এক কাপড়ে ঘর থেকে বের হয়েছে। কোন বাসিন্দাই তাদের মালামাল রক্ষা করতে পারেননি। তারা একেবারে নিঃস্ব হয়ে গেছে

স্থানীয় সূত্র জানায়, ঘরগুলো পুনর্নির্মাণ করার আগ পর্যন্ত থাকা-খাওয়া নিয়ে ক্ষতিগ্রস্তরা চরম দুঃচিন্তায় আছেন। ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে অনেকের ঘরে নগদ অর্থ ও স্বর্ণলঙ্কারসহ দামি মালামাল ছিল। বেঁচে থাকার সম্বল হারিয়ে অনেকেই কান্নায় ভেঙে পড়েন বলে স্থানীয় সূত্র জানায়। স্থানীয়ভাবে আগুনে ক্ষতিগ্রস্তদের একটি তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। তাদের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও প্রশাসন।

ক্ষতিগ্রস্ত কয়েকজন জানান, হঠাৎ আগুন লাগার পর মুহূর্তে তা ছড়িয়ে পড়ে। সব চোখের সামনে আগুনে পুড়ে ছাই হয়েছে। অনেকে ঋণগ্রস্ত আছেন। ক্ষতি কিভাবে পুষিয়ে উঠবেন তা বুঝতে পারছেন না। সরকারিভাবে তাদের পুনর্বাসন না করা হলে তারা হয়তো ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন না।

মুগদা থানার ওসি প্রলয় কুমার সাহা বলেন, হতাহতের কোন খবর আমরা পাইনি। আগুনে ক্ষতিগ্রস্তরা তাদের মালামাল রক্ষা করতে পারেননি। আগুন লাগার কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

ওসি প্রলয় সাহা জানান, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো সবাই নিম্নআয়ের মানুষ। স্থানীয় এমপি, মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তাদের খাবারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। পুনর্বাসন না হওয়া পর্যন্ত তাদের আশ্রয়ে রাখা হবে। ক্ষয়ক্ষতির তালিকা তৈরি করা হচ্ছে।

সোমবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২১ , ৯ ফাল্গুন ১৪২৭ ৯ রজব ১৪৪২

কুমিল্লা পট্টিতে আগুন শতাধিক ঘর পুড়ে ছাই

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

image

গতকাল রাজধানীর কুমিল্লা পট্টি আগুনে পুড়ে ছাই -সংবাদ

রাজধানীর মানিকনগরের কুমিল্লা পট্টিতে আগুনে শতাধিক টিনসেড ঘর ভস্মীভূত হয়েছে। গতকাল বিকেল ৩টায় এ আগুন লাগে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ৯টি ইউনিট বিকেল ৫টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ততক্ষণে সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। তারা সবকিছু হারিয়ে এখন খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করছেন।

ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরের উপসহকারী কর্মকর্তা হাসিবুর রহমান জানান, কুমিল্লা পট্টিতে ছোট ছোট টিনশেড ঘর ছিল। ৯টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ করেছে। তবে কারও হতাহতের খবর মেলেনি। ঘরগুলোর অধিকাংশই ভস্মীভূত হয়েছে। আগুন লাগার কারণ জানা যায়নি। এ বিষয় নিয়ে ফায়ার সার্ভিস কাজ করছে।

স্থানীয়রা জানান, টিনসেট ঘরগুলোতে পরিবার নিয়ে থাকতো নিম্নআয়ের রিকশাচালক, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও দিনমজুর শ্রেণীর মানুষ। টিনসেড একটি ঘর থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। ঘরগুলোর বাসিন্দারা এক কাপড়ে ঘর থেকে বের হয়েছে। কোন বাসিন্দাই তাদের মালামাল রক্ষা করতে পারেননি। তারা একেবারে নিঃস্ব হয়ে গেছে

স্থানীয় সূত্র জানায়, ঘরগুলো পুনর্নির্মাণ করার আগ পর্যন্ত থাকা-খাওয়া নিয়ে ক্ষতিগ্রস্তরা চরম দুঃচিন্তায় আছেন। ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে অনেকের ঘরে নগদ অর্থ ও স্বর্ণলঙ্কারসহ দামি মালামাল ছিল। বেঁচে থাকার সম্বল হারিয়ে অনেকেই কান্নায় ভেঙে পড়েন বলে স্থানীয় সূত্র জানায়। স্থানীয়ভাবে আগুনে ক্ষতিগ্রস্তদের একটি তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। তাদের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও প্রশাসন।

ক্ষতিগ্রস্ত কয়েকজন জানান, হঠাৎ আগুন লাগার পর মুহূর্তে তা ছড়িয়ে পড়ে। সব চোখের সামনে আগুনে পুড়ে ছাই হয়েছে। অনেকে ঋণগ্রস্ত আছেন। ক্ষতি কিভাবে পুষিয়ে উঠবেন তা বুঝতে পারছেন না। সরকারিভাবে তাদের পুনর্বাসন না করা হলে তারা হয়তো ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন না।

মুগদা থানার ওসি প্রলয় কুমার সাহা বলেন, হতাহতের কোন খবর আমরা পাইনি। আগুনে ক্ষতিগ্রস্তরা তাদের মালামাল রক্ষা করতে পারেননি। আগুন লাগার কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

ওসি প্রলয় সাহা জানান, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো সবাই নিম্নআয়ের মানুষ। স্থানীয় এমপি, মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তাদের খাবারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। পুনর্বাসন না হওয়া পর্যন্ত তাদের আশ্রয়ে রাখা হবে। ক্ষয়ক্ষতির তালিকা তৈরি করা হচ্ছে।