প্রাণঘাতী অস্ত্রের ব্যবহার নিয়ে মায়ানমারকে সতর্ক করল জাতিসংঘ

জাতিসংঘ সেনা অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভে প্রাণঘাতী অস্ত্রের ব্যবহার নিয়ে মায়ানমারকে সতর্ক করেছে। সংস্থাটির প্রধান মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস এক টুইট বার্তায় লিখেছেন এ ধরনের বলপ্রয়োগের ঘটনা একেবারেই অগ্রহণযোগ্য। এনডিটিভি

গত ১ ফেব্রুয়ারি মায়ানমারের সামরিক অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন শহরে টানা বিক্ষোভ চলছে। সংখ্যালঘু গোষ্ঠী, কবি, পরিবহন শ্রমিকসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ সামরিক শাসন অবসানের দাবিতে বিক্ষোভ করছেন। অভ্যুত্থানবিরোধীরা সর্বশেষ নির্বাচনে জয়ী নেত্রী অং সান সু চির মুক্তিরও দাবি জানাচ্ছেন।

এর আগে মাথায় গুলিবিদ্ধ এক বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছেন। তবে সবচেয়ে বেশি বলপ্রয়োগের ঘটনা ঘটেছে গত শনিবার দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মান্দালায়ে। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে ছোড়া গুলিতে দুই বিক্ষোভকারী নিহত এবং অন্তত ২০ জন আহত হন।

ওই ঘটনার পর এক টুইট বার্তায় জাতিসংঘ মহাসচিব লিখেছেন, ‘মায়ানমারে প্রাণঘাতী সহিংসতার নিন্দা জানাচ্ছি। শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে প্রাণঘাতী বলপ্রয়োগ, ভয় দেখানো এবং হয়রানি করা অগ্রহণযোগ্য।’

শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকার সবার রয়েছে জানিয়ে ওই টুইট বার্তায় জাতিসংঘ মহাসচিব সব পক্ষকে নির্বাচনের ফলাফলের প্রতি শ্রদ্ধা দেখাতে এবং বেসামরিক শাসন ফিরিয়ে আনার আহ্বান জানান।

মায়ানমারের সেনাবাহিনী দেশটিতে নতুন নির্বাচন আয়োজনে প্রতিশ্রুতি দিলেও তা উপেক্ষা করে রাস্তায় নামছে মানুষ। বিক্ষোভকারীরা সামরিক জান্তার আশ্বাসের ব্যাপারে ব্যাপক সন্দিহান। দেশটির সামরিক বাহিনীর ভাষ্য, গণতান্ত্রিক সরকার উৎখাতে জনগণের সমর্থন আছে। তবে সেই ভাষ্যকে মিথ্যে প্রমাণ করে প্রতিদিনই বড় ধরনের প্রতিবাদ কর্মসূচিতে অংশ নিতে অভ্যুত্থানবিরোধী হাজার হাজার বিক্ষোভকারী।

সোমবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২১ , ৯ ফাল্গুন ১৪২৭ ৯ রজব ১৪৪২

প্রাণঘাতী অস্ত্রের ব্যবহার নিয়ে মায়ানমারকে সতর্ক করল জাতিসংঘ

image

ইয়াংগুনে যুক্তরাস্ট্রের দূতাবাসের সামনে সামরিক জান্তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার দাবিতে অবস্থান -এএফপি

জাতিসংঘ সেনা অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভে প্রাণঘাতী অস্ত্রের ব্যবহার নিয়ে মায়ানমারকে সতর্ক করেছে। সংস্থাটির প্রধান মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস এক টুইট বার্তায় লিখেছেন এ ধরনের বলপ্রয়োগের ঘটনা একেবারেই অগ্রহণযোগ্য। এনডিটিভি

গত ১ ফেব্রুয়ারি মায়ানমারের সামরিক অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন শহরে টানা বিক্ষোভ চলছে। সংখ্যালঘু গোষ্ঠী, কবি, পরিবহন শ্রমিকসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ সামরিক শাসন অবসানের দাবিতে বিক্ষোভ করছেন। অভ্যুত্থানবিরোধীরা সর্বশেষ নির্বাচনে জয়ী নেত্রী অং সান সু চির মুক্তিরও দাবি জানাচ্ছেন।

এর আগে মাথায় গুলিবিদ্ধ এক বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছেন। তবে সবচেয়ে বেশি বলপ্রয়োগের ঘটনা ঘটেছে গত শনিবার দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মান্দালায়ে। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে ছোড়া গুলিতে দুই বিক্ষোভকারী নিহত এবং অন্তত ২০ জন আহত হন।

ওই ঘটনার পর এক টুইট বার্তায় জাতিসংঘ মহাসচিব লিখেছেন, ‘মায়ানমারে প্রাণঘাতী সহিংসতার নিন্দা জানাচ্ছি। শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে প্রাণঘাতী বলপ্রয়োগ, ভয় দেখানো এবং হয়রানি করা অগ্রহণযোগ্য।’

শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকার সবার রয়েছে জানিয়ে ওই টুইট বার্তায় জাতিসংঘ মহাসচিব সব পক্ষকে নির্বাচনের ফলাফলের প্রতি শ্রদ্ধা দেখাতে এবং বেসামরিক শাসন ফিরিয়ে আনার আহ্বান জানান।

মায়ানমারের সেনাবাহিনী দেশটিতে নতুন নির্বাচন আয়োজনে প্রতিশ্রুতি দিলেও তা উপেক্ষা করে রাস্তায় নামছে মানুষ। বিক্ষোভকারীরা সামরিক জান্তার আশ্বাসের ব্যাপারে ব্যাপক সন্দিহান। দেশটির সামরিক বাহিনীর ভাষ্য, গণতান্ত্রিক সরকার উৎখাতে জনগণের সমর্থন আছে। তবে সেই ভাষ্যকে মিথ্যে প্রমাণ করে প্রতিদিনই বড় ধরনের প্রতিবাদ কর্মসূচিতে অংশ নিতে অভ্যুত্থানবিরোধী হাজার হাজার বিক্ষোভকারী।