ক্যাম্পাস ও হল খোলার দাবিতে উত্তাল রাবি

ক্যাম্পাস ও আবাসিক হলগুলো খুলে শিক্ষা কার্যক্রম স্বাভাবিক করার দাবিতে মিছিলে মিছিলে উত্তাল হয়ে উঠেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ক্যাম্পাস। এছাড়া ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাদের দাবির বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সিদ্ধান্ত না জানালে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারিও দেন তারা।

গতকাল বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন মার্কেট থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ শেষে উপাচার্য ভবনের সামনে এসে অবস্থান নেয় শিক্ষার্থীরা। এ সময় তাদের ‘ভ্যাকসিন আনো ভ্যাকসিন দাও, ক্যাম্পাস খুলে দাও’, ‘মোদের দাবি একটাই, হল খুলে দাও’। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, দেশের সবকিছু স্বাভাবিক থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও সরকার উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবেই আবাসিক হলগুলো বন্ধ রেখেছে। বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যকে তারা একাধিকবার হল খেলার বিষয়ে অনুরোধ করলেও এবং স্মারকলিপি প্রদানসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোন ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছে না। চলতি মাসেই আবাসিক হলগুলো খোলার ঘোষণা না দিলে এই আন্দোলন থেকেই তারা কঠোর কর্মসূচিতে যাবে।

রাবি শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন মানিক বলেন, আমরা ইতোমধ্যে দেখেছি ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী মেডিকেলসহ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম চলছে। তাহলে আমাদের ক্যাম্পাস ও হল বন্ধ থাকবে কেন? তাই অনতিবিলম্বে ক্যাম্পাস ও হল খুলে দেয়াসহ সব বর্ষের আটকে থাকা পরীক্ষার তারিখ ঘোষণার দাবি জানাচ্ছি। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কোন প্রকারে অনিহা বা উদাসীনতা দেখালে আমরা ছাত্র সমাজ দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবো। আন্দোলনে অংশ নেয়া শিক্ষার্থী মাহমুদ সাকি বলেন, আমরা এতো দিন চুপ ছিলাম। আমরা তাকিয়ে ছিলাম প্রশাসনের বিবেকের দিকে। কিন্তু তাদের বিবেক নাড়া দেয়নি। তোদের তো বেতন ভাতা আনন্দ স্ফূর্তি বন্ধ নেই তাহলে আমাদের হল ক্যাম্পাস বন্ধ কেন? প্রতিদিন জুবেরি ভবনে আড্ডা হচ্ছে, প্রশাসন ভবনে মিটিং হচ্ছে, সেখানে করোনাভাইরাস নেই করোনা শুধু আমার ক্লাস রুমে, করোনা অজুহাত। ছাত্র সমাজ ৫২তে স্লোগান তুলেছিল টিকতে পারেনি পাকিস্তানিরা। ৭১ এ স্লোগান তুলেছিল টিকতে পারেনি। আমাদের উত্তেজিত করবেন না। হলের তালা কীভাবে ভাঙতে হয় তা আমাদের পূর্বসূরিরা আমাদের শিখিয়েছে।

অবস্থান কর্মসূচি থেকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। তাদের দাবি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সিদ্ধান্ত না জানালে আজ (সোমবার) থেকে কঠোর আন্দোলনে যাবেন তারা। এছাড়া ফেব্রুয়ারি মাসেই আবাসিক হলগুলো খোলার ঘোষণা না দিলে এই আন্দোলন থেকেই কঠোর কর্মসূচিতে যাওয়ার হুঁশিয়ারিও দেয় শিক্ষার্থীরা। এ সময় কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেয়।

সোমবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২১ , ৯ ফাল্গুন ১৪২৭ ৯ রজব ১৪৪২

ক্যাম্পাস ও হল খোলার দাবিতে উত্তাল রাবি

আবু সাঈদ সজল, রাবি

ক্যাম্পাস ও আবাসিক হলগুলো খুলে শিক্ষা কার্যক্রম স্বাভাবিক করার দাবিতে মিছিলে মিছিলে উত্তাল হয়ে উঠেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ক্যাম্পাস। এছাড়া ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাদের দাবির বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সিদ্ধান্ত না জানালে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারিও দেন তারা।

গতকাল বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন মার্কেট থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ শেষে উপাচার্য ভবনের সামনে এসে অবস্থান নেয় শিক্ষার্থীরা। এ সময় তাদের ‘ভ্যাকসিন আনো ভ্যাকসিন দাও, ক্যাম্পাস খুলে দাও’, ‘মোদের দাবি একটাই, হল খুলে দাও’। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, দেশের সবকিছু স্বাভাবিক থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও সরকার উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবেই আবাসিক হলগুলো বন্ধ রেখেছে। বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যকে তারা একাধিকবার হল খেলার বিষয়ে অনুরোধ করলেও এবং স্মারকলিপি প্রদানসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোন ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছে না। চলতি মাসেই আবাসিক হলগুলো খোলার ঘোষণা না দিলে এই আন্দোলন থেকেই তারা কঠোর কর্মসূচিতে যাবে।

রাবি শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন মানিক বলেন, আমরা ইতোমধ্যে দেখেছি ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী মেডিকেলসহ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম চলছে। তাহলে আমাদের ক্যাম্পাস ও হল বন্ধ থাকবে কেন? তাই অনতিবিলম্বে ক্যাম্পাস ও হল খুলে দেয়াসহ সব বর্ষের আটকে থাকা পরীক্ষার তারিখ ঘোষণার দাবি জানাচ্ছি। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কোন প্রকারে অনিহা বা উদাসীনতা দেখালে আমরা ছাত্র সমাজ দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবো। আন্দোলনে অংশ নেয়া শিক্ষার্থী মাহমুদ সাকি বলেন, আমরা এতো দিন চুপ ছিলাম। আমরা তাকিয়ে ছিলাম প্রশাসনের বিবেকের দিকে। কিন্তু তাদের বিবেক নাড়া দেয়নি। তোদের তো বেতন ভাতা আনন্দ স্ফূর্তি বন্ধ নেই তাহলে আমাদের হল ক্যাম্পাস বন্ধ কেন? প্রতিদিন জুবেরি ভবনে আড্ডা হচ্ছে, প্রশাসন ভবনে মিটিং হচ্ছে, সেখানে করোনাভাইরাস নেই করোনা শুধু আমার ক্লাস রুমে, করোনা অজুহাত। ছাত্র সমাজ ৫২তে স্লোগান তুলেছিল টিকতে পারেনি পাকিস্তানিরা। ৭১ এ স্লোগান তুলেছিল টিকতে পারেনি। আমাদের উত্তেজিত করবেন না। হলের তালা কীভাবে ভাঙতে হয় তা আমাদের পূর্বসূরিরা আমাদের শিখিয়েছে।

অবস্থান কর্মসূচি থেকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। তাদের দাবি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সিদ্ধান্ত না জানালে আজ (সোমবার) থেকে কঠোর আন্দোলনে যাবেন তারা। এছাড়া ফেব্রুয়ারি মাসেই আবাসিক হলগুলো খোলার ঘোষণা না দিলে এই আন্দোলন থেকেই কঠোর কর্মসূচিতে যাওয়ার হুঁশিয়ারিও দেয় শিক্ষার্থীরা। এ সময় কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেয়।