ভারতে করোনার নতুন প্রজাতি আরও ক্ষতিকারক

ভারতে করোনাভাইরাসের যে নতুন প্রজাতির সন্ধান পাওয়া গেছে তা আরও বেশি ক্ষতিকারক বলে জানিয়েছেন অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সের প্রধান ড. রণদীপ গুলেরিয়া। তিনি বলেন, নতুন প্রজাতি (স্ট্রেন) থেকে সংক্রমণের হার বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। করোনার এই নতুন স্ট্রেন অনেক বেশি ছোঁয়াচে এবং বিপজ্জনক। একবার যাদের করোনা হয়েছে তাদেরও নতুন করে সংক্রমিত করতে পারে এই স্ট্রেন।

মহারাষ্ট্রের কোভিড টাস্কফোর্সের সদস্য শশাঙ্ক যোশি জানান, ভারতজুড়ে করোনার নতুন প্রজাতির ভাইরাসের ২৪০টি স্ট্রেন পাওয়া গেছে।

ভারতের নাগরিকদের মধ্যে ‘হার্ড ইমিউনিটি’ তৈরি হয়েছে বলে যে ধারণা করা হচ্ছে তা অলীক কল্পনা ছাড়া কিছুই নয়। ৮০ শতাংশ মানুষের দেহে অ্যান্টিবডি তৈরি হলে তবেই বলা যাবে ‘হার্ড ইমিউনিটি’।

এ প্রসঙ্গে মহারাষ্ট্রের কোভিড টাস্কফোর্সের সদস্য শশাঙ্ক যোশি বলেন, ‘গত সপ্তাহ থেকে নতুন করে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। ইতোমধ্যে কোভিডের নতুন ২৪০টি স্ট্রেন পাওয়া গিয়েছে। আর তার ফলেই বেড়ে চলেছে আক্রান্তের সংখ্যা। মহারাষ্ট্র ছাড়াও কেরালা, মধ্যপ্রদেশ এবং পাঞ্জাবে দৈনিক সংক্রমণ বাড়ছে।

এ মুহূর্তে অক্সফোর্ড এবং সিরাম ইনস্টিটিউটের তৈরি কোভিশিল্ড এবং ভারত বায়োটেক এবং আইসিএমআরের তৈরি কোভ্যাক্সিন প্রতিষেধকই ভারতে টিকাকরণের কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। রাশিয়ার তৈরি স্পুটনিক-ভি প্রতিষেধকও ভারতে ছাড়পত্র পাওয়ার পথে। সাময়িক করোনাকে রুখতে সক্ষম হলেও, করোনার নয়া প্রজাতির বিরুদ্ধে সেগুলোর কার্যকারিতা তুলনামূলক কম হবে বলে জানিয়েছেন ড. রণদীপ গুলেরিয়া।

তিনি বলেন, ভাইরাসের রূপান্তর বা রূপগুলোর ‘ভ্যাকসিনের প্রতিরোধ ক্ষমতা থেকে দূরে থাকার ক্ষমতা’ রয়েছে। তারা টিকা বা রোগের মাধ্যমে কোন ব্যক্তির অর্জিত প্রতিরোধ ক্ষমতাকে হুমকির মুখে ফেলে এবং পুনরায় সংক্রমণ ঘটাতে পারে।

সোমবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২১ , ৯ ফাল্গুন ১৪২৭ ৯ রজব ১৪৪২

ভারতে করোনার নতুন প্রজাতি আরও ক্ষতিকারক

image

ভারতে নতুন প্রজাতির করোনাভাইরাস শনাক্তের পরীক্ষা চলছে -এনডিটিভি

ভারতে করোনাভাইরাসের যে নতুন প্রজাতির সন্ধান পাওয়া গেছে তা আরও বেশি ক্ষতিকারক বলে জানিয়েছেন অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সের প্রধান ড. রণদীপ গুলেরিয়া। তিনি বলেন, নতুন প্রজাতি (স্ট্রেন) থেকে সংক্রমণের হার বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। করোনার এই নতুন স্ট্রেন অনেক বেশি ছোঁয়াচে এবং বিপজ্জনক। একবার যাদের করোনা হয়েছে তাদেরও নতুন করে সংক্রমিত করতে পারে এই স্ট্রেন।

মহারাষ্ট্রের কোভিড টাস্কফোর্সের সদস্য শশাঙ্ক যোশি জানান, ভারতজুড়ে করোনার নতুন প্রজাতির ভাইরাসের ২৪০টি স্ট্রেন পাওয়া গেছে।

ভারতের নাগরিকদের মধ্যে ‘হার্ড ইমিউনিটি’ তৈরি হয়েছে বলে যে ধারণা করা হচ্ছে তা অলীক কল্পনা ছাড়া কিছুই নয়। ৮০ শতাংশ মানুষের দেহে অ্যান্টিবডি তৈরি হলে তবেই বলা যাবে ‘হার্ড ইমিউনিটি’।

এ প্রসঙ্গে মহারাষ্ট্রের কোভিড টাস্কফোর্সের সদস্য শশাঙ্ক যোশি বলেন, ‘গত সপ্তাহ থেকে নতুন করে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। ইতোমধ্যে কোভিডের নতুন ২৪০টি স্ট্রেন পাওয়া গিয়েছে। আর তার ফলেই বেড়ে চলেছে আক্রান্তের সংখ্যা। মহারাষ্ট্র ছাড়াও কেরালা, মধ্যপ্রদেশ এবং পাঞ্জাবে দৈনিক সংক্রমণ বাড়ছে।

এ মুহূর্তে অক্সফোর্ড এবং সিরাম ইনস্টিটিউটের তৈরি কোভিশিল্ড এবং ভারত বায়োটেক এবং আইসিএমআরের তৈরি কোভ্যাক্সিন প্রতিষেধকই ভারতে টিকাকরণের কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। রাশিয়ার তৈরি স্পুটনিক-ভি প্রতিষেধকও ভারতে ছাড়পত্র পাওয়ার পথে। সাময়িক করোনাকে রুখতে সক্ষম হলেও, করোনার নয়া প্রজাতির বিরুদ্ধে সেগুলোর কার্যকারিতা তুলনামূলক কম হবে বলে জানিয়েছেন ড. রণদীপ গুলেরিয়া।

তিনি বলেন, ভাইরাসের রূপান্তর বা রূপগুলোর ‘ভ্যাকসিনের প্রতিরোধ ক্ষমতা থেকে দূরে থাকার ক্ষমতা’ রয়েছে। তারা টিকা বা রোগের মাধ্যমে কোন ব্যক্তির অর্জিত প্রতিরোধ ক্ষমতাকে হুমকির মুখে ফেলে এবং পুনরায় সংক্রমণ ঘটাতে পারে।