‘একুশে ফেব্রুয়ারি’ উদযাপিত হচ্ছে পাকিস্তানে

পাকিস্তানও উদযাপন করছে ‘একুশে ফেব্রুয়ারি’। সারা দুনিয়ার মতো করেই শৈশব থেকেই বহু ভাষার প্রতি মমত্ব বোধ জাগ্রত করার অঙ্গীকার নিয়েই পাকিস্তান পালন করছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। সাহিত্য উৎসব, সভা সেমিনার আর সাংস্কৃতিক আয়োজনের মধ্য দিয়ে মাতৃভাষার গুরুত্ব তুলে ধরবে দেশটির বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন। এএফপি

স্বৈরতান্ত্রিক ক্ষমতার পাকিস্তান রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে আজকের বাংলাদেশের মানুষ প্রথম মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছিল ভাষার প্রশ্নে। ‘বাংলা’কে অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে ২১ ফেব্রুয়ারি রক্তাক্ত হয়েছিল ঢাকার রাজপথ। ইতিহাসের এ অনন্য নজির ১৯৯৯ সালে জাতিসংঘের স্বীকৃতি পায়। ওই বছরের নভেম্বরে ইউনেস্কোর সাধারণ সভায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের ঘোষণা দেয়া হয়। এরপর ২০০০ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে প্রতি বছর ভাষাবিদ্যা, ভাষার বহুত্ব এবং সাংস্কৃতিক বহুমুখিতাকে ঊর্ধ্বে তুলে ধরতে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ পালন করা হচ্ছে।

এবারের আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের প্রতিপাদ্যে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে শৈশবের শিক্ষা থেকেই বহু ভাষার প্রতি মমত্ববোধ জাগিয়ে তোলার প্রতি। আর তা সামনে রেখে ষষ্ঠ বারের মতো পাকিস্তানে সাহিত্য উৎসব আয়োজন করেছে দেশটির ন্যাশনাল কাউন্সিল অব দ্য আর্টস (পিএনসিএ) এবং ইন্ডাস কালচারাল ফোরাম (আইসিএফ)। পাকিস্তানের বিভিন্ন লেখক, বুদ্ধিজীবী, শিল্পী এবং অ্যাকটিভিস্টরা এ উৎসবে যোগ দেবেন। পাকিস্তানের মাতৃভাষা সুরক্ষায় অবদান রাখার জন্য বেশ কয়েক জনকে সম্মাননাও জানানো হবে এই উৎসবে। দেশটির প্রায় ৭০টি মাতৃভাষাকে বিলুপ্তির হাত থেকে রক্ষায় সংশ্লিষ্ট ভাষার সম্প্রদায়ের মানুষদের ব্যবস্থা নেয়ার তাগিদ দেয়া হবে এ উৎসব থেকে।

এছাড়াও করোনাভাইরাসের মহামারী শুরুর পর থেকে পাকিস্তানের বিভিন্ন মাতৃভাষায় যেসব বৈজ্ঞানিক জ্ঞান বিতরণ করা হয়েছে তা নিয়ে প্রদর্শনী করবে দেশটির ইকো সাইন্স ফাউন্ডেশন (ইকোএসএফ)। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ফোক এবং ট্র্যাডিশনাল হেরিটেজ দেশটির বিভিন্ন ভাষার গুরুত্ব তুলে ধরতে বিভিন্ন আয়োজন করার পরিকল্পনা করেছে।

এসব আয়োজনে বিশেষজ্ঞরা ভাষা ও সংস্কৃতির গুরুত্ব তুলে ধরার পাশাপাশি মাতৃভাষার উদ্ভাবনী শক্তিকে কাজে লাগিয়ে শিক্ষা ও জ্ঞানভিত্তিক চিন্তার সুযোগ প্রসারিত করার চেষ্টা করবেন।

এছাড়া বই প্রকাশ, সাংস্কৃতিক আয়োজন, প্রদর্শনী এবং ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরিও থাকবে এসব আয়োজনে।

সোমবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২১ , ৯ ফাল্গুন ১৪২৭ ৯ রজব ১৪৪২

‘একুশে ফেব্রুয়ারি’ উদযাপিত হচ্ছে পাকিস্তানে

পাকিস্তানও উদযাপন করছে ‘একুশে ফেব্রুয়ারি’। সারা দুনিয়ার মতো করেই শৈশব থেকেই বহু ভাষার প্রতি মমত্ব বোধ জাগ্রত করার অঙ্গীকার নিয়েই পাকিস্তান পালন করছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। সাহিত্য উৎসব, সভা সেমিনার আর সাংস্কৃতিক আয়োজনের মধ্য দিয়ে মাতৃভাষার গুরুত্ব তুলে ধরবে দেশটির বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন। এএফপি

স্বৈরতান্ত্রিক ক্ষমতার পাকিস্তান রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে আজকের বাংলাদেশের মানুষ প্রথম মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছিল ভাষার প্রশ্নে। ‘বাংলা’কে অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে ২১ ফেব্রুয়ারি রক্তাক্ত হয়েছিল ঢাকার রাজপথ। ইতিহাসের এ অনন্য নজির ১৯৯৯ সালে জাতিসংঘের স্বীকৃতি পায়। ওই বছরের নভেম্বরে ইউনেস্কোর সাধারণ সভায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের ঘোষণা দেয়া হয়। এরপর ২০০০ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে প্রতি বছর ভাষাবিদ্যা, ভাষার বহুত্ব এবং সাংস্কৃতিক বহুমুখিতাকে ঊর্ধ্বে তুলে ধরতে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ পালন করা হচ্ছে।

এবারের আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের প্রতিপাদ্যে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে শৈশবের শিক্ষা থেকেই বহু ভাষার প্রতি মমত্ববোধ জাগিয়ে তোলার প্রতি। আর তা সামনে রেখে ষষ্ঠ বারের মতো পাকিস্তানে সাহিত্য উৎসব আয়োজন করেছে দেশটির ন্যাশনাল কাউন্সিল অব দ্য আর্টস (পিএনসিএ) এবং ইন্ডাস কালচারাল ফোরাম (আইসিএফ)। পাকিস্তানের বিভিন্ন লেখক, বুদ্ধিজীবী, শিল্পী এবং অ্যাকটিভিস্টরা এ উৎসবে যোগ দেবেন। পাকিস্তানের মাতৃভাষা সুরক্ষায় অবদান রাখার জন্য বেশ কয়েক জনকে সম্মাননাও জানানো হবে এই উৎসবে। দেশটির প্রায় ৭০টি মাতৃভাষাকে বিলুপ্তির হাত থেকে রক্ষায় সংশ্লিষ্ট ভাষার সম্প্রদায়ের মানুষদের ব্যবস্থা নেয়ার তাগিদ দেয়া হবে এ উৎসব থেকে।

এছাড়াও করোনাভাইরাসের মহামারী শুরুর পর থেকে পাকিস্তানের বিভিন্ন মাতৃভাষায় যেসব বৈজ্ঞানিক জ্ঞান বিতরণ করা হয়েছে তা নিয়ে প্রদর্শনী করবে দেশটির ইকো সাইন্স ফাউন্ডেশন (ইকোএসএফ)। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ফোক এবং ট্র্যাডিশনাল হেরিটেজ দেশটির বিভিন্ন ভাষার গুরুত্ব তুলে ধরতে বিভিন্ন আয়োজন করার পরিকল্পনা করেছে।

এসব আয়োজনে বিশেষজ্ঞরা ভাষা ও সংস্কৃতির গুরুত্ব তুলে ধরার পাশাপাশি মাতৃভাষার উদ্ভাবনী শক্তিকে কাজে লাগিয়ে শিক্ষা ও জ্ঞানভিত্তিক চিন্তার সুযোগ প্রসারিত করার চেষ্টা করবেন।

এছাড়া বই প্রকাশ, সাংস্কৃতিক আয়োজন, প্রদর্শনী এবং ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরিও থাকবে এসব আয়োজনে।