কিশোরগঞ্জে নববধূ হত্যা দুই নারীসহ ৬ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

কিশোরগঞ্জের আদালত বিয়ের দুই সপ্তাহের মধ্যে নববধূকে খুন করার দায়ে এক পরিবারের দুই নারীসহ ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা করে জরিমানা করেছেন। প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম গতকাল সোমবার সকালে দণ্ডিতদের উপস্থিতিতে তার রায়ে করিমগঞ্জের ভাটিয়া মোড়লপাড়া গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে লুৎতু উরফে রোকন (৩০), মৃত মীর হোসেনের ছেলে সোহরাব (৪৫), সোহরাবের ছেলে শরীফ (২২), সোহরাবের স্ত্রী জোস্না (৪০), মৃত হালু মিয়ার ছেলে মুসলিম (৫৫) ও মুসলিমের স্ত্রী নূর নাহারকে (৪০) যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানা করেছেন। রায়ের পর আসামিরা মামলার বাদী আল আমিনকে হুমকি দিচ্ছিলেন, জামিনে বেরিয়ে এসে তাকে উপযুক্ত শিক্ষা দেবেন বলে।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, করিমগঞ্জের ভাটিয়া মোড়লপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল কুদ্দুছের ছেলে শামীমের সঙ্গে তারই চাচাত বোন মৃত আবু বকর সিদ্দিকের মেয়ে স্থানীয় হাইস্কুলের ৯ম শ্রেণীর ছাত্রী রুবার (১৮) পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়েছিল। তখনই আাসামীরা হুমকি দিয়েছিলেন, রুবাবে ১৫ দিনও বাঁচতে দেবেন না। বিয়ের দুই সপ্তাহ পর ২০১১ সালের ৩ জুন রাতে স্বামী শামীম রুবার বড়ভাই আল আমিনকে জানান, রুবাকে কোথাও পাওয়া যাচ্ছে না।

এরপর খোঁজাখুঁজি করে রাত সোয়া ১০টার দিকে শামীমের বাড়ির পেছনের একটি ডোবা থেকে রুবার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এ সময় আসামিরা বলতে থাকেন, রুবাকে জ্বিনে হত্যা করেছে। আসলে রুবাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছিল।

মঙ্গলবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২১ , ১০ ফাল্গুন ১৪২৭ ১০ রজব ১৪৪২

কিশোরগঞ্জে নববধূ হত্যা দুই নারীসহ ৬ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

জেলা বার্তা পরিবেশক, কিশোরগঞ্জ

কিশোরগঞ্জের আদালত বিয়ের দুই সপ্তাহের মধ্যে নববধূকে খুন করার দায়ে এক পরিবারের দুই নারীসহ ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা করে জরিমানা করেছেন। প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম গতকাল সোমবার সকালে দণ্ডিতদের উপস্থিতিতে তার রায়ে করিমগঞ্জের ভাটিয়া মোড়লপাড়া গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে লুৎতু উরফে রোকন (৩০), মৃত মীর হোসেনের ছেলে সোহরাব (৪৫), সোহরাবের ছেলে শরীফ (২২), সোহরাবের স্ত্রী জোস্না (৪০), মৃত হালু মিয়ার ছেলে মুসলিম (৫৫) ও মুসলিমের স্ত্রী নূর নাহারকে (৪০) যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানা করেছেন। রায়ের পর আসামিরা মামলার বাদী আল আমিনকে হুমকি দিচ্ছিলেন, জামিনে বেরিয়ে এসে তাকে উপযুক্ত শিক্ষা দেবেন বলে।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, করিমগঞ্জের ভাটিয়া মোড়লপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল কুদ্দুছের ছেলে শামীমের সঙ্গে তারই চাচাত বোন মৃত আবু বকর সিদ্দিকের মেয়ে স্থানীয় হাইস্কুলের ৯ম শ্রেণীর ছাত্রী রুবার (১৮) পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়েছিল। তখনই আাসামীরা হুমকি দিয়েছিলেন, রুবাবে ১৫ দিনও বাঁচতে দেবেন না। বিয়ের দুই সপ্তাহ পর ২০১১ সালের ৩ জুন রাতে স্বামী শামীম রুবার বড়ভাই আল আমিনকে জানান, রুবাকে কোথাও পাওয়া যাচ্ছে না।

এরপর খোঁজাখুঁজি করে রাত সোয়া ১০টার দিকে শামীমের বাড়ির পেছনের একটি ডোবা থেকে রুবার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এ সময় আসামিরা বলতে থাকেন, রুবাকে জ্বিনে হত্যা করেছে। আসলে রুবাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছিল।